শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকার বায়ুদূষণ

দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রাজধানীর বাতাসে দূষিত বস্তুকণার পরিমাণ ইতোমধ্যে এমন মাত্রায় বেড়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশ্বের বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজুয়াল সতর্ক করে বলেছে, ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকবে। এ সময় বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া ও দূষিত বায়ু যাতে ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর যেসব শহর বায়ুদূষণে ধুঁকছে সে তালিকায় বিশ্বের ১০০ বড় শহরের মধ্যে ঢাকা ছিল শীর্ষে। ভারতের দিল্লি সবার ওপরে, ঢাকা ঠিক তার পরেই। কখনো ঢাকা দিল্লিকেও ছাড়িয়ে যায়। ‘দ্য স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার-২০১৯’ শীর্ষক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের শতভাগ মানুষ দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করে বাংলাদেশ তার অন্যতম। আর বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের ফলে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পঞ্চম। সম্প্রতি স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সূচকে দূষণমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২১৯.৫৯-তে, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর। ‘এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স’-এর তথ্যমতে, ঢাকায় বায়ুদূষণ না থাকলে মানুষ আরও প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারত। এ ছাড়া একই কারণে সারা দেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় পাঁচ বছর চার মাস। বায়ুদূষণ রোধে শহরে প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা পরপর পানি ছিটানো, ধুলা সংগ্রহে সাকশন ট্রাক ব্যবহার, নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণস্থান ঢেকে রাখা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, ব্যক্তিগত-ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ, প্রচুর গাছ লাগানো, জলাধার সংরক্ষণ, সাইকেল লেন, সিটি গভর্ন্যান্স প্রচলন, নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকার পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারের সংস্থাগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর