শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০১ জুন, ২০২২

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

শাবান মাহমুদ
প্রিন্ট ভার্সন
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করল গত বছর। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা আজ বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত। আমাদের প্রাণের ঠিকানা বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে উন্নত দেশের গর্বিত নাগরিক হিসেবে। আমাদের স্বপ্নজয়ী বীরের জাতি বাঙালি আজ আলোর পথের যাত্রী। বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। প্রিয় স্বদেশ আজ মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ আর সাম্প্রদায়িকতার অভিশাপমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক দেশ।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলার মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার ঠিকানা, জাতির প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা আজ টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। মহান সৃষ্টিকর্তা রব্বুল আলামিনের কৃপাবলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়। জাতি হিসেবে আজ আমরা শুধু গর্বিতই নই, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে গবেষণার বিষয়। বাংলাদেশের সাহসী ও সাফল্যের অগ্রযাত্রায় যার নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে তিনি আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাঙালি জাতি দল-মত নির্বিশেষে গভীর আত্মবিশ্বাসে উপলব্ধি করে হাজার বছরের পরাধীনতা থেকে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু, বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই সাহসী ও নেতার নেতৃত্বে। স্বাধীন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বনেতার আসনে প্রতিষ্ঠিত আমাদের প্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কেবল বাংলাদেশের মানুষের কাছেই নয়, বিশ্ববাসীর কাছেও অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বিত ঠিকানা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদরের ছোট কন্যা শেখ রেহানাও আমাদের অনুপ্রেরণা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে কী পেল বাংলাদেশ? ৫০ বছরের বন্ধুর পথযাত্রায় বাংলাদেশের অর্জন কী? আমরা কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম? আমরা কি সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্যমুক্ত হতে পেরেছি? স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে কতটা সফল? জাতি হিসেবে আমরা কি মর্যাদার প্রতীক? আমরা কি নিরক্ষরমুক্ত জাতি? আমাদের নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আত্মনির্ভর স্বাধীন সার্বভৌম জাতির মর্যাদা কি সুপ্রতিষ্ঠিত? আমাদের নারীর ক্ষমতায়ন কি বিশ্ববাসীর কাছে অনুকরণীয়? তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাভোগী সড়ক যোগাযোগসহ সব অবকাঠামো উন্নয়ন কি প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির কাছাকাছি? এসব প্রশ্নের হয়তো পৃথক জবাব আসবে। কারণ উন্নয়নবিরোধীরা, নিন্দুকেরা হয়তো এখনো তৎপর। আমি যদি বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকসমাজের কাছে বিনীতভাবে জানতে চাই- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে যারা পালাবদলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছেন তারা কি সব বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী ছিলেন? এক কথায় উত্তর আসবে, না।

আওয়ামী লীগের বাইরে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে তারা কি সবাই এ বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন? তারা কি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নির্মাণে কাজ করেছেন? তারা কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের চিরচেনা মুখ? বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তারা কি যথার্থ সম্মান দেখিয়েছেন? তারা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিয়েছেন? এ দেশের সাধারণ মানুষ নিশ্চয়ই এমন প্রশ্নের জবাবে বলবে, একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া ক্ষমতাভোগী অন্য কোনো দল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করেনি। এ দেশের মানুষের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন স্বাধীনতার ৫০ বছরে যা কিছু অর্জন তা কেবল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের ফসল। আমি পেশাগত কাজের সুবাদে এখন বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লিতে কর্মরত। প্রায় দেড় শ কোটি মানুষের দেশ ভারতের গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে আমার কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ। দিল্লিতে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ছাড়াও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ সব গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। বিশ্বখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীরা এখন বাংলাদেশ নিয়ে ভাবছেন। কৌতূহলী দৃষ্টিভঙ্গিতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা আমাকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের এ বিস্ময়কর সাফল্যের নেপথ্য জাদু কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক সাফল্যের মূল শক্তি কী? বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব হলো? এসব প্রশ্নের জবাবে আমি পাল্টা প্রশ্ন করি সাংবাদিকদের কাছে, এ বিষয়ে আপনাদের মূল্যায়ন কী? প্রায় সবার একই পর্যবেক্ষণ শেখ হাসিনার দূরদর্শী চিন্তা এবং গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ও মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকা সারা বিশ্বে স্বীকৃত। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে যে বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়েছে তা বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক চিরস্মরণীয় অধ্যায়। সেদিন যদি ভারত পক্ষে না দাঁড়াত মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারত কি না তা আজও গবেষণার দাবি রাখে। তৎকালীন ভারত সরকার বিশেষ করে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতায় যে ভূমিকা রেখেছেন তা বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয়। ভারত তাই আজও বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশের আকাশছোঁয়া উন্নয়নে পুলকিত ভারতের সর্বস্তরের মানুষ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের বন্ধুত্বের দৃষ্টান্ত এখন অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকারের ঐতিহাসিক সম্পর্কের অন্য মাত্রায় দুই দেশের মানুষের মধ্যেও যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়। দিল্লিতে আমার স্বল্পকালীন কূটনৈতিক জীবনে যা প্রত্যক্ষ করেছি খুব কাছ থেকে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আন্তরিক ভূমিকায় দুই দেশের মানুষের মেলবন্ধন যে কোনো সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায়। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তে লেখা ইতিহাস। এ সম্পর্ক বন্ধুত্বের, ভ্রাতৃত্বের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দও বিশ্বাস করেন, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। দুই দেশের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ইস্যুর সন্তোষজনক সমাধানও তারই প্রমাণ।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাব হিসেবে খ্যাত অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবসহ, কলকাতা প্রেস ক্লাব, ভারতের আসাম রাজ্যের গৌহাটিতে ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়, চ-ীগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাঞ্জাব রাজ্যের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার ও বঙ্গবন্ধু কর্নার নির্মাণে ভারত সরকারসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে একটা আলাদা অনুভূতি ও আবেগের সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমগুলোয় ব্যাপকভাবে তা প্রচারিত হওয়ায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের নতুন প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণাদায়ক নন্দিত মহান নেতার নাম। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিভিন্ন সুধীমহল ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এবং প্রেস ক্লাব থেকে প্রস্তাব আসছে। এ ঐতিহাসিক যাত্রায় ভারতের মানুষের কাছে বিশ্বনন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও আদর্শিক অবস্থানকে যেন স্থায়ী রূপ দিচ্ছে। বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বঙ্গবন্ধু যেন এক আলোকিত অধ্যায়। ভারতের নতুন প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে বাংলাদেশ সফরে।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লিতে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে আমি যোগদান করি ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করি। প্রায় প্রতিদিন কাজ শেষে ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাব, ফরেন করেসপনডেন্ট ক্লাব অব সাউথ এশিয়াসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন কার্যালয়ে আমার যাতায়াত শুরু হয়। কর্মক্ষেত্রে যোগদানের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব ও গড়ের মাঠে বিশাল সুধীসমাজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। গত এক দশকে ভারতে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন। পুরো অনুষ্ঠান ঘিরে পশ্চিম বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মহাতারকাদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীও যোগ দেন অনুষ্ঠানে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে কলকাতা উপহাইকমিশন কার্যালয় অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ঐতিহাসিক গড়ের মাঠে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তা দুই বন্ধুরাষ্ট্রের গণকূটনীতিতেও বিশেষ প্রভাব ফেলে। স্মরণকালের এ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহসী সাংবাদিকতার জন্য ভারতের কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর যোদ্ধাকে পদক তুলে দেওয়া হয়। পর দিন আমরা ছুটে যাই শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন পরিদর্শনে। সেখানে গিয়ে মনটা প্রথমেই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ প্রতিকৃতি দেখে। আমার কয়েক দিনের দিল্লি দর্শনে কোথাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি চোখে পড়েনি। তবে দিল্লি শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি সড়কের নামকরণ হয়েছে সম্প্রতি। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক প্রয়াত হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দায়িত্বে থাকাবস্থায় এ সড়কের নামকরণ করা হয়।

শুরু থেকেই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নামে সৃজনশীল কিছু একটা করার প্রবল বাসনা আমাকে তাড়া দিতে থাকে। গত বছরের আগস্ট। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি। কোনো এক সন্ধ্যায় ভারতের খ্যাতনামা সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ীর সঙ্গে এ বিষয়ে আমার প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়। ভারতের প্রেস ক্লাব যদিও প্রচলিত আছে- সদস্য সংখ্যার বিবেচনায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ প্রেস ক্লাব। গৌতম লাহিড়ী বাংলাদেশের পরম বন্ধু। দিল্লির এই খ্যাতনামা প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ নির্মাণের প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করলেন গৌতম দাদা। আমাকে আশ্বস্ত করলেন তিনি। গৌতম লাহিড়ীর সঙ্গে আলোচনার পর আমি ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি আমাকে উৎসাহিত করলেন। বললেন, এটি ভালো প্রস্তাব। প্রক্রিয়া শুরু করেন। তাঁর গভীর আন্তরিকতা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। মান্যবর হাইকমিশনারের ইতিবাচক মনোভাব আমার আত্মবিশ্বাসকে আরও সৃদৃঢ় করে। আমি এ ব্যাপারে কথা বলি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে। তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মান্যবর হাইকমিশনারও দ্রুত যোগাযোগ করেন এ বিষয়ে তাঁর সম্মতি ও সহযোগিতার জন্য। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমাদের প্রস্তাব পেয়ে আগ্রহভরে জানতে চান অর্থায়ন কীভাবে হবে? বাজেট কত? তিনি আমাকে প্রেস উইং থেকে বাজেট সমন্বয় করে এ মহতী উদ্যোগ সফল করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। সত্যিই সেদিন মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর গভীর আন্তরিকতায় আর তাঁর সময়োপযোগী দিকনির্দশনায় দিল্লির প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ নির্মাণের কাজটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। আগস্ট শোকের মাস। মান্যবর হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান আমাকে বললেন সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তারিখ চূড়ান্ত হয়। তখন ভারতজুড়ে করোনাকাল। মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। সন্দেহ, সংশয় ছিল করোনা দুর্যোগে তথ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়ে। আমার মনটা হঠাৎ বিষণœœ হয়ে উঠল। যদি তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারেন তাহলে কী হবে? প্রেস মিনিস্টার হিসেবে আমার প্রথম এমন একটি মহতী উদ্যোগ কালের সাক্ষী হতে পারবে না? প্রায়ই টেলিফোনে যোগাযোগ করে মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করতাম। তিনি সব সময় এ ব্যাপারে ছিলেন প্রাণবন্ত। অবশেষে সব সংশয়ের অবসান। তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগরতলা হয়ে দিল্লিতে এলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এলেন ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি, প্রেস ক্লাবের ইতিহাসের প্রথম নারী সভানেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন। দৈনিক আমাদের সময়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সন্তোষ শর্মা ছিলেন মন্ত্রীর সফরসঙ্গী।

৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রায় ৫ হাজার কর্মরত সাংবাদিকের প্রিয় প্রতিষ্ঠান দিল্লির অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে তখন ভারতের শীর্ষ প্রিন্ট মিডিয়া ও বহুল প্রচারিত ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকের মিলনমেলা। ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী প্রেস ক্লাবের মূল ভবনে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশ-ভারতের পরীক্ষিত বন্ধুত্বে যুক্ত হলো এক নতুন মাত্রা। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রশংসিত হয় ভারতের সাংবাদিকসমাজ ও রাজনীতিসচেতন মহলে। ভারতের ক্ষমতাসীন দলেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

ঐতিহাসিক এ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারতের গণমাধ্যম এবং সাংবাদিক -সমাজ বঙ্গবন্ধুর প্রতি যেভাবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করল তা বাংলাদেশের মানুষ স্মরণে রাখবে। তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামে ভারতের মানুষের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক রক্তের ইতিহাসে লেখা। এ সম্পর্ক চিরবন্ধনের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের চোখেই তখন আবেগের জল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনও বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি উমাকান্ত লাখেরা ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার নির্মাণকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অল ইন্ডিয়া প্রেস ক্লাবের সঙ্গে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকে দুই দেশের প্রেস ক্লাবের সদস্যরা সব ধরনের সুযোগ পাবেন। ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আমার বাসায় মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। নৈশভোজের আগে এ আলোচনার ফাঁকে তথ্যমন্ত্রীকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার করার অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রী তাৎক্ষণিক কলকাতা প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলতে আমাকে উৎসাহিত করেন। কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি স্নেহাশীষ সুরের সঙ্গে মন্ত্রীর সামনেই কথা হয়। মাননীয় মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দেন। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে তথ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার উদ্বোধন করেন ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। কলকাতা প্রেস ক্লাবের মূল ভবনে বঙ্গবন্ধু স্বমহিমায় আলোকিত। পশ্চিমবঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলোকোজ্জ্বল উপস্থিতিতে স্মৃতিকাতর সেখানকার প্রবীণ-নবীন সাংবাদিকরা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে স্মরণ করায় গর্বিত পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকসমাজ। কলকাতার ধারাবাহিকতায় পরে বঙ্গবন্ধু কর্নারের শুভ উদ্বোধন হয় আসাম রাজ্যের বিখ্যাত ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও প্রধান অতিথি মাননীয় তথ্যমন্ত্রী। মাত্র দেড় মাস আগে ভারতের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাঞ্জাবের লাভলি বিশ্ববিদ্যালয়সহ চ-ীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের শুভ উদ্বোধন করেন মান্যবর হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। দুটি অনুষ্ঠানেই হাইকমিশনের সব সিনিয়র কর্মকর্তা অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানগুলোকে প্রাণবন্ত করেন। ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, অরুণাচল থেকে গুজরাট বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বন্ধুত্বের হাত বাড়ানোর ঘটনা সত্যিই অনুপ্রেরণা আর উৎসাহের। বিশ্বনন্দিত নেতা বঙ্গবন্ধু এভাবেই অমর হয়ে থাকবেন ভারতের মানুষের কাছে, বিশ্ববাসীর ভালোবাসায়। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু চেয়ার নিয়ে। আমার বিশ্বাস, ভারতের অন্য খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আরও মহতী উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুই দেশের নতুন প্রজন্ম সুযোগ পাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে চর্চা ও গবেষণার। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক চির-অটুট থাকুক। জয় হোক বন্ধুত্বের।

                লেখক : প্রেস মিনিস্টার, বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লি, ভারত।

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ
এনসিটি বিদেশিদের না দিতে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল–সড়ক অবরোধ

এই মাত্র | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

২৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

২৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

২৯ মিনিট আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৪৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৪৪ মিনিট আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৪৭ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৫৫ মিনিট আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!
মালয়েশিয়ার অন্ধকারের আলো ছড়ানোর স্বপ্ন ম্লান!

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা
বাংলাদেশ দলে তিন ফরম্যাটে তিন সহ-অধিনায়ক ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট
রাজধানীর কুড়াতলীতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি
সিংড়ায় চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে শীতকালীন সবজি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ
সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলায় বিএফইউজের উদ্বেগ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়
খাগড়াছড়িতে ইমাম-ওলামাদের নিয়ে মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!
পৃথিবীরও একদিন মরে যেতে হবে!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার
রংপুরে ‘ক্লান্ত হিমালয়’ গৃধিনী শকুন উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা
বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান হলেন রুবাবা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ
চট্টগ্রামে যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মোরসালিনের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ
মোরসালিনের গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স
ইউক্রেনকে ১০০ রাফাল দিচ্ছে ফ্রান্স

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি
১০০১ শিক্ষকের নামে ভুয়া বিবৃতি

পেছনের পৃষ্ঠা

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে