শনিবার, ২১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

চালের দাম

খোলাবাজারে বিক্রি বাড়ানো হোক

বোরো মৌসুমের চাল বাজারে আসা শুরু করতেই দেশের প্রধান এ খাদ্যশস্যের দাম বাড়ল। ঢাকা, কুষ্টিয়া ও নওগাঁর পাইকারি বাজারে চালের দাম ধরনভেদে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। সেখানে দাম বেড়েছে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা। যদিও খুচরা বাজারের চাল ব্যবসায়ীদের আগের কেনা। বাড়তি দামের চাল খুচরায় পৌঁছেনি। সাধারণত বোরো মৌসুম শুরু হলে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। স্বস্তি পায় মানুষ। এ মৌসুমে দাম কমে যাওয়ার কারণ বোরোয় দেশের মোট চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বিপুল সরবরাহ দাম কমিয়ে দেয়। এবার দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। নতুন মৌসুমের চাল বাজারে এসে যখন দাম কমার কথা, তখনই সরবরাহ কম এবং দাম বাড়ছে। জানা গেছে, চালের ব্যবসায় যুক্ত বড় শিল্প গ্রুপগুলো একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ধান ও চাল কেনা শুরু করেছে। এতেই অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের ৫০ কেজির বস্তায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় কোম্পানিগুলো ধান কিনে মজুদ করছে। আবার ছোট ও মাঝারি মজুদদাররাও এ পথে ঝুঁকছেন। আছে মিল মালিকদের তৎপরতাও। সম্প্রতি সয়াবিন তেল নিয়েও এমন পরিস্থিতি হয়েছে। বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার সময়ই একশ্রেণির ব্যবসায়ী তেল কিনে মজুদ করেন। একপর্যায়ে বাজারে সরবরাহে সংকট তৈরি হয়। তেলের দাম বাড়ানোর পর সরকার অভিযানে নেমে বিভিন্ন গুদাম, দোকান, ঘরবাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল জব্দ করে। এ অভিযান দেরিতে শুরু হওয়ায় সমালোচনাও হয়। কারণ ততক্ষণে ভোক্তারা ভোগান্তিতে পড়ে যায়। তাই চালের বাজার বড় গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের উচিত খোলাবাজারে চালের বিক্রি বাড়ানো। এতে দরিদ্র ও সীমিত আয়ের মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর