শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

জেলা প্রশাসক সম্মেলন

প্রশাসন নিবেদিত হোক জনগণের সেবায়

সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা রাষ্ট্র ও সরকারের সব ব্যয় নির্বাহ হয় জনগণের টাকায়। সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সেবার আশায় গিয়ে তারা যদি উপেক্ষার শিকার হন তা নিশ্চিতই দুর্ভাগ্য। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে বলেছেন, সরকারি সেবা নিতে এসে কোনো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়। এ বিষয়ে সবাইকে নজর রাখার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকদের সক্রিয় ভূমিকা থাকতে হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২২ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর উপরোক্ত বক্তব্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যের দাবিদার। জেলা প্রশাসকরা জেলা পর্যায়ে সরকারের চোখ-কানের ভূমিকা পালন করেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তাদের দায় দেশের মালিক-মোক্তার সাধারণ মানুষের প্রতি। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি তথা সরকারের প্রতি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশ ২০০ বছর ধরে বিদেশি শাসনের নাগপাশে আবদ্ধ ছিল। সে শাসনে সাধারণ নাগরিক ছিল উপেক্ষিত। ৩০ লাখ মানুষের আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে দেশে নিজেদের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর একাংশের মধ্যে ঔপনিবেশিক আমলের মানসিকতা এখনো বিদ্যমান। সরকারি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যে হয়রানির শিকার হয় তা ওপেন সিক্রেট। এ অকাম্য অবস্থার অবসানেই প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে তাদের গণমুখী ভূমিকা পালনের তাগিদ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসকরা তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় মানুষ সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখলে হয়রানির বিড়ম্বনার পুরোপুরি অবসান না হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যে ২৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন তা খুবই প্রাসঙ্গিক। এগুলো প্রতিপালিত হলে দেশের মানুষের কল্যাণ যেমন নিশ্চিত হবে তেমন শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার ভিতও জোরদার হবে। আমরা আশা করব জেলা প্রশাসক সম্মেলন মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা সম্পর্কে সরকারের উপলব্ধির পরিসর বাড়াতে অবদান রাখবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের লক্ষ্য পূরণে জেলা প্রশাসকদের করণীয় কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর