শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২২

মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কিছুক্ষণ

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে কিছুক্ষণ

গতকাল ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত কখনো পূর্ণ স্বাধীনতার কথা মনে হতো না। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাঙালি জাতি সত্যিকারে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিল। ১০ জানুয়ারি ঢাকা বিমানবন্দরে আসতে পারিনি। সকালে ভূঞাপুরে এক শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি গিয়েছিলাম। তারপর গোপালপুরের পানকাত্তায় হঠাৎ হানাদার বাহিনীর আক্রমণে নিহত ১০-১২ জন মুক্তিযোদ্ধার গণকবর জিয়ারত করতে। তারপর বিকালে ছিল পাথরাইল স্কুল মাঠে এক বিশাল জনসভা। সবকটি প্রোগ্রামেরই বাংলাদেশ বেতারে ধারাবিবরণী শুনছিলাম। লন্ডন থেকে দিল্লির পালাম বিমানবন্দর, সেখান থেকে রামলীলা ময়দান। রামলীলা ময়দানে বঙ্গবন্ধু ও মহান নেত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণ এসব লাগাতার শুনছিলাম। পরে যখন ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে বঙ্গবন্ধু ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। লাখো মানুষের মধ্যে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে কোনো মুক্তিবাহিনী ছিল না। শুধু সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীর সদস্যরাই বাংলাদেশের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গার্ড অব অনার দেন। সেখান থেকেই বাদ পড়তে থাকে কৃষক শ্রমিক ছাত্র জনতার মুক্তিবাহিনী। তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছতে বঙ্গবন্ধুর অনেক সময় লাগে। যেমন লেগেছিল ১৬ ডিসেম্বর হানাদার সেনাপতি আমির আবদুল্লাহ নিয়াজি ও মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরার। বঙ্গবন্ধু যখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দেন পাকিস্তানের কারাগারে থাকা সময়ের অবস্থা বর্ণনা করেন। আমরা বেতারের মাধ্যমে পাথরাইল স্কুলমাঠে লক্ষাধিক মানুষ তা শোনার ব্যবস্থা করি। স্বাধীন বাংলাদেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁর প্রথম ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘কবিগুরু তোমার কথা মিথ্যা হয়ে গেছে। তুমি বলেছিলে, সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী,/রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ করনি। তারা আজ মানুষ হয়েছে। যুদ্ধ করে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।’ সারা দিন ছোটাছুটি করে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা-১১টায় বারান্দায় বসি। সহকর্মীদের সঙ্গে যখন বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলছিলাম তখন ফোন আসে। কে একজন ছুটে এসে বলে, ‘স্যার স্যার, বঙ্গবন্ধু কথা বলবেন।’ আমি শিউরে উঠেছিলাম এত ব্যস্ততার মধ্যেও নয় মাস কারাগারে থেকে পাকিস্তানের করাচি থেকে ইংল্যান্ড, সেখান থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফেরার দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি উপেক্ষা করে তিনি আমার মতো একজন নগণ্য মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলবেন! ছুটে গিয়ে ফোন ধরেছিলাম। হ্যালো বলতেই পিতার মতো নেতার মতো আবেগ নিয়ে বলেছিলেন, ‘কাদের কেমন আছিস? তোকে দেখতে পেলাম না যে? কখন দেখা হবে?’ আমার চোখে ছিল আনন্দ অশ্রু, বুকে ছিল বিশ্বজয়ের দুর্নিবার ভালোবাসা। বলেছিলাম, আপনি চাইলে এখনই আসতে পারি। মোটামুটি ৩-সাড়ে ৩ ঘণ্টা লাগবে। কারণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ২৩-২৪টি সেতু আমরা নভেম্বরে ধ্বংস করে ফেলেছিলাম। পিতা বললেন, ‘ঠিক আছে তুই সকালেই চলে আয়।’ আমরা প্রায় ৯০ জনের একটি দল সকাল ৫টায় রওনা হয়ে সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডিতে পৌঁছেছিলাম। গেটে গিয়ে অবাক হয়েছিলাম আমার দলের মুক্তিযোদ্ধারা গেট আগলে বসে আছেন। অবাক হয়ে কমান্ডারকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তোমরা এখানে? তখন কমান্ডার বলে বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছেন তাঁর বাসভবনে শক্তসমর্থ নিরাপত্তা দরকার। ভারতীয় বাহিনীকে রাখা ঠিক হবে না। সেনাবাহিনীও তখন সেরকমভাবে সুসংগঠিত নয়। তাই মিত্রবাহিনীর কমান্ডার আমাদের দলকে সামনে পেয়ে কাদেরিয়া বাহিনীকেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করে। আমরা যখন গেট দিয়ে ঢুকছিলাম তখন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক শ ছাত্রের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির ভিতরে যেতে পা বাড়িয়েছিলেন। ছাত্রবন্ধুরা কেউ কেউ বলছিলেন, ওই যে কাদের সিদ্দিকী। ছাত্রদের কথা বঙ্গবন্ধুর কানে লেগেছিল। তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। তখনই আমি গিয়ে তাঁকে সালাম করে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই তিনি আমাকে কোলে তুলে নেন। আমার মতো একজন যুবককে কোলে নিতে তাঁর ভার লেগেছিল কি না বলতে পারব না। ২৫-৩০ পা এগিয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার সামনে কোল থেকে ছেড়ে দেন এবং ভীষণ উল্লাসের সঙ্গে বঙ্গমাতাকে বলেছিলেন, ‘রেণু, রেণু, দেখ কাকে এনেছি।’ বঙ্গমাতা অন্য অন্য সার্থক গৃহিণীর মতো বলেছিলেন, ‘ওকে আমি আগেই দেখেছি। ও লতিফের ছোট ভাই। আগেই আমার সঙ্গে দেখা করেছে। জামালকে নিয়ে পল্টনে সভা করেছে।’ এ সময় আমরা কাদেরিয়া বাহিনীর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর গলায় একটা ফুলের মালা দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সঙ্গে মালাটি খুলে আমার গলে পরিয়ে দিয়েছিলেন। তত দিনে মালা গলায় নেওয়া ছেড়ে দিয়েছিলাম। পণ করেছিলাম, বাংলাদেশের ভুখা-নাঙ্গা মানুষের শান্তি স্বস্তি নিরাপত্তা ও অভাব অনটন যত দিন না মিটবে তত দিন মালা গলায় নেব না। একটি নিদারুণ ঘটনার মধ্য দিয়ে এ সিদ্ধান্তে এসেছিলাম। স্বাধীনতার পর ৫ জানুয়ারি বাসাইল উপজেলায় এক জনসভায় যাচ্ছিলাম। কামুটিয়া থেকে বাসাইল পর্যন্ত ৫-৬ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে কয়েক হাজার মানুষ সমাগম হয়েছিল। কাঁচা রাস্তা ধূলি আর ধূলি উড়ছে। লাঙ্গুলিয়ায় খাল পেরোতেই একেবারে জীর্ণশীর্ণ ৭০-৮০ বছর বয়সের এক মহিলা নানা রঙের ফুলের এক ছোট্ট মালা আমার গলে পরিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন। আমি তাঁকে বলেছিলাম, মাগো, এখনো কত মানুষ না খেয়ে আছে। ঘর নেই, বাড়ি নেই, হানাদাররা কত সোনার সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে। যত দিন তারা আশ্রয় না পায় তত দিন আমার ফুলমালা নেওয়ার যোগ্যতা হবে না। বৃদ্ধ মহিলাটি ঝাঁজালো সুরে বলেছিলেন, ‘তোমার মালা নেওয়ার যোগ্যতা না হলে আর কার সেই যোগ্যতা হবে?’ বলেই তিনি আমার গলায় মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। মহিলাটি হিন্দু না মুসলিম আমি জানতাম না। কিন্তু শতচ্ছিন্ন কাপড়ের ফাঁক দিয়ে তাঁর হাড় বেরিয়ে আসা দেহটি বারবার আমার চোখে পড়ছিল। লাঙ্গুলিয়া খাল থেকে বাসাইল দেড়-দুই কিলোমিটার পথ। সারা পথ আমি চোখে পানি রাখতে পারিনি। বৃদ্ধ মহিলাটির কথা মনে করে ভালো করে বক্তৃতাও করতে পারিনি। সেই থেকে মালা নেওয়া বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু ১১ জানুয়ারি বাসাইলের সেই ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন পর ছয় দিনের দিন বঙ্গবন্ধু আমার গলায় মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন। আমি মালা খুলে ফেলতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা আমি দিলাম তোর যুদ্ধের পুরস্কার।’ স্বাধীনতার পর সে-ই ছিল আমার জীবনে শেষ মালা। মালাটি আমার ঘরের শোকেসে রেখেছিলাম। মালাটি শুকিয়ে গিয়েছিল। শুকনো মালাই আমার চোখের সামনে শোভা পেত। কিন্তু খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমার ঘরের সব জিনিসপত্র এলোমেলো করে ফেলে গিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর কথা মনে হলে কত কথা মনে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যা জাতিকে সর্বস্বান্ত করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাকে পিতৃহীন এতিম করেছে। কিন্তু আমাকে, আমার পরিবারকে সর্বস্বান্ত, সর্বহারা করেছে। কোনো মান নেই মর্যাদা নেই, ভবিষ্যতের আলো নেই। শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার।

এক দিন আগে ৯ জানুয়ারি মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে আমার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে আহ্বান করেছিলেন। নিবন্ধিত অনেক দলই মহামান্য রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দেবে না। তারা এটাকে একটা তামাশা ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। আমরাও যে মস্ত বড় কিছু ভাবী তা নয়। আমরা চাই দেশে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হোক, মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার পাক। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করার জন্য যার সঙ্গে আলোচনা করলে সামান্য কাজের কাজ হবে তার সঙ্গেই আলোচনা করতে আমরা প্রস্তুত। মনে হয় ২০১৯ সালের বিজয় দিবসে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে গিয়েছিলাম। সেই শেষ দেখা হয়েছিল মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে। করোনার কারণে গত দুই বছর কোনো সভা-সমাবেশ করিনি। ঘরোয়া ছোটখাটো দু-চারটি সভা যা করেছি কোনোটাই ঘরের বাইরে নয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদেরই মানুষ। আমরা একসঙ্গে বহু পথ চলেছি। অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীর একসময়ের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জে মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাড়ি আর টাঙ্গাইলে লতিফ সিদ্দিকী। আমাদের সময় পাকিস্তান আমলে এমন ছিল না। নেতাদের প্রতি কর্মীদের যেমন অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস ছিল, নেতাদেরও সহকর্মীদের প্রতি গভীর দরদ ছিল। সে হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের খুবই কাছাকাছির মানুষ। তাই তাঁর আহ্বান পেয়ে দলীয়ভাবে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমরা সাড়া দেব। কিছু হোক বা না হোক একজন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রের প্রধান অভিভাবক তাঁকে দেশের অবস্থার কথা জানিয়ে আসি। সস্ত্রীক নয়জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলাম। রাষ্ট্রপতি ভবনে বাহানার শেষ নেই। বিশেষ করে একেবারে ম্রিয়মাণ রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে মারাত্মক জুট-ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এক দিন আগে করোনা পরীক্ষা, পরদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে গমন। গেটে যারা ছিলেন তারা গদাইলশকরির চালে কাজ করছিলেন। একজন এসবির লোক এসে গাড়ির যাত্রীদের কথা জিজ্ঞাসা করেন। আমার গাড়িতে আমি, আমার স্ত্রী আর ফরিদ আহমেদ ছিলেন। পরের প্রশ্ন গাড়িতে সিলিন্ডার আছে? বুঝতে না পেরে ড্রাইভার যীশু বলেছিল, না। পরক্ষণেই আবার যখন বলে, আছে আছে। এসবির লোকটি আর খেয়াল করেননি। আমাদের ভিতরে ঢুকতে গেট খুলে দেন। কিছু সময় গেটের ভিতরে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি রাষ্ট্রপতি ভবনের বারান্দার কাছে আসে। তখন শুনলাম, গ্যাস সিলিন্ডার আছে বলে অন্য গাড়িগুলো আসতে দিচ্ছে না। আমি পায়ে ব্যথা পেয়েছিলাম। রাষ্ট্রপতি ভবনের চার-পাঁচটি সিঁড়ি উঠতেই আমার অসুবিধা হচ্ছিল। আমার স্ত্রী ছোটখাটো মানুষ, ফরিদ আহমেদও খুবই ছোটখাটো। আজ ৪০ বছর ফরিদ আমার সঙ্গে আছে। সেই এসএসসি পাস করা ছোট্ট বাচ্চাটি আমার কাছে থেকেই এমএ করেছে। ’৮১ সালে যখন গিয়েছিল তখন যেমন ছোটখাটো ছিল এখনো তা-ই আছে শুধু চুলে পাক ধরেছে। বেশ কষ্ট করে বঙ্গভবনের পাঁচ-ছয়টি সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠেছিলাম। বঙ্গভবনের ভিতরে অনেক দূর যেতে হয়। হেঁটে যেতে তাল সামলাতে পারছিলাম না, হুইল চেয়ার চেয়েছিলাম। খুঁজে পেতে তারা চেয়ার পাচ্ছিলেন না। বারান্দার পাশেই এক ঘরে নিয়ে বসিয়েছিলেন। অনেকটা কষ্ট করেই সেখানে গিয়েছিলাম। তখন আজান হচ্ছিল। সেখানেই চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেছিলাম। প্রায় ছয়-সাত মাস জায়নামাজে বসে নামাজ আদায় করতে পারি না। ফিজিওথেরাপির লোকেরা বাড়ি এসে টেপাটেপি করে যাচ্ছে। হাতের দিকটা অনেকটা ভালো হয়ে গেছে। ’৮৭-৮৮ সালে ডান হাত জমে গিয়েছিল। অসুখটার নাম নাকি ফ্রোজেন শোল্ডার। এখন ডান হাত মোটামুটি কাজ করে, কোনো অসুবিধা হয় না। ছয়-সাত মাস হলো আবার বাঁ হাতে একই রকমের যন্ত্রণা। ভারতে থাকতে ডান হাত অচল হওয়ার সময়ই ডাক্তাররা বলেছিলেন কখনো না কখনো বাঁ হাতও এমন হবে। ২৫-২৬ বছর পর তা-ই হয়েছে। কয়েক মাসের টেপাটেপিতে হাতের যন্ত্রণা চলে গেছে। এখন আবার হাঁটুতে টান ধরেছে। বছর দশেক আগে নামাজে বসে বাঁ হাঁটুতে ব্যথা পেতাম। মনে হতো জায়নামাজে কেউ সুই ফেলে রেখেছে। ছোট বোনজামাই ডা. জহিরকে কথাটা বলেছিলাম। সে কী এক ওষুধ দিয়েছিল ১৫-২০ দিনেই ব্যথা চলে গিয়েছিল। তারপর অবলীলায় জায়নামাজে বসে নামাজ পড়েছি। এ ছয়-সাত মাস হলো জায়নামাজে বসে নামাজ পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। এজন্য অর্থোপেডিকের ডাক্তার জাহাঙ্গীরকে বলেছিলাম এবং মাসখানেক পুঙ্গু হাসপাতালে অর্থোপেডিকে গিয়ে সেকটেক দলাইমলাই করিয়েছি। তেমন ফল পাইনি। কিন্তু বাড়িতে এসে যে দলাইমলাই করে তার কাজে বেশ ফল পেয়েছি। হয়তো আরও দু-এক মাস থেরাপি নিতে হবে। বেঁচে থাকলে ভালো হয়ে যাবে। বঙ্গভবনে আমি বসে ছিলাম। কিন্তু বাকিরা গেটেই ছিল। কারণ গ্যাসের গাড়ি ঢুকতে পারবে না। আমি গাড়ি থেকে নামতেই এক জয়েন সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা। তাকে সমস্যার কথা বললে তিনি হাঁ করে রইলেন। একটু পরে মনে হয় এসএসএফের লোকেরা আমার গাড়ি দিয়েই বাকি প্রতিনিধিদের আনিয়ে নেন। নামাজ শেষে ৬টা বাজার ৫-৬ মিনিট আগে দরবার হলে নির্দিষ্ট জায়গায় যাই। ঠিক ৬টাতেই রাষ্ট্রপতি আসেন। সেই আগের মতোই মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আচার-আচরণ। কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেই আগের মতো আন্তরিকতা, আগের মতোই কথাবার্তা সারল্যের এক মূর্তপ্রতীক। বলেছিলাম, এবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আপনার বক্তব্য অসাধারণ হয়েছে। তিনি খুবই খুশি হলেন। তাঁকে খুশি করার জন্য আমি ওই কথা বলতে যাইনি। সত্যিই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সেদিনের বক্তব্য ছিল অসাধারণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও সুন্দর হয়েছিল। অবাক বিস্মিত হয়েছিলাম একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ মহান ভারতের মহান প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর নাম উচ্চারণ করেননি। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে অন্য যাঁরা ছিলেন তাঁদেরও বলা উচিত ছিল। কেউ বলেননি। আমরা সবাই পড়েছিলাম গয়রহর দলে। সরকারি খরচ ঠিকই হয়েছে। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানটি সামগ্রিক অর্থে জাতীয় হয়নি, দলীয় হয়েছে। তাই বলেছিলাম, মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্য অসাধারণ। তিনি অন্য সময়ের মতোই দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই বলেছিলেন, ‘ভাই! দোয়া করবেন যাতে এখান থেকে সম্মানের সঙ্গে যেতে পারি। আর আপনি তো বোঝেন, আমাদের মতো মানুষের এ জায়গায় পোষায় না। অনেকটাই যেন বন্দী। প্রটোকল ছাড়া এক পা ফেলতে পারি না।’ আমরা সবাই বসেছিলাম নির্দিষ্ট আসনে। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কথা উঠতেই আমরা আমাদের প্রস্তাব পড়ে শুনিয়েছিলাম। প্রস্তাবটি পাঠ করেছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্মসম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। আমরা সেখানে বেশ কয়েকটি কথা বলেছি। বলেছি, রাষ্ট্রপতি যেন দেশের ভালো-মন্দ নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য কমপক্ষে বছরে দুবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। নির্বাচন কমিশন যাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বছরে চারবার বসে। আর এবার কোনো সার্চ কমিটি নয়। আপনি একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। আপনার ধ্যান-জ্ঞান-চেতনার মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করুন। সেখানে সৎ, সাহসী, মেরুদন্ডহীন নয় এমন লোক বাছাই করবেন। কথার এক ফাঁকে তাঁকে বলেছিলাম, সব জায়গায় দলীয় মার্কা দিয়ে নির্বাচন ঠিক নয়। জাতীয় নির্বাচন দলীয় মার্কায় হয় সেটাই ভালো। বড়জোর ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট-রংপুর-বরিশাল-খুলনা-রাজশাহী-ময়মনসিংহ এ ধরনের সিটি করপোরেশনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় হোক, কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে নয়। উপজেলা বা ছোট ছোট পৌরসভাগুলোয় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অশান্তির মূল কারণ। সমাজের সব ক্ষেত্রে মার্কার জন্য অশান্তি ছড়িয়ে পড়ছে, প্রাণহানি ঘটছে। সর্বোপরি মনোনয়নের জন্য লাখ লাখ টাকা এদিক-ওদিক হচ্ছে। তাই সর্বস্তরে দলীয় প্রতীক না দিলে প্রাণহানি, গ্রামে গ্রামে মারামারি ধস্তাধস্তির অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যাবে। একেবারে গ্রাম পর্যায়ে দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন নয় আমার এ মনোভাবকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি খুবই প্রশংসার সঙ্গে মেনে নেন। তিনিও বলেন, গ্রামে গ্রামে মহল্লা মহল্লায় দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন ঠিক নয়। আমার কথা শুনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, ‘আমি আমার ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রামে দলীয় প্রতীক দিতে দিইনি।’ অন্যদিকে দেখলাম অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের ছেলে মাননীয় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও তাঁর এলাকায় দলীয় প্রতীক ব্যবহার থেকে সরেছিলেন। অনেকক্ষণ মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা। খুবই ভালো হয়েছে। আপনজন পেলে মানুষ যেমন করে ঠিক তেমনি ছাড়তে চাচ্ছিলেন না। তবু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আমরাও তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করে চলে এসেছিলাম।

 

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিবিজড়িত দিন পবিত্র আশুরা
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ফুল আর জুতার মালা মুদ্রার দুই পিঠ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
সর্বশেষ খবর
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার
ছিটকে গেলেন মহারাজ, প্রোটিয়াদের নেতৃত্বে মুল্ডার

৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ
কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা

২৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত
রুমায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএর কমান্ডারসহ ২ জন নিহত

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন
নতুন গানে কন্ঠ দিলেন সাবিনা ইয়াসমিন

৩২ মিনিট আগে | শোবিজ

ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’
ওয়াটারলু উৎসবে বাংলাদেশের ‘আনটাং’

৩৮ মিনিট আগে | শোবিজ

অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার
অবশেষে পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮
ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবিতে ৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৮

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ
বয়সের বাধা পেরিয়ে ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’
‘কফি খাচ্ছিলাম চিল করছিলাম, হঠাৎ দেখি ৫ উইকেট নেই’

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন
শ্রম বিষয়ক হেল্পলাইনের ১৬৩৫৭ আপগ্রেডেড ভার্সন উদ্বোধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী
বস্ত্র খাতে আট মাসে বেকার ২৬ হাজার কর্মী

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ
আকুর বিল ২০২ কোটি ডলার, কমবে রিজার্ভ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার
চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু
শরীয়তপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা
গবেষণায় উৎকর্ষতার স্বীকৃতি পেলেন আইইউবিএটির শিক্ষার্থীরা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
ভিজিএফের কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান
জাপানি কর্মকর্তাদের স্মরণে জাইকার শ্রদ্ধানুষ্ঠান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো
র‍্যানসমওয়্যার হামলা: গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা
খেলাপির ঝুঁকিতে ৬০০ কারখানা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩ জুলাই)

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
দিনাজপুরে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘ

৮ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন
বগুড়ার শেরপুরে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচির উদ্বোধন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে যা বললেন মিরাজ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা
গাজা যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব পেয়েছে হামাস, চলছে আলোচনা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
ঝিনাইদহে ১৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত
কর্মস্থল থেকে উধাও এসপি আরিফুর বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

১৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

১৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ
স্ত্রী-সন্তানকে মাসে ৪ লাখ রুপি দিতে হবে, শামিকে আদালতের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব
ইরানের কাছ থেকে লিখিত বার্তা পেল সৌদি আরব

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ
শেখ রেহানার স্বামী-দেবরের জমিসহ ১০ তলা ভবন ক্রোকের নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন
রংপুর-৪ আসনে এনসিপির প্রার্থী আখতার হোসেন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের
আইএইএ’র সঙ্গে সম্পর্ক স্থগিতের আইন অনুমোদন ইরান প্রেসিডেন্টের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার
চোরাই স্বর্ণ পড়ে টিকটকে স্ত্রীর অভিনয়, স্বামী গ্রেপ্তার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার
সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল
এক বছরে মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে: আসিফ নজরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!
ছাত্রলীগের তালিকায় দেওয়া হয়েছিল বিসিএসে নিয়োগ!

প্রথম পৃষ্ঠা

নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি
নূরুলের মুখে রাতের ভোটের ভয়ংকর কাহিনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ
ক্ষমতার লোভে বিপ্লবের সর্বনাশ

সম্পাদকীয়

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম
ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা
৯৪ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানির সম্ভাবনা

পেছনের পৃষ্ঠা

রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর
রাতের বেপরোয়া পরিবহন খুবই ভয়ংকর

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ
রাজধানীতে অরক্ষিত ফুটওভার ব্রিজ

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা
ফুটবলে ইতিহাস গড়ল দেশের মেয়েরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা
নগদের মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ ঘিরে জটিলতা

পেছনের পৃষ্ঠা

সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ
সম্পদের পাহাড় তারিকের, জব্দের আদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
হাতপাখার মিটিং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন হাসপাতাল!
এ কেমন হাসপাতাল!

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল
দুর্নীতিতে অলরাউন্ডার কামাল

প্রথম পৃষ্ঠা

গুমের অন্ধকার অধ্যায়
গুমের অন্ধকার অধ্যায়

প্রথম পৃষ্ঠা

আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি
আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূত

প্রথম পৃষ্ঠা

তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’
তৌসিফ-তটিনীর ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড
হাসিনার ছয় মাস কারাদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় নির্বাচন, সব দল একমত

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস
অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আভাস

প্রথম পৃষ্ঠা

মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে
মালয়েশিয়া সর্বোচ্চ ৪০ হাজার কর্মী নেবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাবি-জিনাত রেহানা
ভাবি-জিনাত রেহানা

শোবিজ

শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই
শিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই

শোবিজ

বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে
বুঝে না বুঝে হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে

নগর জীবন

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল!

পেছনের পৃষ্ঠা

এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি
এনআইডি সংশোধনে কমেছে ভোগান্তি

নগর জীবন

এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার
এনডিপির মহাসচিব সোহেলকে বহিষ্কার

নগর জীবন

ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার
ধর্ষণের বিচার দাবিতে মানববন্ধন, শ্রমিক দল নেতা বহিষ্কার

দেশগ্রাম

সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার
সাবেক এমপি দুর্জয় গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা