শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পর্যটকের নিরাপত্তা

কক্সবাজার প্রশাসনকে সক্রিয় হতে হবে

পর্যটন মৌসুমের শুরুতে বাংলাদেশে পর্যটনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের হাতে একজন পর্যটক ধর্ষণ আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। গত কয়েক দিনে ২ লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন। এত বিপুলসংখ্যক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও সক্ষমতা যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই তা স্পষ্ট। তবে সামান্যসংখ্যক ট্যুরিস্ট পুলিশ দিয়ে যে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না তা কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে বুঝতে হবে। ধর্ষণ, অপহরণ, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। প্রতিদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটছেই এ জেলা শহরে। এ কারণে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে স্বাস্থ্যশহর কক্সবাজার। ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। কয়েক দিন আগে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পেঁচারদ্বীপ এলাকা থেকে চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নামে অপহরণ করা হয়। নানা কৌশলে টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে র‌্যাব ও পুলিশ। হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টে পর্যটকদের কাছ থেকে গলা কাটা বাণিজ্যের অভিযোগ অনেক পুরনো। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যেও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত চলছেই। থেমে নেই ইয়াবাসহ মাদক কারবার। পর্যটন এলাকায় রয়েছে দখল-বেদখলের ঘটনাও। ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। কক্সবাজারকে একটি পর্যটননগর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে একটি পরিকল্পনার আওতায় একে আনতে হবে। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের মধ্যে পর্যটকদের পানিতে নামার সুযোগ আছে খুব সামান্য জায়গায়। এর আওতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর