শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২১ আপডেট:

ড. ইউনূস বনাম রতন টাটা

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
ড. ইউনূস বনাম রতন টাটা

দুটো খবর দুই দেশের। আপাতদৃষ্টিতে দুই খবরের কোনো মিল নেই। রাজনীতি-নির্বাচন, ই-কমার্সের নামে জালিয়াতি কিংবা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মতো অতিগুরুত্বপূর্ণ খবরের ভিড়ে এ দুটি খবর একান্তই মূল্যহীন। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, দুটি ঘটনার অদ্ভুত যোগসূত্র আছে। দুটি ঘটনাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত সোমবার (১২ অক্টোবর) শ্রম আইনের এক মামলায় আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দ্বিতীয় ঘটনাটি গত ৮ অক্টোবরের। ওই দিন ভারতে ১৮ হাজার কোটি রুপির বিনিময়ে টাটা গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়া স্যাটসের ৫০ ভাগ মালিকানা কিনে নেয় টাটা। এ দুটো ঘটনার যোগসূত্র খুঁজতে হলে আমাদের একটু  পেছনে যেতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন মেধাবী মানুষ। শিক্ষক ও গবেষক। একটি গবেষণার জন্য চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ড. ইউনূসের এই ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম ছিল মূলত কুমিল্লার বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা আকতার হামিদ খানের মডেলের অনুসরণ। এ কার্যক্রমকে সম্প্রসারিত করতে ড. ইউনূস এরশাদ সরকারের সহযোগিতা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ১ অক্টোবর ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। আস্তে আস্তে ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ বিদেশি অনুদানে সম্প্রসারিত হয়। শিক্ষক এবং গবেষক থেকে ড. ইউনূস হয়ে ওঠেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন থেকে গ্রামীণ টেলিকম সবক্ষেত্রেই হাত বাড়ান ড. ইউনূস। ড. ইউনূসের ব্যবসা ছিল ভিন্ন ধরনের। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বলে এসব প্রতিষ্ঠান আয়করমুক্ত থাকে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তিনি পরিচিতি পান। ২০০৬ সালে ড. ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। এ নোবেল প্রাপ্তির পর গ্রামীণ ব্যাংক অন্তরালে চলে যায়। সব কৃতিত্ব ড. ইউনূসের দখলে চলে যায়। প্রচুর অনুদান, সহায়তায় ড. ইউনূস শুরু করেন সামাজিক ব্যবসার নতুন প্রকল্প। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তাঁর চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে যায়। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আইনি যুদ্ধেও জড়ান এই নোবেলজয়ী। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যাওয়ার পর একে একে তাঁর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রুগ্ন হতে শুরু করে। অনেকগুলো বন্ধ। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তাতে কিছু যায় আসে না। তিনি ব্যস্ত তাঁকে নিয়ে। পুরস্কার, অনুদান আর খ্যাতির নেশায় এখনো ক্লান্তিহীন ড. ইউনূস। এ বছর টোকিও অলিম্পিকে তিনি পেলেন অলিম্পিক লরেল। ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তি অবিশ্বাস্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একাধারে সুশীল, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। কিন্তু প্রত্যেক কাজেরই একটা সীমারেখা আছে। আছে সুনির্দিষ্ট গন্ডি। ড. ইউনূস যখন যে পরিচয় প্রয়োজন তখন তা ব্যবহার করেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি একজন তুখোড় বক্তা। মটিভেটর। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের গুপ্ত আকাক্সক্ষাও মাঝেমধ্যে জাগরিত হয়। ব্যবসায়ী হিসেবে অন্যের টাকায় বিত্তশালী হওয়ারও প্রয়াস দেখা যায়। আবার রাষ্ট্রকে প্রাপ্য কর দিতে সব ফাঁকফোকর তিনি খুঁজে বের করেন অবলীলায়। একজন উদ্যোক্তাকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সামনে এগোতে হয়। ড. ইউনূসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি তেমন নয়। তিনি সবকিছুই করেছেন মাছের তেলে মাছ ভাজার মতো। সরকারের টাকায় গ্রামীণ ব্যাংক করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় গ্রামীণ টেলিকম সেখান থেকে গ্রামীণফোনের মালিকানা পর্যন্ত নিয়েছিলেন। ড. ইউনূসের সব প্রতিষ্ঠানেই প্রতারণা, শ্রমিক ঠকানো, নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানও করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে পারেনি। গ্রামীণ টেলিকমের কথাই ধরা যাক। ড. ইউনূস শতাধিক কর্মচারীকে স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। করেননি। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ লাভের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ করেননি। শ্রমিক কল্যাণ তহবিল করেননি। এসব প্রতিষ্ঠানের লাভের টাকায় ড. ইউনূস দেশ-বিদেশে সেমিনার করেছেন, বক্তৃতা করেছেন। নোবেল পুরস্কারসহ বিভিন্ন পদক পেয়েছেন। কেউ তাঁকে প্রশ্ন করেনি, নিজের দেশের জন্য কী করলেন? গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ টেলিকম সর্বত্র শ্রমিক নিগ্রহ, আয়কর ফাঁকির ঘটনার পরও গণমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই। কারণ তিনি সুশীল। তিনি সাধু। ড. ইউনূস দাবি করেছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা নারীরা নাকি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক। মালিকানার প্রধান শর্ত হলো হস্তান্তর। গ্রামীণ ব্যাংকের নারী ঋণগ্রহীতারা কি মালিকানা হস্তান্তর করতে পারেন? ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করে ড. ইউনূস ঘোষণা করেছিলেন, দরিদ্রকে জাদুঘরে পাঠাবেন। দরিদ্র এখন দাঁত কেলিয়ে হাসে। কিন্তু ড. ইউনূসের এসব কথা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কেউ নেই। কারণ তিনি সুশীল। ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করে ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারপর পিছু হটেন। ওয়ান-ইলেভেনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বহু প্রশ্ন। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই দেশের জন্য তিনি কী করেছেন? বন্যা, দুর্যোগ, করোনা মহামারীতে বিশ্বে দাপিয়ে বেড়ানো এ মানুষটি দেশের জনগণের কোনো উপকার করেছেন কি? ড. ইউনূসের আড়ালে আমরা বাংলাদেশে সুশীলদের একটি অংশের চেহারাটাই দেখি। আমাদের দেশের কিছু সুশীল সবকিছুই করতে চান, কিন্তু অন্যের সমালোচনা ছাড়া কিছুই পারেন না। রাষ্ট্র এবং বিদেশি অর্থে তারা প্রতিষ্ঠান বানান, সেসব প্রতিষ্ঠান টেকসই হয় না। দেশের সবকিছু খারাপ বলে এরা সারাক্ষণ বকবক করেন, কিন্তু দেশের জন্য, জনগণের জন্য কিছুই করেন না। এদের কাজ হলো, অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি চালানো। ড. ইউনূস অধ্যায়টা এ পর্যন্ত রেখে আসুন একটা টাটা অধ্যায়ে মনোনিবেশ করি।

ভারতবর্ষে ১৯৩২ সালে ‘টাটা এয়ারলাইনস’ চালু হয়েছিল। এ এয়ারলাইনসের প্রতিষ্ঠাতা জে আর ডি টাটা। কয়েক বছর পর নাম বদল করে টাটা এয়ারলাইনসের নাম রাখা হয় এয়ার ইন্ডিয়া। ভারতের স্বাধীনতার পর ভারত সরকার ১৯৪৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয়। শুরু হয় টাটার মালিকানাধীন (৫১ শতাংশ) প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক অভিযাত্রা। মুম্বাই থেকে লন্ডনে ফ্লাইট যায় এয়ার ইন্ডিয়ার। কিন্তু এরপরই ঘটে বিপর্যয়। ১৯৫৩ সালে জওহর লাল নেহেরু সব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রায়ত্তকরণের সিদ্ধান্ত নেন। তার আওতায় পড়ে এয়ার ইন্ডিয়াও। সে সময় ভারতের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ই বেসামরিক বিমান চলাচল দেখভাল করত। যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন জগজীবন রাম। জে আর ডি টাটাকে ডেকে জগজীবন রাম এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণের সরকারি সিদ্ধান্ত জানান। বিস্মিত, হতবাক হয়েছিলেন জে আর ডি। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রচন্ডভাবে। গণমাধ্যমে সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্তকরণের সিদ্ধান্ত দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। জে আর ডি টাটা আশা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নেহেরু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। কিন্তু নেহেরু অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। তবে টাটাকে সান্ত্বনা দিতে এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান করেন। নিজের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। ক্ষোভ, দুঃখ নিয়েও জে আর ডি শেষ বন্ধনটুকু রাখতে রাজি হন। কিন্তু পরবর্তীতে টাটার জন্য আরও বড় অপমান অপেক্ষা করছিল। ১৯৭৮ সালে কংগ্রেস পরাজিত হয় নির্বাচনে। মোরারজি দেশাই হন প্রধানমন্ত্রী। এবার চিঠি দিয়ে জানানো হয় চেয়ারম্যান পদে টাটা থাকবেন না। চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় একজন অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাকে।

টাটার অর্থে, জে আর ডি টাটার মেধা আর শ্রমে গড়া ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ হয়ে যায় সরকারি কর্মী-কর্তাদের লুটের খনি। আস্তে আস্তে টাটা পরিণত হয় এক লোকসানি প্রতিষ্ঠানে। ভারত মুক্তবাজার অর্থনীতিতে গেলে বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিমান পরিবহন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় দ্রুত পিছিয়ে পড়তে থাকে এয়ার ইন্ডিয়া। ২০১৭ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার দেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫২ হাজার কোটি রুপি। এটি ভারতের ১০০ দিনের বাজেটের সমান। টাটা কিনে নেওয়ার আগে এই আগস্ট পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ঋণ ৬২ হাজার কোটি রুপি। প্রতিদিন এই প্রতিষ্ঠানটি লোকসান গুনে ২০ কোটি রুপি। এ অবস্থায় ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার বোঝা আর বইতে পারছিল না। বিক্রির দরপত্রে টাটাই সবচেয়ে বেশি দর দেয়। টাটাদের জন্য বিষয়টি অন্যের দখলে থাকা নিজের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার মতোই। ভারত একবার জোর করে টাটার সম্পত্তি দখল করে নিয়েছিল। এখন টাটা ১৮ হাজার কোটি রুপি খরচ করে মধুর প্রতিশোধ নিল। এয়ার ইন্ডিয়া ফেরত পেতে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ করেননি রতন টাটা। এর পেছনে আবেগই কাজ করেছে সবচেয়ে বেশি। টেন্ডার জয়ের পর রতন টাটার টুইট বার্তাটি আবেগে ঘেরা। টুইটে রতন টাটা লিখেছেন- ‘ওয়েলকাম ব্যাক এয়ার ইন্ডিয়া। এ নিলাম দুর্দান্ত এক জয়। জে আর ডি টাটা আজ আমাদের মধ্যে থাকলে সবচেয়ে খুশি হতেন।’ রতন টাটা এয়ার ইন্ডিয়াকে আবার নতুন জীবন দিতে পারবেন কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে সরকার এবং জনগণের কত বড় বোঝা যে টাটা তার নিজের কাঁধে তুলে নিল তা উপলব্ধির জন্য অর্থনীতিবিদ হওয়ার দরকার নেই। এটাকে কী বলবেন, ব্যবসা না দেশপ্রেম?

এবার আসুন দুই প্রেক্ষাপটকে একটু মিলিয়ে দেখি।

ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রাষ্ট্রের টাকায়। রাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরি করে তিনি প্রতিষ্ঠানটি কুক্ষিগত করে ফেলেছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের লাভের টাকায় ড. ইউনূস আরও এক ডজন প্রতিষ্ঠান করেছেন। সেগুলোর মালিকানা পেয়েছেন বিনা টাকায়। অন্যদিকে, টাটা গ্রুপের ইতিহাস সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে। জামসেদ টাটা পিতার প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ১৮৬৮ সালে সিদ্ধান্ত নিলেন নিজে কিছু করবেন। ১৮৭০ সালে মাত্র ২১ হাজার টাকার পুঁজিতে একটি ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করলেন। সেখান থেকে যাত্রা শুরু। টাটা এখন বিশ্বব্যাপী পরিচালিত একটি বহুজাতিক কোম্পানি। ১৫৩ বছরে টাটার সম্পদের পরিমাণ ১০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ৮ লাখ মানুষ টাটার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। এয়ার ইন্ডিয়া গড়ে তুলেছিল টাটা। সরকার বিনা টাকায় প্রায় জোর করে কেড়ে নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ ভারত সরকার টাটার টাকায় গড়া একটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছিল। যেমন ড. ইউনূস জনগণের টাকায় গড়া একটি প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছিলেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের লাভের টাকায় ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইকবাল কাদির গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠা করলে ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমকে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যুক্ত করেন। পরে গ্রামীণফোনের ৫৫ শতাংশের মালিকানা বেচে দেন নরওয়ের টেলিনরের কাছে। এখনো ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম করপোরেশন গ্রামীণফোনের ৩৪ শতাংশের মালিক। ১ টাকা বিনিয়োগ না করেও ড. ইউনূস দেশের প্রধান মোবাইল নেটওয়ার্কের অন্যতম মালিক। গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করে ড. ইউনূস কত টাকা পেয়েছেন তার হিসাব কে রাখে। অন্যদিকে দেখুন টাটা নিজের প্রতিষ্ঠানই (এয়ার ইন্ডিয়া) কিনল ১৮ হাজার কোটি রুপি দিয়ে। একজন কোনো টাকা বিনিয়োগ না করেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন। সেই প্রতিষ্ঠানের সিংহভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন বিদেশি কোম্পানির কাছে। অন্যদিকে টাটা নিজের বিনিয়োগে গড়া এয়ার ইন্ডিয়া কেড়ে নেওয়ার দুঃখ বয়ে বেরিয়েছেন ৬৮ বছর। প্রথম সুযোগে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে সেই প্রতিষ্ঠান আবার নিজেদের কাছে ফেরত এনেছেন।

গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি হারানোর পর ড. ইউনূস কী না করেছেন। দেশে-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে অভিযোগ করেছেন। হিলারি আবার এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেও ফোন করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে ইউনূসের প্রস্থানে হিলারি প্রচন্ড রাগ করেছিলেন। এ কারণে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যেন বিনিয়োগ না করে সে জন্য বিশ্বব্যাংককে সুপারিশ করেছিলেন। দেখুন একটি পদ হারাতেই কীভাবে প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে ওঠেন একজন সুশীল। অন্যদিকে টাটার আস্ত একটা বিমান কোম্পানি কেড়ে নিল ভারত সরকার। টাটা কিছু করল না। এরপরও টাটা ভারতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। কারও কাছে নালিশ করেনি। বরং টাটা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বে ভারতের সম্মান বাড়িয়েছে।

ড. ইউনূসের শোকেসে পুরস্কারের শোভা। নোবেল জয়ের টাকা কী করেছেন? তার বক্তৃতা, সেমিনার বা বিদেশে বিনিয়োগ টাকা তিনি কী করেন? গ্রামীণ ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির টাকাই বা তিনি কী করলেন? কেউ কোনো দিন শুনেছেন, ড. ইউনূস গরিব মানুষকে ত্রাণ দিয়েছেন? দুস্থ শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন? প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু করেছেন? না। সামাজিক দায়বদ্ধতার কোনো কর্মকান্ডে আমরা এই শান্তিতে নোবেলজয়ীকে পাই না। নিজের নামে একটি সেন্টার করেছেন। ইউনূস সেন্টারের প্রধান কাজ হলো ড. ইউনূসকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরা, তাঁর ইমেজ বাড়ানো। অন্যদিকে টাটা সাসটেইনেবিলিটি গ্রুপ বছরে গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করে ১ হাজার কোটি রুপির ওপরে। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নে টাটা আলোচিত এবং প্রশংসিত একটি নাম। সমাজসেবায় টাটার অবদান সর্বজনবিদিত।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের রাজনৈতিক অভিলাষ নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরই তিনি রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। তাঁর এই উদ্যোগে বাতাস দেয় এ দেশের চিহ্নিত সুশীল গোষ্ঠী। কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে এত বিপুল অবদানের পরও টাটার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহৎ শিল্প গ্রুপ হওয়ার পরও টাটার কারও মন্ত্রী-এমপি হওয়ার খায়েশ হয়নি। রাজনৈতিক দল গঠনেরও অভিপ্রায় জাগেনি। ড. ইউনূস এবং রতন টাটার নেতৃত্বে টাটা পরিবারের তুলনা করলাম, কিছু বাস্তব কারণে। বাংলাদেশে প্রায়ই একটি মনোভাব দেখা যায়, সুশীলরা প্রচন্ড সৎ। তারাই একমাত্র দেশপ্রেমিক। মানুষের জন্য জান কোরবান করতে পারেন তারাই। আর ব্যবসায়ীরা হলেন অসৎ, দুর্বৃত্ত, মানুষের টাকা লুটে খান। কিন্তু সুশীলদের শিরোমণি ড. ইউনূসের কর্মকান্ডের এক চিলতে আলোকপাত করতেই আমরা দেখলাম কী অবস্থা। বাংলাদেশে সুশীল নিয়ন্ত্রিত প্রায় সব প্রতিষ্ঠান জবাবদিহিহীন। এর নিয়ন্ত্রকরা প্রতিষ্ঠানে রাজতন্ত্র কায়েম করে রেখেছেন। মৃত্যুর আগে এদের পদ থেকে কেউ সরাতে পারে না। আমি জানি, অনেকেই প্রশ্ন করবেন, বাংলাদেশে কি টাটার মতো প্রতিষ্ঠান আছে? আমাদের শিল্প পরিবারগুলো কি টাটার মতো? বাংলাদেশের ৫০ বছরে বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ দাঁড়িয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক এগিয়ে নিতে এরা অবদান রাখছে নিরলসভাবে। সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু তারপরও বেসরকারি খাত দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম সহযাত্রী। টাটা এক দিনে হয়নি। কিন্তু ভারতে বা বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের যে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া হয়, বাংলাদেশে কি তা হয়? সব সময় ব্যবসায়ীদের খুঁত ধরার এক প্রচন্ড প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আবার সুশীল হলেই তিনি যেন বিচারের ঊর্ধ্বে চলে যান। ড. ইউনূস এবং রতন টাটার ঘটনা একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেয়। রাষ্ট্র এবং সমাজে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষের দায়িত্বের সীমারেখা আছে। এই সীমারেখা অতিক্রম করা উচিত নয়। বাংলাদেশে আমরা দেখি, ব্যবসায়ীরা মন্ত্রী-এমপি হতে চান। আমলারা রাজনীতিবিদ বনে যান। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি ছেড়ে ব্যবসা করতে চান। আর সুশীল সমাজের একটি অংশ রাজনীতি, ব্যবসা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিতে চান।  কিন্তু সীমানার বাইরে গেলে কোনো কাজ যে সফল হয় না তার প্রমাণ ড. ইউনূসের ব্যবসা এবং রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা। আর রাষ্ট্র যে ব্যবসা করতে পারে না এয়ার ইন্ডিয়া তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ।  তাই আমরা আমাদের দায়িত্বের সীমার মধ্যেই থাকি। যার যেটা কাজ নয়, সেটা করলে বিপত্তিই বাড়ে।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
শনিবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

৩৫ মিনিট আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৪৪ মিনিট আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!
দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন গিল!

৫৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের
তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ ছাত্রদলের

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা
মোংলায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহায়তা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার
সালমানের বাড়িতে গুলি চালানো আনমোল বিষ্ণোই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক ব্যবস্থা : অ্যাটর্নি জেনারেল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ
শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই : আসিফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
গাজায় ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দিবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি
টাইপ ২ ডায়াবেটিস এক দিনে হয় না, নিঃশব্দেই বাড়ে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে
অনূর্ধ্ব-১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কার বিপক্ষে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকবে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড
মার্কিন নির্বাচনে হামলার পরিকল্পনায় আফগান নাগরিকের ১৫ বছরের দণ্ড

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ রপ্তানি বন্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও
‘শততম’ ম্যাচে শতক হাঁকালেন লিটনও

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক
তারেক রহমান : ভিশনারি রাজনীতিক

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
জবির নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হলে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা