বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পতিত জমি চাষাবাদ

খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি এড়ানোর প্রকৃষ্ট পথ

বিশ্বমন্দা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অশুভ প্রতিক্রিয়ায় ২০২৩ সালে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কা করেছে নেতৃত্বস্থানীয় সব আন্তর্জাতিক আর্থিক সংগঠন। জ্বালানি ও সারের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে এমন আশঙ্কাও ইতোমধ্যে প্রবল হয়ে উঠেছে। প্রতিটি দেশ নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী হওয়ায় ইতোমধ্যে বাড়তি দামে খাদ্য কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। সম্ভাব্য বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় শুধু নিজেদের প্রয়োজন মিটানো নয়, খাদ্য রপ্তানির সক্ষমতা অর্জনের কৌশল নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রেক্ষাপটে দেশের আবাদযোগ্য কোনো জমি অনাবাদি রাখা যাবে না, প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে হবে- প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে অনাবাদি জমি চিহ্নিত করে চাষাবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে দেশের আট বিভাগে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে আটটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ বিভাগের অনাবাদি পতিত জমি চিহ্নিত করে চাষাবাদের আওতায় আনার কর্মপরিকল্পনা কৃষি মন্ত্রণালয়ে জমা দেবেন। করোনা-পরবর্তী মন্দা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছে সরকার। সংকট মোকাবিলায় দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ও কোনো কৃষিজমি পতিত না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেশে প্রায় ১১ কোটি শতক পতিত বা অনাবাদি জমি রয়েছে, যা মোট জমির প্রায় ৫ শতাংশ। এসব জমি আবাদের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যা বাস্তবায়নে চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল ও রেলের চাষযোগ্য পতিত জমিতে আবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর বাইরে ব্যক্তিগত মালিকানার যেসব চাষযোগ্য জমি পতিত রয়েছে সেগুলোতে চাষাবাদে উৎসাহ জোগানো হবে। সরকারের এ কর্মপরিকল্পনা সফল হলে সম্ভাব্য খাদ্যাভাব মোকাবিলা যেমন সম্ভব হবে তেমন খাদ্য আমদানি বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর