মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

জনভোগান্তির যানজট

এ দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় মানুষ

বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়ক রাজধানীবাসীর জন্য প্রায়ই সাক্ষাৎ অভিশাপে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই এ সড়কে যে যানজট সৃষ্টি হয় তার অপপ্রভাব ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। পুরো মহানগরীই যানজটের নগরীতে পরিণত হচ্ছে। রবিবার বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কের যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী। অসহনীয় ভোগান্তির সম্মুখীন হন যাত্রীরা। সকালে মুষলধারে বৃষ্টির পর সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে দেখা দেয় তীব্র যানজট। চরম দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ সময় গাড়িতে আটকে থেকে অনেকে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়। এমন পরিস্থিতিতে শ্যালো মেশিন সংগ্রহ করে বিমানবন্দর সড়কের পানি সরানোর উদ্যোগ নেয় পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় রবিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অন্য দিনের চেয়ে যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কে র‌্যাপিড বাস সার্ভিসের উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা হওয়ায় ধীরগতিতে চলে গাড়ি। সকালের বৃষ্টিতে বিমানবন্দর এলাকার মহাসড়কে পানি জমে যায়। খানাখন্দ এড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে যানবাহনের গতি আরও কমে যায়। সকালেই বিমানবন্দর ও উত্তরায় গাড়ির চাকা থেমে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। আবদুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে বনানী পর্যন্ত, অন্যদিকে বনানী থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের দুই অংশজুড়েই দেখা দেয় ভয়াবহ যানজট। বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক বিভাগ থেকে দ্রুত যানজট নিরসনে তৎপর হলেও দ্রুত সাফল্য পাওয়ার উপায় ছিল না। একই অবস্থা ছিল আবদুল্লাপুর, টঙ্গী বাজার, স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, মিলগেট, কলেজ গেট ও গাজীপুর এলাকায়। বিমানবন্দর-গাজীপুরের র‌্যাপিড বাস সার্ভিসের উন্নয়নকাজের শম্বুক গতি শুধু ওই এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন নয়, পুরো ঢাকা মহানগরী ও গাজীপুরের যানজট সৃষ্টিতে মদদ জোগাচ্ছে। মানুষ এখন এ দুর্বিষহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। তাদের কথা- উন্নয়ন হোক বা না হোক, ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর