শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

সামরিক চাপে পিষ্ট পাকিস্তানের রাজনীতি

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সামরিক চাপে পিষ্ট পাকিস্তানের রাজনীতি

পাকিস্তানের ইতিহাসকে বলা যায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রক্তাক্ত কোন্দলের এক করুণ উপাখ্যান। ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। নিজ দেশে ফেরার আগে ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশকে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি দেশে বিভক্ত করেছিল। স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তান প্রায়ই একটি অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে, যার নেপথ্যে ছিল সামরিক বাহিনী এবং বিভক্ত ও অদক্ষ নেতৃত্ব।

১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালের মধ্যে ভারতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  ২৬ নভেম্বর, ১৯৪৯ তারিখে গৃহীত ভারতীয় সংবিধানের অধীনে এ নির্বাচন পরিচালিত হয়েছিল। লোকসভার ৪৮৯টি আসনের জন্য ১ হাজার ৯৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তখন প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে ১৭৩ মিলিয়নের বেশি নাগরিক ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিল। এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৪৫-৭%। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস (আইএনসি) ৪৮৯ আসনের মধ্যে ৩৬৪ এবং মোট ভোটের ৪৫% পেয়ে ব্যাপক বিজয় অর্জন করেছিল। এর বিপরীতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে পাকিস্তানে জাতীয় পর্যায়ে সরাসরি কোনো নির্বাচন হয়নি। মাঝে মাঝে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও পাকিস্তান সরকারের ‘ইলেকটোরাল রিফর্মস কমিশন (১৯৫৬) রিপোর্ট’ এসব প্রাদেশিক নির্বাচনকে ‘ভোটারদের সঙ্গে প্রহসন, উপহাস এবং প্রতারণা’ হিসেবে বর্ণনা করে। স্বাধীনতার পর ১০-২০ মার্চ, ১৯৫১-এর মধ্যে প্রথম সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের জন্য। এ নির্বাচনে ১৯৭ আসনের বিপরীতে ১৮৯টি আসনের জন্য ৯৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং বাকি আটটি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পূর্ণ হয়েছিল। সাতটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। প্রায় ১০ লাখ ভোটার নিয়ে সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে লাহোরে ভোটারের উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩০% এবং পাঞ্জাবের গ্রামীণ এলাকায় তা ছিল আরও কম। ১৯৫১ সালের ৮ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে প্রাদেশিক আইনসভার জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে যারা হেরেছিল তাদের মধ্যে অনেকেই বিজয়ীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন। একই অভিযোগ আজ সাত দশক পরও পাকিস্তানে শোনা যায়। একই ভাবে ১৯৫৩ সালের মে মাসে সিন্ধুর প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এ নির্বাচনেও কারচুপির অভিযোগ আনা হয়। ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে পূর্ব বাংলার আইনসভার জন্য সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী যুক্তফ্রন্টের কাছে হেরে যায়। ক্ষমতাসীন মুখ্যমন্ত্রী নূরুল আমিন তাঁর নিজ নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের নান্দাইলে একজন নবীন ছাত্রনেতা ও ভাষা আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় কর্মী খালেক নেওয়াজ খানের কাছে তাঁর সংসদীয় আসন হারান। যুক্তফ্রন্টের এই তরুণ তুর্কির কাছে নূরুল আমিনের লজ্জাজনক পরাজয় তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক দৃশ্যপট থেকে পাকিস্তান মুসলিম লীগকে কার্যত নির্বাসিত করে। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশের বিদায় ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর এটি ছিল প্রথম সরাসরি সাধারণ নির্বাচন। প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ সংগ্রামের পর সামরিক শাসনের অবসান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটা সুযোগ এনে দিয়েছিল এ নির্বাচন। অন্যদিকে পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচনটিকে বাঙালির স্বায়ত্তশাসনের গণভোট হিসেবে দেখা হয়েছিল। এ সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৫% ছিল বাঙালি। তবু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করত এবং প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করত। ফলে নির্বাচনে ৩১৩টির মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে এবং শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর অনুরোধে সামরিক সরকার নির্বাচিত সংসদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করে।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু হয় ১৯৫৮ সালে। তবে এর আগে ১৯৫১ সাল থেকেই অসংখ্য অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল পাকিস্তানে। বস্তুত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পাকিস্তান কয়েক দশক সামরিক শাসনের অধীনে কাটিয়েছে (১৯৫৮-১৯৭১, ১৯৭৭-১৯৮৮, ১৯৯৯-২০০৮)। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিভিন্ন প্রধান শহরে অবস্থিত কয়েকটি কর্পস বা কমান্ডে বিভক্ত। সেনাবাহিনীর রাওয়ালপিন্ডি কমান্ড সংবিধান লঙ্ঘন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করে সমগ্র দেশে সামরিক আইন বা সামরিক শাসন প্রতিষ্ঠায় বরাবরই জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডি ব্রিটিশ রাজত্বের আগে একটি ছোট্ট শহর ছিল এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে পিছিয়ে ছিল। পরে সামরিক অভিজ্ঞতা ও সেনা স্থাপনাকে পুঁজি করে দেশে সামরিক শাসন জারির নেপথ্যে রাওয়ালপিন্ডিই অধিকতর জড়িত থাকার নজির পাওয়া যায়। ২০০৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং তারও আগে ১৯৫১ সালে লিয়াকত আলী খানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও রাওয়ালপিন্ডি কমান্ডের যোগসূত্র ছিল। লাল মসজিদের ঘটনায় ১০০ জনের বেশি মাদরাসা ছাত্র নিহত হওয়ার জন্য সামরিক বাহিনীকেও দায়ী করা হয়। ১৯৯৯-২০০৮ মেয়াদে সামরিক শাসন ছিল সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। তখন পাকিস্তান তথাকথিত জঙ্গিবাদবিরোধী যুদ্ধে পশ্চিমাদের মিত্র হয়েছিল। যার ফলে নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকসহ ৮০ হাজারের বেশি পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছিল। পাকিস্তানি গবেষকরা অনেক নিবন্ধে এ সময়কার আর্থিক ক্ষতি ট্রিলিয়ন রুপি বলে অনুমান করেন। সাংবিধানিকভাবে পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থা অনুসরণ করে। বাস্তবে ১৯৪৭ সাল থেকে তার প্রায় ৭৫ বছরের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার অর্ধেকের বেশি সময়জুড়ে সামরিক বাহিনী দেশের ক্ষমতায় ছিল। পাকিস্তান তিনটি পৃথক সামরিক অভ্যুত্থানের অধীনে চারজন ভিন্ন ভিন্ন সামরিক শাসক দ্বারা শাসিত হয়েছে। এর মধ্যে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত শাসন করেছিলেন। সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউল হক ৪ জুলাই, ১৯৭৭-এর মধ্যরাতে ‘অপারেশন ফেয়ার প্লে’ মঞ্চস্থ করেছিলেন, যা ছিল মূলত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান। জেনারেল জিয়াউল হক ১৯৮৮ সালে একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের আগ পর্যন্ত যুগপৎ সেনাপ্রধান ও সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর গোলাম ইসহাক খান দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইসহাক খানের হাতে অপরিসীম ও অনিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ছিল এবং তিনি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন। তিনি সেনা সমর্থন নিয়ে ১৯৯০ সালে বেনজির ভুট্টো এবং ১৯৯৩ সালে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন, যদিও পরবর্তীতে তিনি নিজেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, যা পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ‘ওয়াহিদ কাকার’ সূত্র হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৯ সালে সেনাপ্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এক সফরে শ্রীলঙ্কা যান। এ সময় শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ফিরে আসার আগেই জেনারেল মোশাররফকে বরখাস্ত করার এবং তাঁর বিমানটিকে পাকিস্তানে অবতরণ করতে বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা হয়। এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় জেনারেল মোশাররফ ও অনুগত সিনিয়র অফিসাররা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ শরিফ এবং তাঁর মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেন। আরও পরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শওকত আজিজের প্রস্থান, পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মুহম্মদ চৌধুরীকে ৯ মার্চ, ২০০৭ তারিখে ‘অকার্যকর প্রধান বিচারপতি’ বানানো এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানের সংবিধানের দুটি প্রধান ধারা সংশোধন জেনারেল মোশাররফের অবস্থান দুর্বল করে ফেলে। এ সময় আইনজীবীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ ও ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়, যা আইনজীবী আন্দোলন নামে পরিচিতি পায়। অবশেষে লং মার্চের মাধ্যমে এ আন্দোলন শেষ হয়। ২০০৮ সালে অভিশংসন এড়াতে জেনারেল মোশাররফ দীর্ঘদিনের একনায়কত্ব ছেড়ে পদত্যাগ করেন এবং স্ব-আরোপিত নির্বাসনে লন্ডনে চলে যান।

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ ৮ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে সংবিধানের অষ্টাদশ সংশোধন পাস করে। এ সংশোধনের ফলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি একতরফাভাবে সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা হারান। বিশ্লেষকরা সংবিধানের এ পরিবর্তনকে পাকিস্তানের জন্য আধারাষ্ট্রপতি ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় প্রজাতন্ত্রের দিকে যাত্রার একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া এ সংশোধনটিতে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের নাম পরিবর্তন করে খাইবার পাখতুনখোয়া রাখা হয়েছে এবং প্রদেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন, পৃথক আইনসভা এবং আর্থিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করেছে। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এবং জেনারেল মুহম্মদ জিয়াউল হকের মতো সাবেক সামরিক শাসকদের অধীনে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে কুক্ষিগত ব্যাপক ক্ষমতার লাগাম টানা এবং পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমাতে এ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়। বিলটি কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের দ্বারা পাকিস্তানের সংবিধানের অনবরত ও ইচ্ছামাফিক লঙ্ঘন বন্ধ করেছে। সংশোধন বিলটি ১৫ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে পাকিস্তানের সিনেট দ্বারা পাস হয় এবং ১৯ এপ্রিল, ২০১০ তারিখে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি বিলে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে এটি আইনে পরিণত হয়। এর মাধ্যমে পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন রাষ্ট্রপতি তাঁর ক্ষমতার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেন এবং এ ক্ষমতা সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থানান্তর করেন। ২০১০ সালে জাতীয় পরিষদের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার তার সংক্ষিপ্ত মেয়াদেরই সামরিক শাসনের দুষ্টচক্রকে থামানোর একটি প্রশংসনীয় প্রয়াস চালায়। অনেকে এ সংশোধনের পরও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থাগুলোয় সেনাবাহিনীর প্রভাব হ্রাস পায়নি বলে মনে করেন। সর্বশেষ সাংবিধানিক সংকটের পর ইমরান খান একটি অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন। আগস্টে তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে পুলিশ এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে একজন সহকারীকে আটক ও নির্যাতন করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। নভেম্বরে তিনি পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় হত্যা-প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এসব ঘটনা স্পষ্টত ইঙ্গিত দেয় যে, সাম্প্রতিক দিনগুলোয় পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব আবার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আবারও অনিশ্চয়তার মুখে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে সামরিক বাহিনী একটি প্রভাবশালী সংস্থা যা প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের মূলনীতি লঙ্ঘন করে এবং সর্বদা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের চেষ্টাকে ঐতিহ্যগতভাবে লালন করে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে বেসামরিক সরকারকে বারবার উৎখাত করেছে। বাস্তবে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সময়ই সামরিক বাহিনী পরবর্তীতে গণতন্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া উপেক্ষা এবং সহজে ব্যারাকে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছে। সামরিক বাহিনীর গোষ্ঠী বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অভাব, দুর্নীতি, নিম্ন শিক্ষার হার, নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, বিশেষ করে বিচার বিভাগ প্রতিটি সামরিক শাসনামলে বিরূপভাবে চিহ্নিত হয়েছিল। স্যামুয়েল ফিলিপস হান্টিংটনের (১৮ এপ্রিল, ১৯২৭-২৪ ডিসেম্বর, ২০০৮) উদ্ধৃতি এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে। স্যামুয়েল ছিলেন একজন আমেরিকান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং থিঙ্কট্যাঙ্ক, যিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে হার্ভার্ড সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক হিসেবে অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় কাটিয়েছেন। স্যামুয়েল হান্টিংটনের মতে, রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের উৎসগুলো কেবল সামরিক বাহিনীরই গভীর আগ্রহ বা অতি উৎসাহ নয়, এটি দুর্বল রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মজ্জাগত পশ্চান্মুখিতার ফলও। নিঃসন্দেহে পাকিস্তান এ ধরনের দুষ্ট রাজনৈতিক চক্রের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ‘সামরিক বাহিনী রাজনীতিকে বিকলাঙ্গ করে রাখে, নাকি দক্ষ রাজনৈতিক সংগঠনের অভাব রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণকে আমন্ত্রণ জানায়’- এ নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে পাকিস্তানে। তবে যে সত্যটি আজ প্রতিষ্ঠিত তা হলো, সামরিক বাহিনী সর্বদা ক্ষমতায় আসার শুরুটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য স্বল্পসময়ের প্রশাসন চালানোর আশ্বাস দিয়ে। তারপর তারা বেমালুম তা ভুলে যায় এবং প্রতিশ্রুতি মোতাবেক বেসামরিক প্রশাসনের কাছে আর ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে চায় না। সামরিক সরকারগুলো বেশির ভাগই তাদের নিজস্ব সাংগঠনিক শক্তি, ঐক্য, শ্রেণি সুবিধা এবং জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে থাকে। বাস্তবে সামরিক বাহিনীকে দেশের জটিল সমস্যা মোকাবিলায় অক্ষম বলেই ভাবতে পছন্দ করে সুশীলসমাজ। কারণ তারা অস্ত্রের জোরে সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করে।  গণতন্ত্রের আড়ালে সামরিক শাসনের সম্প্রসারণের জন্য একদল স্বার্থান্বেষী রাজনীতিবিদ সামরিক সরকারের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করলে সামরিক জান্তা আরও উৎসাহিত হয় ও ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে।

লেখক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক

এই বিভাগের আরও খবর
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
রেস্তোরাঁ যখন মৃত্যুকূপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
মকবুল ইবাদতের সওয়াব
হজের সূচনা যেভাবে হলো
হজের সূচনা যেভাবে হলো
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
বিয়েবাড়ির বিচিত্র বিভ্রাট
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
সাইবার সুরক্ষা
সাইবার সুরক্ষা
ওএসডি কালচার
ওএসডি কালচার
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা  প্রয়োজন
আধুনিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা প্রয়োজন
ইসলামে নারীর অধিকার
ইসলামে নারীর অধিকার
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
পাক-ভারত সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা কতটুকু
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং আগামী রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
মাদারীপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা
মুসলমানের জীবনযাপনে শালীনতা

১২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের
সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ট্রাকের ধাক্কা, প্রাণ গেল দুইজনের

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম গ্রেফতার

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ

৫৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী
সিদ্ধিরগঞ্জের হত্যা মামলায় কারাগারে আইভী

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত
চুয়াঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জন হতাহত

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত
লক্ষ্মীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষি কর্মকর্তা নিহত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস
কাশ্মীরে ইসলাম প্রচারের ইতিহাস

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র
ভারত ও পাকিস্তানের উচিত কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করা: যুক্তরাষ্ট্র

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম
অন্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার পরিণাম

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ
রাতভর অবস্থানের পর সকালেও চলছে যমুনার সামনে বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ মে)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?
ভারতের বিরুদ্ধে এফ-১৬ কি ব্যবহারই করতে পারবে না পাকিস্তান?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
চীনের তৈরি বিমান দিয়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা
আবদুল হামিদের সঙ্গে আরও দেশ ছাড়লেন যারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী
হঠাৎ একই দিনে ভারতে হাজির ইরান ও সৌদির দুই মন্ত্রী

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর
ভারতের ৪০-৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানি মন্ত্রীর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: একজন প্রত্যাহার, দু’জন বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩
পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সেনাসহ নিহত ১৩

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং
ভারত এই মুহূর্তে পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চায় না: রাজনাথ সিং

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
ইসরায়েলের তৈরি ২৫ ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা
আইভীকে আটকে অভিযান, রাস্তা অবরোধে সমর্থকরা

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব
সংবাদ সম্মেলনে যেসব বিষয় এড়িয়ে গেলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!
সত্যিই কি পরমাণু যুদ্ধে জড়াবে ভারত-পাকিস্তান? যা ছিল পুরনো মার্কিন গবেষণায়!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত
তিরস্কারের পর চয়নিকা চৌধুরীকে জামিন দিলেন আদালত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ: আসিফ মাহমুদ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও’র দায়িত্ব ছাড়লেন মীর স্নিগ্ধ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত : সাতক্ষীরার ১৩৮ কিমি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে বিজিবি

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ
চিমনিতে সাদা ধোঁয়া, ভ্যাটিকান পেল নতুন পোপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না
‘অনর্গল ইংরেজি’ বলার দক্ষতা ছাড়া যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে থাকা যাবে না

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ
হঠাৎ 'ব্ল্যাকআউট', মাঝপথে পরিত্যক্ত আইপিএল ম্যাচ

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম
এএসপি পলাশ সাহার বাড়িতে শোকের মাতম

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ, ভয়ের কোন কারণ নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল
ভারতের রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা জারি, পুলিশের ছুটি বাতিল-বিমান টহল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের
বাবাকে হত্যা করে পুলিশে ফোন মেয়ের

প্রথম পৃষ্ঠা

হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়
হামিদের দেশত্যাগে তোলপাড়

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রস্তাবে চার জাতির পিতা
প্রস্তাবে চার জাতির পিতা

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে
আওয়ামী লীগের ক্লিন ইমেজধারীরা আসতে পারবেন বিএনপিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সচিবালয়ে সমাবেশ, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

পেছনের পৃষ্ঠা

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ জিম বসুন্ধরায়

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন
আলোর মুখ দেখছে না তদন্ত প্রতিবেদন

নগর জীবন

চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় গুরুত্ব সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন
ফের হামলায় যুদ্ধবিমান ড্রোন

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
ঐকমত্য গঠনে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য
প্রথম আলোর প্রতিবাদ এবং আমাদের বক্তব্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না
ন্যায়বিচার হলে কোনো জালিম এ দেশে আসবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মামলার রায় ঘোষণা শুরু
মামলার রায় ঘোষণা শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর
মূল্যস্ফীতি কমাতে নীতির ধারাবাহিকতা চান গভর্নর

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে শুরু হলো চিকিৎসা খাদ্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী

নগর জীবন

এ অচলায়তন ভাঙতে হবে
এ অচলায়তন ভাঙতে হবে

সম্পাদকীয়

পলাশের বাড়িতে মাতম
পলাশের বাড়িতে মাতম

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন
বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনামূল্যে ২১ রোগীর অপারেশন

নগর জীবন

তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে
তারিক-শিহাব-মিথিলার দৃষ্টিতে সেরা কে

শোবিজ

ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে
ফিরিয়ে আনা হচ্ছে রিশাদ-নাহিদকে

মাঠে ময়দানে

বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই
বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন
সংবাদে হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ উল্লেখ, পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর আগুন

নগর জীবন

সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ
সুন্দরবনে হরিণের মাংস জব্দ

দেশগ্রাম

মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়
মানবিক করিডর প্রক্রিয়ায় চীন যুক্ত নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ
আইভীকে আটকে অভিযান, অবরুদ্ধ দেওভোগ

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট
চাঁদা না পেয়ে হামলা লুট

খবর

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ মুখোমুখি আজ

মাঠে ময়দানে