পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের যথেচ্ছার কাছে গত দুই দিন জিম্মি ছিল সারা দেশের মানুষ। পরিবহন ধর্মঘটে অশেষ ভোগান্তির সম্মুখীন হয়েছে লাখ লাখ যাত্রী। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কোনো নোটিস ছাড়াই ধর্মঘট ডেকে জনভোগান্তি নিশ্চিত করে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের অশুভ জোট। তাদের যুক্তি, লিটারে ডিজেলের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি যানবাহন চলাচলের খরচ বাড়াবে। তারা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নতুবা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির দাবি তুলেছেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি যানবাহনের ব্যয় বৃদ্ধি করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় না বসে জোর যার মুল্লুক তার নীতি অনুসরণে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা কতটা যৌক্তিক ভেবে দেখার বিষয়। প্রশ্ন ওঠে, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বাস ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা করতে যারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছেন তারা আট বছর আগে ডিজেলের দাম হ্রাস করা হলেও বাস ভাড়া সে অনুপাতে কমাননি কেন? ধর্মঘট ডাকা যে কোনো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে তার উদ্দেশ্য যদি হয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সুবিধা আদায় তা কোনোভাবেই কাক্সিক্ষত নয়। আমরা নীতিগতভাবে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখার পক্ষে। তবে স্বীকার করতেই হবে, দেশ সব ধরনের জ্বালানির ক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম যে হারে বেড়েছে তাতে মূল্যবৃদ্ধির বিকল্প খুঁজে পাওয়া সত্যিকার অর্থেই কঠিন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরাও সরকারের সঙ্গে বৈঠকে মূল্যবৃদ্ধির কোনো বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই। আমরা আশা করব ভবিষ্যতে পরিবহনসংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় তারা সরকার তথা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করবেন। ডিজেলসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ যাত্রীদের কোনো দায় নেই। তাদের জিম্মি করে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে যা-ই হোক সুবুদ্ধির পরিচয় দেওয়া হয়নি। এ প্রবণতার অবসান কাম্য।
শিরোনাম
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের