শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন জাতের চিংড়ি

স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশের চাষিদের

চিংড়ি চাষে বাংলাদেশ আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। গত চার বছরের ব্যবধানে চিংড়ি রপ্তানি আয় ১ হাজার ৫৫ কোটি টাকা হ্রাস পেলেও হারানো অবস্থান শুধু নয়, সোনালি সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা। গত চার বছরে চিংড়ি উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচামালের অভাবে একের পর এক হিমায়িত চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা বন্ধ হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ তাদের জীবিকা হারিয়েছে। বিশ্ববাজারে চিংড়ি রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়লেও ফের সম্ভাবনার দিকে এগোচ্ছে দক্ষিণের সাদা সোনা। বাগদার চেয়ে খরচ কম হওয়ায় ‘ভেনামি’ নামের চিংড়িতে আশার আলো দেখছেন রপ্তানিকারকরা। তাঁদের আশা, এ চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলে আবারও চালু হবে বন্ধ কারখানা। কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বদলে যাবে অর্থনীতিও। রপ্তানিকারকদের মতে, নানা সংকটে দেশে বাগদা চিংড়ির উৎপাদন কমে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। ১৭৮টি কারখানার মধ্যে কাগজে-কলমে চালু আছে ১০৫টি। যার মধ্যে উৎপাদনে আছে ৩০-৪০টি। যারা চাহিদা অনুযায়ী চিংড়ি না পাওয়ায় উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ২০ শতাংশ কাজে লাগাতে পারছে। এই যখন পরিস্থিতি তখন বিদেশি জাতের ভেনামি চিংড়ি চাষি ও রপ্তানিকারকদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে। কারণ এ চিংড়ির উৎপাদন যেমন বেশি, এর পেছনে খরচও অনেক কম। ইতোমধ্যে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে ভেনামি উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সবকিছু বিবেচনা করে পরবর্তীতে ভেনামি চাষ উন্মুক্ত করা হবে। গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ বছরে একবারের বেশি করা না গেলেও ভেনামি চাষ করা যায় তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। সেখানে একই পরিমাণ জমিতে ৪ থেকে ৫ হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। দেশে ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থান অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশ। নতুন জাতের চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হলে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব হবে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর