বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ

আবর্জনামুক্ত হলো মন্ত্রিসভা

অবশেষে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। স্বেচ্ছায় নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এ পদত্যাগে মানসিক রোগীর মতো যা ইচ্ছা তা-ই বলার যে প্রবণতা তার মধ্যে দেখা গিয়েছিল তা থেকে আপাতত রক্ষা পেল দেশ ও জাতি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি শিষ্টাচার -বহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় নানা মহল থেকে ডা. মুরাদের অপসারণের দাবি ওঠে। খোদ সরকার ও আওয়ামী লীগের মধ্যেও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তিন দিন আগে ফাঁস হওয়া ডা. মুরাদের একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কথোপকথনে একজন চলচ্চিত্র নায়িকাকে তিনি যেভাবে অশোভন প্রস্তাব দেন তাতে প্রশ্ন ওঠে এমন দুর্বিনীতরা মন্ত্রী থাকেন কীভাবে। তাই নারীনেত্রী ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরাও মুরাদের পদত্যাগ দাবি করেন। সোমবার সকালে গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। সন্ধ্যায় বেজে ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিদায় ঘণ্টা। প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন বিতর্কিত এই ব্যক্তিকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই না। প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ডা. মুরাদ হাসান দল ও মন্ত্রিসভার জন্য যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন তাতে অতি শিগগিরই তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে তেমন আভাসই মিলেছে। এর ফলে তার সংসদ সদস্য পদও বাতিল হতে পারে। মন্ত্রিসভা থেকে ঝরে পড়া ডা. মুরাদ হাসানের বাবা ছিলেন একজন নীতিমান রাজনীতিক। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন তিনি। তবে ডা. মুরাদ পৈতৃক সুনামের বদৌলতে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হলেও বাবার ভাবমূর্তির জন্যই বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছেন। মন্ত্রিসভা থেকে আবর্জনা বাদ দেওয়ার সময়োচিত সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রশংসায় সিক্ত হয়েছেন। আশা করা যায় দুর্বিনীতদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর মনোভাব অব্যাহত থাকবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর