মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বৈশ্বিক সংকট

খাদ্য মজুদ গড়ে তুলতে নিতে হবে প্রস্তুতি

দুনিয়াজুড়ে ২০২৩ সালে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। সম্ভাব্য বিপদ মোকাবিলায় বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম প্রায় তিন গুণ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও গড়ে তোলা হয়েছে ১৬ লাখ টনের মজুদ। অর্থাৎ বাংলাদেশের সরকারি গুদামগুলোয় ৪ কোটি ৪০ লাখ মণ চাল-গম মজুদ রয়েছে। রবিবার সচিবদের সভায় করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২৩ সালে কঠিন সময় যাবে। চীন ও রাশিয়ায় উৎপাদন কমেছে। এজন্য সংকট দেখা দিতে পারে। আমরা এখনই বিপদে পড়ছি তা নয়। তবে আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো বিপদে দেশ না পড়ে বা দেশের মানুষ না পড়ে। আমরা জনগণকে সেই সতর্কবার্তাটাই দিচ্ছি। তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো রিজার্ভ থাকলেই যেখানে যথেষ্ট, সেখানে আমাদের পাঁচ-ছয় মাসের হিসাব আছে। তার পরও আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে, সচেতন হতে হবে। সরকারি গুদামে আপৎকালীন মজুদ ১৫ লাখের কম রাখা যাবে না। প্রয়োজনে উৎপাদন ও আমদানি বাড়াতে হবে। খাদ্য, সার ও জ্বালানিকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের সব পতিত জমি ব্যবহারের নির্দেশ দেন তিনি।  বলা হয়েছে, দেশে উৎপাদন বাড়লে আমদানিনির্ভরতা কমবে। কোনো অবস্থায় আপৎকালীন মজুদ যাতে ১৫ লাখ টনের নিচে না নামে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশের আবাদযোগ্য কোনো জমি যাতে পড়ে না থাকে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। ওএমএস, টিসিবির ট্রাক সেল, ভিজিডিসহ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় বৈঠকে। সম্ভাব্য খাদ্য ঘাটতির যে আশঙ্কা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বিশ্বজুড়ে, তা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি প্রশংসার দাবিদার। এ চ্যালেঞ্জে আমাদের জিততে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর