বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ভেজাল প্রসাধনী

প্রশাসনকে কড়া হতে হবে

ভেজাল প্রসাধনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের ভোক্তারা। নামিদামি কোম্পানির প্রসাধনের নামে যা বিক্রি হচ্ছে তার সিংহভাগই নকল ও ভেজাল। বিশেষ করে রং ফরসাকারী ক্রিমের নামে চলছে সীমাহীন প্রতারণা। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকেও এ ব্যাপারে ব্যবহার করা হচ্ছে যথেচ্ছভাবে। চিকিৎসকদের মতে, সারা পৃথিবীতে কোথাও রং ফরসাকারী ক্রিম ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে ফরসা হওয়ার উদাহরণ নেই। অথচ বেনামি প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়াই তাদের পণ্য ব্যবহারে রং ফরসা হয় এমন উদ্ভট দাবি করে ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করছে। দীর্ঘ মেয়াদে এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্যান্সার ও নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ভেজাল এসব পণ্যে থাকে পারদজাতীয় বিভিন্ন উপাদান। আর পারদজাতীয় ভারী ধাতু শরীর থেকে বের হতে পারে না। শরীরে দীর্ঘ সময় অবস্থানের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পারদ ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ব্রণের জন্য ব্যবহৃত হাইড্রোকুইনন ক্রিম ত্বকের স্বাভাবিক গঠন পরিবর্তন করে। রং ফরসাকারী ক্রিম, ব্রণ বা মেছতার ক্রিম মেখে ত্বকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে এখন অনেক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে। চিকিৎসকদের মতে, ভেজাল প্রসাধনীতে স্টেরয়েডের মতো পদার্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ব্যবহারে মুখের ত্বক পাতলা হয়ে যায়, ত্বকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন হয়। এ ধরনের ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। ভেজাল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকারীরা বলেছেন, চীন থেকে বিশ্বের নামিদামি কোম্পানির নকল হলোগ্রাম ও বিভিন্ন প্রসাধনীর মোড়ক অবৈধ উপায়ে দেশে আনা হয়। সেগুলো দিয়ে পরে নকল ও ভেজাল প্রসাধনীকে বিশ্বমানের পণ্যে রূপান্তর করা হয়। যে কারণে পাড়া-মহল্লায় পারলার এবং দোকানেও এখন বিশ্বখ্যাত প্রসাধনী কোম্পানির প্রসাধনী পাওয়া যায়। যা নকল শুধু নয়, ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর