বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসা

সৈয়দ আলমগীর

এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসা

পৃথিবীতে অস্থিরতা বাড়ছেই। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও এ থেকে মুক্ত নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার মানুষ এ দেশে আত্মহত্যা করে। ভাবা যায়! তার অধিকাংশই তরুণ-তরুণী। আত্মহত্যাকে বলা হয় হতাশার চরম বহিঃপ্রকাশ। এমন যদি হতো মানুষের হতাশা কমে আসছে তা হলেও আশান্বিত হতাম। কিন্তু এসব প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এদিকে পারিবারিক কলহ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে প্রচুর।  ২২ জুন, ২০২২ একটি দৈনিক লিখেছে, ঢাকা সিটিতে প্রতিদিন গড়ে বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে ৩৯টি। আগের বছরের তুলনায় এ হার ১৭ শতাংশ বেশি। শিক্ষিত দম্পতিদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেশি। বিচ্ছেদ না হলেও অশান্তি নিয়ে সংসার করছে প্রচুর দম্পতি। বোঝাই যাচ্ছে পারিবারিক অশান্তি স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানদের ভালো থাকতে দিচ্ছে না।

এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোয় দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। সত্যিকার অর্থে এ সমস্যায় ভুগছে পুরো বিশ্ব। করোনার ধাক্কার পর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব বিরাজ করছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তারা কেন যুদ্ধ করছে সাধারণ মানুষ জানে না। কিন্তু যুদ্ধের খেসারত শুধু ওই দুই দেশকে নয়, সারা বিশ্বকে দিতে হচ্ছে। গরিব ও নির্ভরশীল দেশগুলোকে বেশি ভুগতে হচ্ছে।

এই যে বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা, এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? মূলত সমস্যার কারণ একটি নয় এবং নির্দিষ্ট একটি উপায়ে সমাধানও হবে না। কিন্তু একটি বিষয়ের অনুপস্থিতি আমি গভীরভাবে অনুভব করছি। সেটা হচ্ছে মানুষে মানুষে ভালোবাসার অভাব। সত্যিকার ভালোবাসার অভাব। তাই অস্থিরতা মোকাবিলায় আমি বলি, এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসা প্রয়োজন।

মূলত প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে অশান্তি ছিল। কিন্তু পৃথিবীতে যখন যেখানে শান্তি বিরাজ করেছে সেখানে ভূমিকা রেখেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মান। মতপার্থক্য সত্ত্বেও মানুষ যখন সত্যিকার ভালোবেসেছে তখন পৃথিবীটা সুন্দর বাসযোগ্য ছিল। এখনো সব অস্থিরতার মোকাবিলায় পারস্পরিক ভালোবাসা আমাদের দেশ ও বিশ্বকে শান্তিময় করতে পারে।

এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসার কথা বলার কারণ আছে। এ লেখায় পর্যায়ক্রমে তা ব্যাখ্যা করব ইনশা আল্লাহ।

হালাল শব্দটি ইসলামী পরিভাষা। এটি এখন শুধু খাবারে নয়, অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। যেমন হালাল ট্যুরিজম, হালাল পোশাক, হালাল অ্যাভিয়েশন ইত্যাদি। হালাল বলতে বোঝায় যেটা মুসলিমদের জন্য বৈধ। অর্থাৎ ইসলামী বিধানে মুসলিমদের কাছে গ্রহণযোগ্য।

নানাভাবে মুসলিমরা এখন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। দুটি প্রধান কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। একটি হচ্ছে পাশ্চাত্য দেশগুলোয় অভিবাসী হওয়ার কারণে এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে তুলনামূলক উচ্চ জন্মহারের কারণে। ফলে ইসলামী সংস্কৃতি অমুসলিম দেশেও স্থান করে নিয়েছে। একে সম্মান করে ব্যবসায়ীরা মুসলিমদের জন্য খাবারসহ অন্যান্য পণ্য হালাল উপায়ে বিক্রি করছেন।

তাই পাশ্চাত্য বিশ্বে হোটেলগুলোয় হালাল কর্নার দেখা যায়। খাবারের প্যাকেটে লেখা থাকে হালাল অথবা নন-হালাল। এ ছাড়া মুসলিম বিশ্বেও হালাল শব্দটির গুরুত্ব অনেক। মুসলিম দেশে পণ্য রপ্তানি করতে হলে হালাল সার্টিফিকেট নিতে হয় এবং পণ্যের গায়ে তা লেখা থাকতে হয়। বাংলাদেশে বিএসটিআইও এ সার্টিফিকেট দিচ্ছে। ফলে মুসলিম, অমুসলিম সব উদ্যোক্তা এটা অনুসরণ করছেন।

এগুলো কয়েকটি উদাহরণ মাত্র। মূলত প্রত্যেক মুসলিমের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে হালাল শব্দটি মিশে আছে। লাইফস্টাইলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। হালাল শব্দটি মুসলিমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে। হালাল ইস্যুর সঙ্গে তাদের আবেগ জড়িত।

আমি যখন নব্বইয়ের দশকে অ্যারোমেটিক বিউটি সোপকে ‘এক শ ভাগ হালাল সাবান’ স্লোগান দিলাম তখন দেখা গেল সাবান প্রচুর বিক্রি হলো। এ স্লোগান আমি দিতে পেরেছিলাম কারণ উদ্ভিদ তেল থেকে এ সাবান তৈরি করা হয়েছিল। এখানে প্রাণিজ চর্বি ব্যবহার করা হয়নি। মুসলিমদের জন্য শূকরের চর্বি এবং হিন্দুদের জন্য গরুর চর্বি যার যার কাছে হারাম। তাই স্লোগানটি হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল।

হালাল শব্দটি এখন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে এবং অনেক সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। কারণ এটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আবেগ ও বিবেককে নাড়া দেয়। এমনকি এ কারণেই দেশে দেশে এখন ইসলামী ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান জনপ্রিয় হচ্ছে। আর শুধু আবেগ নয়, মানুষের অনেক সমস্যার সত্যিকার সমাধান হালাল অনুসরণ করার মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে।

এটা যেমন অর্থনীতির ক্ষেত্রে সত্য, তেমনি সামাজিক ক্ষেত্রেও সত্য। যেমন পরস্পরকে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামাজিকভাবে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে সেটা ঠুনকো হচ্ছে কেন? পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসার স্থানে অন্য কিছু কি ঢুকে পড়ছে?

মূলত ভালোবাসা এক দিনে তৈরি হয় না। স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা বিয়ের সময়ে বড় অনুষ্ঠান থেকে তৈরি হয় না। এটা এমন কিছু যা দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় মিশে আছে। দাম্পত্য জীবনে অল্প কয়েকটি বিষয়ে যদি আমরা দৃষ্টি দিই, যেমন সামর্থ্য অনুযায়ী দেনমোহর ধার্য হচ্ছে কি না, বিয়ের আসরে এটা পরিশোধ হচ্ছে কি না, বর-বউ কি শুধু নিজের অধিকারের কথা ভাবছে নাকি নিজের দায়িত্ব সম্পর্কেও সচেতন আছে ইত্যাদি। এগুলো সবই হালাল সম্পর্কের হালাল উপকরণ, যা সংসার রাখবে সুখে-শান্তিতে।

এদিকে ব্যক্তিগত হতাশার বড় কারণ হচ্ছে না পাওয়ার বেদনা। এটা শুধু প্রেমে ব্যর্থতা নয়, যে-কোনো ধরনের চাওয়া-পাওয়ার অমিল হলেই হতাশা শুরু হয়। কিছু সামাজিক অস্থিরতা থাকলেও হতাশায় ভূমিকা রাখছে দৃষ্টিভঙ্গি। আমাদের সবার মধ্যে ভোগের চিন্তা বেশি। দায়িত্ববোধের চিন্তা কম। আমার জীবনসঙ্গী আমার জন্য কী করল, বাবা-মা কী করল, পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র তারা কী করল তা নিয়ে আমরা খুব পেরেশান থাকি। কিন্তু তাদের জন্য আমার করণীয় কী তা ভাবনায় আসে না।

এমন চাওয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সংস্কার চিন্তা। বাবা-মা বোঝে না, সমাজ সেকেলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা আছে, সমাজে নেতৃত্বের সমস্যাগুলো ঠিক করতে হবে ইত্যাদি। অথচ পৃথিবীতে কেউ কাউকে পরিবর্তন করতে পারে না। ব্যক্তি সর্বোচ্চ নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে।

এটা ইসলাম ধর্মেরও কথা। আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা.)-কেও হেদায়েত দেওয়ার মালিক করেননি। নবী-রসুলরা বড়জোর চেষ্টা করতেন। তাই সমাজ পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে এটা সত্য। কিন্তু আমার কথা অন্যরা কেন মেনে নিচ্ছে না এটা নিয়ে ব্যাপক পেরেশানি দূর করতে হবে। এগুলো থাকলে মারাত্মক হতাশা ভর করে। ফলে আত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ ও অন্যান্য অস্থিরতা দেখা দেয়।

তাই যখন আপনি ‘হালাল ভালোবাসা’ সামনে আনবেন তখন যার যার দায়িত্ববোধ জাগ্রত হওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। মেকি ভদ্রতার পরিবর্তে সত্যিকার ভালোবাসা স্থান পাবে। প্রত্যেকের ধৈর্য ও আত্মসমালোচনা বাড়বে। এর ফলে তৈরি হবে জ্ঞানগত দক্ষতা ও প্রজ্ঞা।

হালাল ভালোবাসার প্রকাশ কেমন হওয়া উচিত তার কিছু নমুনা দেখা যাক। আল্লাহর রসুল (সা.) বলেছেন, ‘হাসিমুখে কথা বলাটাও একটা সদাকা।’ (মুসলিম)

এর চেয়ে চমৎকার কথা আর কী হতে পারে? বাতাসে যেমন সুগন্ধ বা দুর্গন্ধ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তেমনি ভালো বা খারাপ ব্যবহারও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আপনি একজনের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবেন এর মানে হচ্ছে ১০টি ভালো কাজের জন্ম দেবেন। আজকের দুনিয়ায় এই ‘গুড ফিলিংস’ কিন্তু খুবই দরকার। দায়িত্ববোধ সম্পর্কে রসুল (সা.)-এর একটি হাদিস হচ্ছে, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যদি মারা যায় তাহলে তার সম্পদ উত্তরাধিকারদের। আর তার ঋণ পরিশোধের দায়িত্ব আমার।’ পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র নেতা যিনি এমন কথা বলতে পেরেছেন। এটা আমাদের জন্য শিক্ষা। রসুল (সা.) আমাদের জন্য আদর্শ। তাঁকে অনুসরণ করে দায়িত্ববোধের চর্চা আমাদেরও করতে হবে। দায়িত্ববোধ হালাল ভালোবাসার অন্যতম উৎস।

হৃদয়ের কাঠিন্য দূর করার বিষয়ে আল্লাহ রসুল (স.)-এর কাছে এক বেদুইন সমাধান চেয়েছিল। রসুল (সা.) উত্তরে বলেছিলেন, ‘এতিমের মাথায় হাত বোলাও এবং মিসকিনকে খেতে দাও।’ (মুসনাদে আহমাদ)

আঃ, কি চমৎকার সমাধান! এ কাজগুলো করে দেখেন। আপনার অস্থিরতা, হতাশা, রাগ ক্ষোভ ইত্যাদি নিমেষেই পানিতে মিশে যাবে ইনশা আল্লাহ।

বস্তুত উদারতা, দয়া, মায়া, মহব্বত ইত্যাদি সবই হালাল ভালোবাসার অংশ। অথচ বর্তমান দুনিয়ায় এগুলোকে বড় করে দেখা হয় না। বরং উপেক্ষা করা হয়। তাই বর্তমান অস্থির বিশ্বে এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসা আমি খুবই অনুভব করি। এর মধ্যে আমি সমাধান খুঁজে পাই। হালাল শব্দটি যদি ব্যবসা, বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আনে তাহলে পরিবার ও সমাজেও শান্তি আনবে ইনশা আল্লাহ।

এদিকে মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশকে আমরা কি যথাযথ ভালোবাসছি? আমার মনে হয় এখানে বড় ধরনের দুর্বলতা রয়ে গেছে। মাতৃভূমি বাংলাদেশকে এখনো কাক্সিক্ষত মানের ভালোবাসতে পারিনি। যারা ঘুষ, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা তো অন্যায় করছেই, আমরা যারা ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলা হিসেবে পরিচিত তারা কতটুকু করছি?

এ প্রশ্ন এজন্য করছি কারণ আমাদের মধ্যে ইতিবাচক কিছু গড়ে তোলার মানসিকতা কম। বরং অভিযোগপ্রবণতা বেশি। নিজে থেকে দায়িত্ব নিতে চাই না। নালিশ করে পার পাওয়ার চেষ্টা করি। হয়তো আমি দোষী না, কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রতিটি সংকট উত্তরণে আমার কিছু করণীয় আছে। এভাবে কেন ভাবি না?

যেমন ধরুন, যানজট নিয়ন্ত্রণে কিছু ব্যক্তির সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। মোটা দাগে কোনো কর্মকর্তার দায়িত্বে অবহেলা থাকলে দোষটা তারই। তবে আমিও কিন্তু এ দেশের নাগরিক। এ শহরের রাস্তায় চলাফেরা করি। রাস্তা পারাপারে আমারও কিছু ভূমিকা আছে। রাস্তা ময়লা না করা আমারও দায়িত্ব। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ছোট ছোট ব্যক্তিগত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ। এ ব্যর্থতা কি ভালোবাসার ঘাটতি না? ‘এক শ ভাগ হালাল ভালোবাসা’ বলতে আমি এ জায়গায়ও উন্নতি চাই।

এ ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা ও নিয়োগে কিছু দুর্বলতার কথা মাঝে মাঝে শুনতে পাই। সংশ্লিষ্ট যাদের এসবে গাফিলতি আছে তারা অবশ্যই দোষী। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী যদি এসব দুর্বলতার সুযোগ নেয় সেটা খুবই দুঃখজনক। কারণ এতে নিজের প্রতি ভালোবাসাটুকুও থাকে না। নকল করে সাময়িক সময়ের জন্য ভালো ফল করতে পারলেও কর্মক্ষেত্রে ঠিকই তার দুর্বলতা প্রকাশ পায়। আর এর ফলে দেশ ও রাষ্ট্র মেধাবীদের যথার্থ মূল্যায়ন করতে পারে না। তাই ছোট বড় এসব ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক প্রসঙ্গেও আমাদের হালাল ভালোবাসার নিদর্শন রাখতে হবে। নিজের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য নৈতিকতাকে ভালোবাসতে হবে।

আদিকাল থেকেই পৃথিবীর কোনো একটি অঞ্চল স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল না। বরং আদিযুগের মানুষ এজন্য ছিল যাযাবর। পৃথিবীতে ঘুরে ঘুরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হতো। আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায়ও একই বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। দেশগুলোকে আমদানি-রপ্তানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই প্রতিবেশীসহ দূর দেশের সবার সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসার সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি নাগরিক প্রবাসী হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাস করছেন। প্রবাসীদের আয়ের ওপর নির্ভর করে দেশে থাকা তাদের স্বজন ও আত্মীয়রা।

তাই বিদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিক যার যার অবস্থান থেকে সম্মিলিত ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের ভূমিকা হবে মানবতার জন্য। দেশের আপামর জনগণের কল্যাণের জন্য।  আমরা যেন একটি পরিবার হয়ে দেশে-বিদেশে চলতে পারি। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে, বিশ্বাসের বৈচিত্র্য থাকবে কিন্তু নৈতিকতা ও হালাল ভালোবাসার প্রশ্নে কোনো আপস থাকবে না। তাই আগামীর বিশ্ব হোক হালাল ভালোবাসার।

লেখক : এমডি ও সিইও, আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর