শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ধান চাল সংগ্রহ

কৃষকবান্ধব নীতির বিকল্প নেই

সরকার চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ৮ লাখ টন ধান ও চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি মজুদ বৃদ্ধি করা যে এ ক্রয় নীতির লক্ষ্য তা সহজেই অনুমেয়। মঙ্গলবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ বছর ৫ লাখ টন চাল ও ৩ লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। এ বছর আমন মৌসুমে ২৮ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪২ টাকা কেজি দরে চাল কেনবে সরকার। ধান ও চালের দাম নির্ধারণে কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণে তিন-চার বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কোনো ধান কেনা হচ্ছে না। অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। কৃষকের তালিকা ধরে লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ধান চাল। টাকাও সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সুযোগ নেই। চলতি বছরের আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পরিস্থিতি সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, এক সময় আমন উৎপাদন বেশি হতো। এখন আমনের চেয়ে বোরো উৎপাদন অনেক বেশি হয়। বছরে ২ কোটি টন বা এর বেশি বোরো উৎপাদন হয়। আর আমন উৎপাদন হয় ১ কোটি ৫০ টনের মতো। এ বছর শ্রাবণ মাসে এক দিন বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন উৎপাদন নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন সবাই, কারণ আমন হলো ফটোসেনথেটিক। দিন ছোট হয়ে এলে আমন ধানে ফুল এসে যায়। ফুল এলে উৎপাদন কমে যায়। ধান বড় হতে পারে না। কৃষকরা সেচ দিয়ে আমন উৎপাদন করে সে সমস্যার মোকাবিলা করেছেন। কৃষিমন্ত্রীর আশাবাদ, প্রকৃতি সহায়ক হলে বোরো উৎপাদন ভালো হবে।  আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং বিশ্বমন্দার কারণে ২০২৩ সালে দুনিয়াজুড়ে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দুঃসময়ের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজেদের প্রয়োজন মেটানো নয়, খাদ্য রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন।  তা বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বক্ষেত্রে কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ করতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর