বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

টেকসই উন্নয়ন

নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনে গুরুত্ব দিন

বাংলাদেশকে বলা হয় পানির দেশ। এত বেশি নদ-নদী পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। মিঠা পানির উৎস হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে। তার পরও নিরাপদ পানির অভাব এ দেশে এখনো প্রকট। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের পক্ষ থেকে বাজেটপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশের মাত্র ৫৯ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পায়। আর নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে ৩৯ শতাংশ মানুষের। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) পরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের (এসডিজি) যুগে এখন আমরা। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রার ধরনে কিছু মানগত পার্থক্য রয়েছে। এমডিজিতে শুধু পানি পাওয়ার লক্ষ্য ছিল। এসডিজির লক্ষ্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা। পানি মানেই নিরাপদ নয়। দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ পানি পেলেও ২০২১ সাল পর্যন্ত নিরাপদ পানি পেয়েছে ৫৯ শতাংশ মানুষ। তাই নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে নজর দিতে হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্যানিটেশন উপখাতেও অগ্রগতির ধারা উদ্বেগজনক। এমডিজির সময় উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ নির্মূলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করে। জাতীয় অগ্রাধিকার সূচক অনুযায়ী শতভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ স্যানিটেশনব্যবস্থা সেবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে ২০২১ সাল পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৩৯ শতাংশ। তার মধ্যে গ্রামে ৪২ ও শহরে ৩৪ শতাংশ। রাজধানীসহ নগরগুলোয় ওয়াসার মাধ্যমে যে পানি সরবরাহ করা হয় তা না ফুটিয়ে পান করা রীতিমতো বিপজ্জনক। উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ নির্মূলে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসা অর্জন করলেও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যে সীমাবদ্ধতা বিরাজ করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। পানির আরেক নাম জীবন। দেশে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা না করতে পারা নিঃসন্দেহে ব্যর্থতা। এ ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে সরকারকে এ প্রশ্নে আরও যত্নবান হতে হবে। আসন্ন বাজেটে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন খাতে বাড়তি মনোযোগ দেওয়া হবে এমনটি প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর