শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বপ্ন দিয়ে তৈরি, স্মৃতি দিয়ে ঘেরা

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

স্বপ্ন দিয়ে তৈরি, স্মৃতি দিয়ে ঘেরা

এক অনন্যসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আবদুল কালাম। তিনি যেমন ছিলেন একজন বিশ্বনন্দিত পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র বিজ্ঞানের জনক, তেমনি ছিলেন একজন দার্শনিক। সে অর্থে তাঁকে শুধু আইনস্টাইনের সঙ্গেই তুলনা করা যায়, কারণ বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্বের পাশাপাশি আইনস্টাইন ছিলেন এক বড় মাপের দার্শনিক।

স্বপ্ন নিয়ে যুগে যুগে বহু মানুষ গবেষণা করেছেন, বহু কথা লিখেছেন, বলেছেন। কিন্তু এ বিষয়ে ড. আবদুল কালাম যা বলেছেন তা তুলনাহীন। তিনি বলেছেন, ‘স্বপ্ন সেটি নয়, যা আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় দেখি, স্বপ্ন সেটিই যা আমাদের জাগিয়ে রাখে।’ যারা আবদুল কালামের এ বাণী অনুসরণ করতে পেরেছেন তারাই সার্থকতা পেয়েছেন, যাদের অন্যতম হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত গুগলের বর্তমান সিইও সুন্দর পিচাই, যিনি বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখেই ক্ষান্ত হইনি, স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য নিদ্রা বর্জন করেছি।’ নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘সে ব্যক্তিই সফল হয় যে স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য অবিশ্রান্ত চেষ্টা চালিয়ে যায়, কখনো থেমে না থেকে।’ যুক্তরাষ্ট্রের গান্ধীবাদী মানবাধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন, তিনি স্বপ্ন দেখছেন যে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গরা সমান মর্যাদা পাবে। কিন্তু স্বপ্নের ব্যাপারে তাঁর চিন্তাচেতনা আবদুল কালাম সাহেবের থেকে আলাদা ছিল বলে তাঁর স্বপ্ন এখনো বহুলাংশে স্বপ্নেই সীমিত রয়ে গেছে।

পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর ‘স্বপ্ন’ শব্দটি বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে, কেননা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুব থেকে পশ্চিম- পৃথিবীর সবাই একে স্বপ্নের সেতু বলেই উল্লেখ করছেন। এ সেতু যে আসলে বাস্তবতা পাবে সে ব্যাপারে পৃথিবীর বহু মানুষেরই সন্দেহ ছিল। সবার সেই সন্দেহ চূর্ণ করে বাংলাদেশ যা দেখাল, তা বিস্ময়কর, সৃষ্টি করল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়। এমনকি যে বিশ্বব্যাংক প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে এ প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন বন্ধ করেছিল, তারাও আজ নাকে খত দেওয়ার অবস্থান নিয়েছে। সবকিছু দৃষ্টে মহান দেশপ্রেমিক কবি দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের (ডি এল রায়ের) সেই লাইন দুটিই বারবার মনে হচ্ছে- ‘স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা।’ এ সেতু সৃষ্টির জন্য সে স্বপ্নই কাজ করেছে যা ড. আবদুল কালাম তাঁর দর্শনতত্ত্বে ধারণ করেছিলেন, আর তাই সবাই একে স্বপ্নের সেতু বলে উল্লেখ করছেন, তা আজ প্রমাণিত। জাগিয়ে রাখা স্বপ্ন না হলে এ সেতু সম্ভব হতো না কেননা এ সেতু বন্ধ করার জন্য দেশের ভিতরে এবং বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তা সর্বকালের ষড়যন্ত্রের ইতিহাসে অন্যতম হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে থাকবে। এটি নির্মাণের জন্য এমনি স্বপ্ন প্রয়োজন ছিল, যাকে প্রজ্বলিত রাখার জন্য প্রয়োজন ছিল অফুরন্ত সাহস, সংকল্প এবং দেশপ্রেম, যা বঙ্গবন্ধুকন্যার পক্ষেই সম্ভব ছিল। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও সবাই এ ব্যাপারে একমত যে এ সেতু বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক, কৃষি, শিল্প ও যোগাযোগব্যবস্থায় যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটাবে। মানুষের বহুদিনের দুর্দশা লাঘবে এ সেতুর অবদান হবে অভাবনীয়। মালামাল উত্তর থেকে দক্ষিণে নেওয়ার জন্য মালবাহী যানগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না, সময় ক্ষেপণের কারণে ফলমূল, শাকসবজি পচে যাবে না, অসুস্থ মানুষকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করে মৃত্যুমুখে পড়তে হবে না। এমনি আরও কত কি। এর ফলে মোংলা বন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, কুয়াকাটা, পায়রা বন্দরে জাগবে নতুন স্পন্দন, বঙ্গোপসাগরে মাছ এবং খনিজ সম্পদ আহরণে আসবে নতুন জোয়ার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায় উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্ত। স্বভাবতই দেশের মানুষের গর্বিত এবং পুলকিত হওয়ারই কথা। আর তাই তো দেশে বন্যা পরিস্থিতি সত্ত্বেও অগণিত মানুষ সেতু উদ্বোধনের ঘটনা দেখার সুযোগ হারাতে চায়নি, তাদের সেই অনুভূতি, ইচ্ছা ছিল স্বতঃপ্রণোদিত, কেউ তাদের বাধ্য করেনি। কিন্তু তার পরও দেখা গেল একটি মহলের মুখে হাসির বদলে অমানিশার কালো ছায়া। মনে হচ্ছে মহাকাশের কৃষ্ণগহ্বর তাদের গ্রাস করেছে। দেশের উন্নতি হবে এ কথা তাদের ভালো লাগছে না। এটি না হলেই তারা খুশি হতো। না হওয়ার জন্য তারা শুধু অকাতরে প্রার্থনাই করেনি, স্বর্গ-নরক এক করে ফেলেছিল। প্রশ্ন, কেন তাদের এই মনোভাব? পদ্মা সেতুর কারণে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রিয়তা যে আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং এর ফলে এ দলকে যে সুদূর ভবিষ্যতেও সরানো যাবে না, সেটিই হচ্ছে এদের মুখ কালো করার কারণ। নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন এসব অসাধারণ প্রকল্পের কথা চিন্তা করা তো দূরে থাক, অতি সাধারণ প্রকল্পও তারা চিন্তা বা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। তাদের সময় বিদ্যুৎ ঘাটতি, পানীয় জলের অভাব, খাদ্য ঘাটতি, কৃষি খাতে ব্যর্থতা, রপ্তানি বাণিজ্যে ভরাডুবি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে শূন্যতা, দেশে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা এসব তো মানুষ ভোলেনি, আর তাই দেশের মঙ্গলবিরোধী এসব রাজনীতিক পদ্মা সেতুর অভ্যুদয়ে মর্মাহত। এ ব্যাপারে তাদের মুরুব্বির অভাব হয়নি। বিশ্বে প্রভাব আছে এমনি নামিদামি একজন ড. ইউনূস তো আগে থেকেই তৈরি এবং সক্রিয় ছিলেন দেশের চরম অমঙ্গল করে সেতুটি বন্ধের জন্য। দেশের অমঙ্গলই যাদের কামনা, তাদের কী প্রাপ্য জনগণই তার বিচারক। এরই মধ্যে মহামান্য হাই কোর্ট পদ্মা সেতুবিরোধীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, এ সেতুর বিরোধীদের মধ্যে দেশপ্রেম অনুপস্থিত।

বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন করা হয়েছিল। তাঁরা যাননি। যাওয়া না যাওয়া তাঁদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাঁরা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে কোনো বার্তাও দেননি। তাঁদের এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ড প্রমাণ করছে সেতুর বাস্তবায়নে তাঁরা খুশি না হয়ে বরং অসন্তুষ্ট। সেতুটি নির্মাণকালেই বিএনপি নেত্রী বহুবার এ সেতুর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে তখন থেকেই প্রমাণ করেছিলেন যে, সেতুটি হলে তিনি নাখোশ হবেন। তিনি এমন কথাও বলেছিলেন যে, এ সেতু হবে না, হলেও ভেঙে যাবে। তাঁর, তাঁর দলের অন্য নেতাদের এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের মুখে ছাই দিয়ে অবশেষে জননেত্রী শেখ হাসিনার একাগ্রতার ফলে আজ সেতুটি বাস্তবায়িত হয়েছে। যে-ই নির্মাণ করে থাকুন বা যাঁর সময়েই এটি আলোর মুখ দেখে থাকুক না কেন, এ সেতু জাতীয় সম্পদ, যা বিশ্বস্বীকৃত মতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনবে অপ্রতিরোধ্য বিপ্লব। সে অর্থে যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, দেশের মঙ্গল চান, জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন চান দলমত নির্বিশেষে তাঁদের উচিত পদ্মা সেতুর মতো একটি মঙ্গলযাত্রার মাধ্যমকে সাধুবাদ জানানো। সেটি না করে তাঁরা দেখালেন দেশের উন্নয়নে তাঁদের কোনো মাথাব্যথা নেই, তাঁরা চান ক্ষমতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে জনসমর্থন দরকার তা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হলেন কারণ জনগণ তাঁদের আসল রূপ বুঝতে পেরেছে। পদ্মা সেতুর উন্মোচন উপলক্ষে তাঁদের একটি বড় সুযোগ হয়েছিল জনগণের কাছে যাওয়ার, জনগণকে বোঝানো যে সেতুটি যে সরকারই করে থাকুক না কেন, তাঁরা এতে আনন্দিত, কারণ এটি জনগণের ভাগ্য খুলে দিচ্ছে। কিন্তু সে মহাসুযোগটি হারিয়ে তাঁরা নিজেদের পায়েই কুড়াল মারলেন। বহু দলনিরপেক্ষ লোকও বিএনপির আচরণে ক্ষিপ্ত। দেশের আপামর জনতা মনে করছে সেতুটির ব্যাপারে এসব রাজনীতিক তাঁদের বৈরী ভাব বজায় রেখে জনগণের প্রত্যাশাকেই নস্যাৎ করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। ব্যাপারটি সেখানেই শেষ হয়নি। সেতু উদ্বোধনের প্রথম দিনই শুরু হলো আরেক নতুন ধরনের ষড়যন্ত্র। কয়েকজন পথভ্রষ্ট যুবক সেতুর রেলিংয়ের কয়েকটি নাট-বল্টু খুলে তা টিকটকে প্রচার করে জনমনে এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে যে সেতুটি নির্মাণে কারিগরি ব্যর্থতা ছিল। আর এক যুবক পদ্মা সেতুতে মূত্র ত্যাগ করে তার দেশদ্রোহিতাকেই প্রমাণ করেছে। এসব যুবক কোনো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের থেকে নির্দেশিত হয়ে এসব ঘৃণ্য কাজ করেছে কি না, সময়ই তা প্রমাণ করবে। কিন্তু কেন তারা এ ধরনের গণবিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করল, সে প্রশ্ন গোটা দেশকে চিন্তিত করে তুলেছে। নাট-বল্টুগুলো যদি হালকাভাবে লাগানো হয়েও থাকে, এ যুবকদ্বয় তা কী করে জানতে পেরেছিল সে প্রশ্নের জবাব কেউ দিচ্ছে না। এত ত্বরিত গতিতে সেতুতে উঠেই এ কর্মকান্ড প্রমাণ করছে যে তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবেই এগুলো করেছে। তারা এখন রিমান্ডে রয়েছে, আশা করা যাচ্ছে রিমান্ডকালেই অথবা পরবর্তীতে সম্ভাব্য বিচারকালে তাদের ষড়যন্ত্রের সব কাহিনি প্রকাশ পেয়ে যাবে। যে যুবক পদ্মা সেতুতে মূত্র ত্যাগ করে তার সেতুবিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করেছে, তাকে নিশ্চয়ই দেশদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত করা যায়। এসব ঘটনা থেকে মনে হচ্ছে, পদ্মা সেতুবিরোধীদের তৎপরতা সহজে থেমে যাবে না। কিন্তু তারা উপলব্ধি করতে ভুলে যাচ্ছে যে এর ফলে তাদের প্রতি মানুষের ক্রোধ বেড়েই চলেছে।

কলেজে পড়াশোনার সময়ই ডেইল কার্নির বিখ্যাত উপদেশমূলক পুস্তক যাকে বাংলায় নামকরণ করা যায় ‘কীভাবে বন্ধু পাওয়া যায়’ পড়ার সুযোগ হয়েছিল। ডেইল কার্নি এক জায়গায় লিখেছেন, ‘জীবনে যারা কিছুই করতে পারে না, তারাই সবকিছুর সমালোচক হয়, কেননা অহেতুক সমালোচনা ব্যর্থ লোকদের হাতিয়ার।’ সেই মৌর্য যুগে আচার্য চাণক্য পন্ডিতও একই ধরনের কথা বলেছিলেন এই মর্মে যে, সম্পূর্ণ বিষয় না জেনে কথা বলা এবং অহেতুক নিজের প্রশংসা করা বোকার লক্ষণ। প্রাচীনকালের চৈনিক দার্শনিক কনফুসিয়াস এ মর্মে মত প্রকাশ করেছিলেন যে, দুই শ্রেণির লোক, অর্থাৎ যারা অতি বেশি চতুর অথবা অতি নির্বোধ এ উভয় শ্রেণির লোককেই বোকার স্বর্গে বাস করতে হয়। কনফুসিয়াসের এ মূল্যবান উক্তির অনুকরণেই হয়তো আমাদের সমাজে যে কথাটি প্রচলিত হয়েছে তা হলো, ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’। পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিভিন্ন সময় এদের কথাবার্তা শুনে চাণক্য পন্ডিত, ডেইল কার্নি এবং কনফুসিয়াসের মন্তব্যগুলোই মনে পড়ছে। বিএনপি নেতৃবৃন্দ যা-ই বলুন না কেন, দেশের জনগণ পদ্মা সেতুর উপকারিতার ব্যাপারে রয়েছে সন্দেহের ঊর্ধ্বে, আর সেটাই এখন প্রাসঙ্গিক। দেশের মানুষের মন জয় করার একটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বিএনপি নেতাদের কাছে। সে সুযোগে পদ্মা সেতুর প্রশংসা করে বার্তা দিলে মানুষ ভাবত যে তাঁরা দেশপ্রেমিক। কিন্তু নিজেদের নির্বুদ্ধিতা এবং জিঘাংসামূলক মনোভাবের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তারা যে সুযোগটি হারাল, তা দ্বিতীয়বার ফিরে পাওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে। কথায় বলে, সুযোগ একবারই আসে। এরই মধ্যে একটি খবরে প্রকাশ- ফজলুল হক নামে এক আঞ্চলিক বিএনপি নেতা তাঁর ফেসবুকে পদ্মা সেতুর প্রশংসা করে মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনা প্রতিষ্ঠিত করল যে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন বিএনপির জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থানের জন্য তাঁদের যে বহুকাল প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে, আজ না হলেও কাল তাঁরা ঠিকই বুঝতে পারবেন। কিন্তু সময় যে কারও জন্য অপেক্ষা করে না।

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।

সর্বশেষ খবর