শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাড়ছে খাদ্য উৎপাদন

সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি

চলতি বছর আমন ধানের উৎপাদন বেড়েছে গত বছরের চেয়ে ৫ লাখ ৩২ হাজার টন। আউশ উৎপাদন কিছুটা কমলেও আমনের উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের জন্য স্বস্তি বয়ে এনেছে। চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খাদ্যগুদামে বাম্পার মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে বিশ্বমন্দার মধ্যেও আগামী বছর দেশে চাল সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কৃষিভিত্তিক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের মতে, আউশের ঘাটতি পূরণ হয়ে গেছে আমন মৌসুমে। অন্যদিকে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ উল্লেখযোগ্যহারে বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের ফলন এবার ৪ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ফলে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলেও বাংলাদেশে এর কোনো আশঙ্কা নেই। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। চলতি অর্থবছর আউশ মৌসুমে আগের বছরের চেয়ে ৯১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ কম হওয়ায় চাল উৎপাদন কমেছে ২ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন। চলতি বছর আমনে ফলন বাড়বে ৫ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। মোট ফলন আসবে প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে আমন সংগ্রহ চলছে। অন্যদিকে দেশের প্রধান ধানের মৌসুম বোরোর বীজতলা তৈরির কাজ চলছে এখন। ৪৯ লাখ ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ডিএই, যা আগের বছর আবাদ হওয়া জমির চেয়ে ২৬ হাজার হেক্টর বেশি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। ধানের পাশাপাশি গমের দাম চড়া হওয়ায় কৃষক গম চাষে উৎসাহী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াবে। খাদ্য আমদানি বাবদ বিপুল অর্থ ব্যয় হ্রাস পেলে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও সমৃদ্ধ হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর