শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ জুন, ২০২২

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

শাবান মাহমুদ
প্রিন্ট ভার্সন
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করল গত বছর। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা আজ বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের প্রাণের ঠিকানা বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে উন্নত দেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে। আমাদের স্বপ্নজয়ী বীরের জাতি বাঙালি আজ আলোর পথের যাত্রী। বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। প্রিয় স্বদেশ আজ মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক দেশ।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলার মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার ঠিকানা, জাতির প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আজ টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। মহান সৃষ্টিকর্তা রব্বুল আলামিনের কৃপাবলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। জাতি হিসেবে আজ আমরা শুধু গর্বিতই নই, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে গবেষণার বিষয়। বাংলাদেশের সাহসী ও সাফল্যের অগ্রযাত্রায় যার নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে তিনি আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতি দল-মত নির্বিশেষে গভীর আত্মবিশ্বাসে উপলব্ধি করে হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই সাহসী ও নেতার নেতৃত্বে। স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বনেতার আসনে প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কেবল বাংলাদেশের মানুষের কাছেই নয়, বিশ্ববাসীর কাছেও অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বিত ঠিকানা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদরের ছোট কন্যা শেখ রেহানাও আমাদের অনুপ্রেরণা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কী পেল বাংলাদেশ? ৫০ বছরের বন্ধুর পথযাত্রায় বাংলাদেশের অর্জন কী? আমরা কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? আমরা কি সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্যমুক্ত হতে পেরেছি? স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কতটা সফল? জাতি হিসেবে আমরা কি মর্যাদার প্রতীক? আমরা কি নিরক্ষরমুক্ত জাতি? আমাদের নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আত্মনির্ভর স্বাধীন সার্বভৌম জাতির মর্যাদা কি সুপ্রতিষ্ঠিত? আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন কি বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয়? তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাভোগী সড়ক যোগাযোগসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন কি প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির কাছাকাছি? এসব প্রশ্নের হয়তো পৃথক জবাব আসবে। কারণ উন্নয়নবিরোধীরা, নিন্দুকেরা হয়তো এখনো তৎপর। আমি যদি বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকসমাজের কাছে বিনীতভাবে জানতে চাই- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে যারা পালাবদলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন তারা কি সব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন? এক কথায় উত্তর আসবে, না।

আওয়ামী লীগের বাইরে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে তারা কি সবাই এ বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন? তারা কি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্মাণে কাজ করেছেন? তারা কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের চিরচেনা মুখ? বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তারা কি যথার্থ সম্মান দেখিয়েছেন? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন? এ দেশের সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই এমন প্রশ্নের জবাবে বলবে, একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া ক্ষমতাভোগী অন্য কোনো দল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেনি। এ দেশের মানুষের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন স্বাধীনতার ৫০ বছরে যা কিছু অর্জন তা কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফসল। আমি পেশাগত কাজের সুবাদে এখন বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লিতে কর্মরত। প্রায় দেড় শ কোটি মানুষের দেশ ভারতের গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে আমার কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ। দিল্লিতে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়াও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। বিশ্বখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা এখন বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছেন। কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর সাফল্যের নেপথ্য জাদু কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সাফল্যের মূল শক্তি কী? বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব হলো? এসব প্রশ্নের জবাবে আমি পাল্টা প্রশ্ন করি সাংবাদিকদের কাছে, এ বিষয়ে আপনাদের মূল্যায়ন কী? প্রায় সবার একই পর্যবেক্ষণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা এবং গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকা সারা বিশ্বে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়। সেদিন যদি ভারত পক্ষে না দাঁড়াত মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত কি না তা আজও গবেষণার দাবি রাখে। তৎকালীন ভারত সরকার বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা রেখেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয়। ভারত তাই আজও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের আকাশছোঁয়া উন্নয়নে পুলকিত ভারতের সর্বস্তরের মানুষ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত এখন অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের ঐতিহাসিক সম্পর্কের অন্য মাত্রায় দুই দেশের মানুষের মধ্যেও যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়। দিল্লিতে আমার স্বল্পকালীন কূটনৈতিক জীবনে যা প্রত্যক্ষ করেছি খুব কাছ থেকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আন্তরিক ভূমিকায় দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধন যে কোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায়। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তে লেখা ইতিহাস। এ সম্পর্ক বন্ধুত্বের, ভ্রাতৃত্বের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দও বিশ্বাস করেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর সন্তোষজনক সমাধানও তারই প্রমাণ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাব হিসেবে খ্যাত অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবসহ, কলকাতা প্রেস ক্লাব, ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়, চ-ীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাঞ্জাব রাজ্যের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার ও বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণে ভারত সরকারসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি ও আবেগের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোয় ব্যাপকভাবে তা প্রচারিত হওয়ায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের নতুন প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণাদায়ক নন্দিত মহান নেতার নাম। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিভিন্ন সুধীমহল ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং প্রেস ক্লাব থেকে প্রস্তাব আসছে। এ ঐতিহাসিক যাত্রায় ভারতের মানুষের কাছে বিশ্বনন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও আদর্শিক অবস্থানকে যেন স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধু যেন এক আলোকিত অধ্যায়। ভারতের নতুন প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশ সফরে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে আমি যোগদান করি ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করি। প্রায় প্রতিদিন কাজ শেষে ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাব, ফরেন করেসপনডেন্ট ক্লাব অব সাউথ এশিয়াসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন কার্যালয়ে আমার যাতায়াত শুরু হয়। কর্মক্ষেত্রে যোগদানের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব ও গড়ের মাঠে বিশাল সুধীসমাজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। গত এক দশকে ভারতে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন। পুরো অনুষ্ঠান ঘিরে পশ্চিম বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মহাতারকাদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীও যোগ দেন অনুষ্ঠানে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতা উপহাইকমিশন কার্যালয় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ঐতিহাসিক গড়ের মাঠে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তা দুই বন্ধুরাষ্ট্রের গণকূটনীতিতেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। স্মরণকালের এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহসী সাংবাদিকতার জন্য ভারতের কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর যোদ্ধাকে পদক তুলে দেওয়া হয়। পর দিন আমরা ছুটে যাই শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন পরিদর্শনে। সেখানে গিয়ে মনটা প্রথমেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ প্রতিকৃতি দেখে। আমার কয়েক দিনের দিল্লি দর্শনে কোথাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি চোখে পড়েনি। তবে দিল্লি শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ হয়েছে সম্প্রতি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক প্রয়াত হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দায়িত্বে থাকাবস্থায় এ সড়কের নামকরণ করা হয়।

শুরু থেকেই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নামে সৃজনশীল কিছু একটা করার প্রবল বাসনা আমাকে তাড়া দিতে থাকে। গত বছরের আগস্ট। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। কোনো এক সন্ধ্যায় ভারতের খ্যাতনামা সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমার প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়। ভারতের প্রেস ক্লাব যদিও প্রচলিত আছে- সদস্য সংখ্যার বিবেচনায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রেস ক্লাব। গৌতম লাহিড়ী বাংলাদেশের পরম বন্ধু। দিল্লির এই খ্যাতনামা প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ নির্মাণের প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করলেন গৌতম দাদা। আমাকে আশ্বস্ত করলেন তিনি। গৌতম লাহিড়ীর সঙ্গে আলোচনার পর আমি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আমাকে উৎসাহিত করলেন। বললেন, এটি ভালো প্রস্তাব। প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাঁর গভীর আন্তরিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। মান্যবর হাইকমিশনারের ইতিবাচক মনোভাব আমার আত্মবিশ্বাসকে আরও সৃদৃঢ় করে। আমি এ ব্যাপারে কথা বলি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে। তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মান্যবর হাইকমিশনারও দ্রুত যোগাযোগ করেন এ বিষয়ে তাঁর সম্মতি ও সহযোগিতার জন্য। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের প্রস্তাব পেয়ে আগ্রহভরে জানতে চান অর্থায়ন কীভাবে হবে? বাজেট কত? তিনি আমাকে প্রেস উইং থেকে বাজেট সমন্বয় করে এ মহতী উদ্যোগ সফল করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সত্যিই সেদিন মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর গভীর আন্তরিকতায় আর তাঁর সময়োপযোগী দিকনির্দশনায় দিল্লির প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ নির্মাণের কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। আগস্ট শোকের মাস। মান্যবর হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান আমাকে বললেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ চূড়ান্ত হয়। তখন ভারতজুড়ে করোনাকাল। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। সন্দেহ, সংশয় ছিল করোনা দুর্যোগে তথ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে। আমার মনটা হঠাৎ বিষণœœ হয়ে উঠল। যদি তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারেন তাহলে কী হবে? প্রেস মিনিস্টার হিসেবে আমার প্রথম এমন একটি মহতী উদ্যোগ কালের সাক্ষী হতে পারবে না? প্রায়ই টেলিফোনে যোগাযোগ করে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করতাম। তিনি সব সময় এ ব্যাপারে ছিলেন প্রাণবন্ত। অবশেষে সব সংশয়ের অবসান। তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগরতলা হয়ে দিল্লিতে এলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এলেন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি, প্রেস ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম নারী সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। দৈনিক আমাদের সময়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা ছিলেন মন্ত্রীর সফরসঙ্গী।

৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রায় ৫ হাজার কর্মরত সাংবাদিকের প্রিয় প্রতিষ্ঠান দিল্লির অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে তখন ভারতের শীর্ষ প্রিন্ট মিডিয়া ও বহুল প্রচারিত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকের মিলনমেলা। ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাবের মূল ভবনে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশ-ভারতের পরীক্ষিত বন্ধুত্বে যুক্ত হলো এক নতুন মাত্রা। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রশংসিত হয় ভারতের সাংবাদিকসমাজ ও রাজনীতিসচেতন মহলে। ভারতের ক্ষমতাসীন দলেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিক -সমাজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি যেভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করল তা বাংলাদেশের মানুষ স্মরণে রাখবে। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামে ভারতের মানুষের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তের ইতিহাসে লেখা। এ সম্পর্ক চিরবন্ধনের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের চোখেই তখন আবেগের জল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনও বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি উমাকান্ত লাখেরা ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার নির্মাণকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকে দুই দেশের প্রেস ক্লাবের সদস্যরা সব ধরনের সুযোগ পাবেন। ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আমার বাসায় মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের আগে এ আলোচনার ফাঁকে তথ্যমন্ত্রীকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার করার অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক কলকাতা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলতে আমাকে উৎসাহিত করেন। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি স্নেহাশীষ সুরের সঙ্গে মন্ত্রীর সামনেই কথা হয়। মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দেন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। কলকাতা প্রেস ক্লাবের মূল ভবনে বঙ্গবন্ধু স্বমহিমায় আলোকিত। পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোকোজ্জ্বল উপস্থিতিতে স্মৃতিকাতর সেখানকার প্রবীণ-নবীন সাংবাদিকরা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে স্মরণ করায় গর্বিত পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকসমাজ। কলকাতার ধারাবাহিকতায় পরে বঙ্গবন্ধু কর্নারের শুভ উদ্বোধন হয় আসাম রাজ্যের বিখ্যাত ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও প্রধান অতিথি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী। মাত্র দেড় মাস আগে ভারতের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাঞ্জাবের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়সহ চ-ীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের শুভ উদ্বোধন করেন মান্যবর হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। দুটি অনুষ্ঠানেই হাইকমিশনের সব সিনিয়র কর্মকর্তা অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানগুলোকে প্রাণবন্ত করেন। ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, অরুণাচল থেকে গুজরাট বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর ঘটনা সত্যিই অনুপ্রেরণা আর উৎসাহের। বিশ্বনন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু এভাবেই অমর হয়ে থাকবেন ভারতের মানুষের কাছে, বিশ্ববাসীর ভালোবাসায়। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু চেয়ার নিয়ে। আমার বিশ্বাস, ভারতের অন্য খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আরও মহতী উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুই দেশের নতুন প্রজন্ম সুযোগ পাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা ও গবেষণার। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক চির-অটুট থাকুক। জয় হোক বন্ধুত্বের।

                লেখক : প্রেস মিনিস্টার, বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লি, ভারত।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
বাড়ছে বেকারত্ব
বাড়ছে বেকারত্ব
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
জুলাই আন্দোলনে বিজিবি : ভ্রান্তি বনাম বাস্তবতা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
সোমবার রোজা রাখা
সোমবার রোজা রাখা
সর্বশেষ খবর
চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর
চতুর্থ ধাপে একাদশে ভর্তি: বাদ পড়াদের জন্য সুখবর

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

১২ মিনিট আগে | শোবিজ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৭ সেপ্টেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন
সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২
কুমিল্লায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রাজধানীতে মাদক বিক্রেতাদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক
অসহায় পরিবারকে সেলাই মেশিন ও ব্যবসা উপকরণ দিলেন জেলা প্রশাসক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা
কুমিল্লায় এবার ৮১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে ১৫৫ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন
জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো হুংকারেই নির্বাচন ঠেকানো যাবে না: জাহিদ হোসেন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার
সিরাজগঞ্জের ডাকাতি মামলার আসামি শ্রীপুরে গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
শিবচরে যুবককে কু‌পি‌য়ে হত্যা: ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট
কারাবন্দিদের করানো হচ্ছে ডোপ টেস্ট

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন
ঢাকাস্থ চীনের ভিসা অফিস বন্ধ থাকবে ৮ দিন

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার
ডোপ টেস্টে পজিটিভ, নিষিদ্ধ ডাচ পেসার

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬৫

৭ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি
বিস্ফোরক মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৬৬ জনকে অব্যাহতি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভারত অঙ্গীকারবদ্ধ : হাইকমিশনার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ
লক্ষ্মীপুরে ১৫০০ শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?
বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে
অস্থায়ী প্রশাসক বসছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংকে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা
রাশিয়া-বেলারুশের সামরিক মহড়ায় হঠাৎ হাজির মার্কিন কর্মকর্তারা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের
সারাদেশে টানা বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২
এনবিআরে ১৮২ জনের দপ্তর বদল, বাধ্যতামূলক অবসর ও বরখাস্ত ২

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প
ইসরায়েল আর কোনো হামলা চালাবে না কাতারে : ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
আফ্রিদি-জয় শাহর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ
কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানাল বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঝ আকাশে অসুস্থ যাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন
আম্বানিপুত্রের চিড়িয়াখানায় অবৈধ প্রাণী-বাণিজ্য, অভিযোগ ভিত্তিহীন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ
সুপার ফোরে যেতে বাংলাদেশের সামনে যে সমীকরণ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত
ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না
চীনে আইফোন ১৭ উন্মাদনা, দাম নিয়ে কেউ ভাবছে না

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ফের ভেনেজুয়েলার কথিত ‘মাদকবাহী’ নৌযানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জে ৬ কারখানার বিদ্যুৎ-গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই সমান অধিকার পাবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব
এলডিসি থেকে উত্তরণ ৩ বছর পিছিয়ে দিতে চায় সরকার : বাণিজ্য সচিব

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’
‘ভাঙ্গায় আন্দোলনে ফ্যাসিস্টরা ঢুকে সহিংসতা চালিয়েছে’

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত
বিসিএস পরীক্ষার জন্য কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬
আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৬

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন
দশ বছর ধরে ছাদে পাখিদের আপ্যায়ন

১৬ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’
‘আমার নাম স্বস্তিকা, আমি বুড়িমা নই’

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন
কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা
গত ১ বছরে একটা দিক থেকেও দেশ ভালো চলেনি : রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?
নেপাল পারলে কেন পারবে না বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
সাড়ে ৩ হাজার সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি

২০ ঘণ্টা আগে | হেলথ কর্নার

প্রিন্ট সর্বাধিক
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি
রাজনীতিতে উত্তাপ চায় না বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

এটি সরকারি স্কুল!
এটি সরকারি স্কুল!

নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ
প্রধান উপদেষ্টার অনুরোধ এবং এক-এগারোর বিস্ফোরণ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা
বিএনপির প্রার্থী হতে চান পাঁচ নেতা

নগর জীবন

মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা
মাঠে বিএনপিসহ অন্য দলের নেতারা

নগর জীবন

বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর
বগুড়ায় হচ্ছে নদীবন্দর

নগর জীবন

অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অতিরিক্ত সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে
বিএনপির বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে

নগর জীবন

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা
চালের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধন ফর্মুলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা
বেশি কষ্টে নগর দরিদ্ররা

পেছনের পৃষ্ঠা

জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার
জাফলংয়ে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার

নগর জীবন

সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে

নগর জীবন

তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত
তিন মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

নগর জীবন

দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক
দ্বিতীয়বারের মতো মেরিনার হাতে আগা খান পদক

নগর জীবন

শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক
শিল্পকলা একাডেমিতে নতুন মহাপরিচালক

নগর জীবন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকের পদত্যাগ

নগর জীবন

এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ
এনসিপি রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কের পদত্যাগ

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে
আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে

নগর জীবন

মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা
মার্কিনিদের মধ্যে বেড়েছে বিষণ্নতা

পূর্ব-পশ্চিম

কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২
কষ্টিপাথরের মূর্তিসহ আটক ২

দেশগ্রাম

সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
সৌদি যুবরাজকে যা বললেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

পূর্ব-পশ্চিম

জাতিসংঘের সতর্কবার্তা
জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

নগর জীবন

মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

দেশগ্রাম

গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮
গাজা সিটিতে ইসরায়েলের স্থল অভিযান, নিহত ৭৮

পূর্ব-পশ্চিম

রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ
রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ

দেশগ্রাম

সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সারের কৃত্রিম সংকট প্রতিবাদে বিক্ষোভ

দেশগ্রাম

দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা
দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দেশগ্রাম

পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত
পাকিস্তানে বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা নিহত

পূর্ব-পশ্চিম

ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক
ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

দেশগ্রাম