মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চতুর্থ ধাপের নির্বাচন

হানাহানির কারণ খুঁজুন

সমাজবিরোধীদের নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ থাকলে যা হয় তেমনটিই হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে। রবিবার চতুর্থ ধাপে ৮৩৬ ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি তিন পৌরসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও বর্জনের মধ্য দিয়ে আগের তিন ধাপের মতো চতুর্থ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার পরও বিভিন্ন জেলায় সহিংসতা ঘটেছে। সিলেট, পটুয়াখালী ও ঠাকুরগাঁওয়ে সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। সব মিলে চার ধাপের ইউপি ভোটে ৮৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সংঘর্ষ, জাল ভোট, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই ও প্রকাশ্যে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালী, ভোলা, পাবনা, চট্টগ্রাম, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, মুন্সীগঞ্জ, বগুড়া, লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধাসহ অনেক জেলায়। ব্যালট ছিনতাই ও কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের কারণে ১৫ কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভাষ্য, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ভোটার উপস্থিতিতে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতার প্রধান কারণ সমাজবিরোধীদের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা। এটি বন্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দিলে যারা সংঘাত-সংঘর্ষের কলকাঠি নাড়ায় সেসব প্রার্থীর অন্তত ৯০ ভাগের অংশগ্রহণ রোধ করা সম্ভব হতো। সাম্প্রতিককালে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলীয় মনোনয়নে দলীয় প্রতীক নিয়ে স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ থাকা। এর ফলে সরকারি দলের মনোনয়ন পাওয়া এবং না পাওয়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের দ্বন্দ্বে রক্ত ঝরছে। স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের আবেগ জড়িত। গণতন্ত্রচর্চায়ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হওয়া খুবই জরুরি। তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে করণীয় সম্পর্কে ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর