বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জঙ্গিদের জামিন

চার্জশিটের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে

জঙ্গিবাদের দায়ে গ্রেফতারকৃতদের অনেকেই জামিন পেয়েছেন আইনের ফাঁক গলিয়ে। জামিন পেয়েই তাদের একাংশ আত্মগোপনে চলে গেছেন। এই আত্মগোপনকারীরা আইনশৃঙ্খলার জন্য মূর্তমান হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। গত চার বছরে সব নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ৬১০ জন জামিনে রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে আনসার আল ইসলামের ৬৬ জন। জামিন পেয়েই তাদের ৩০ জন আত্মগোপনে রয়েছেন। আনসার আল ইসলামের অর্থাৎ সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-এবিটি সদস্যদের জামিন পেয়ে উধাও হওয়ার ঘটনার পাশাপাশি গোয়েন্দাদের মাথাব্যথার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে থাকাবস্থায়ই তাদের বিষয়ে খোঁজ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ইতোমধ্যে এই সংগঠনের ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র‌্যাব।  ১৯ জেলার ৫৫ জন তরুণ এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। ২০০১ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত এবিটির বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ১৪৪ এবং মোট আসামি ৫৮২ জন। স্বীকার করতেই হবে, জামিন সবার অধিকার। অনেক সময় দেখা যায়, দুর্বল চার্জশিটের কারণে অনেকেই এর সুযোগ নিচ্ছে। তবে কোনো দুর্ধর্ষ আসামি জামিন পেলে পুলিশের উচিত তাকে নজরদারিতে রাখা। এ ক্ষেত্রে পুলিশ তা করছে কি না তা দেখার বিষয়। মূলত সে ক্ষেত্রে ঘাটতি থাকায় আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসার দাবিদার। কারণ চলতি শতাব্দীর শুরুতে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। পদ্মা, মেঘনা, যুমনা পাড়ের এই দেশ পরবর্তী আফগানিস্তান হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে এমন আশঙ্কাও দেখা দেয়।  কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ১৪ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। তবে কোনো কোনো সরিষার মধ্যে ভূত থাকায় জঙ্গিদের সুবিধা এনে দিয়েছে। এ বদনাম ঘোচাতে জঙ্গি মামলার চার্জশিটের ক্ষেত্রে সতর্কতার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর