বুধবার দেশের ৫০ জেলার ১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহাসড়কগুলো উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, বিজয়ের মাসে জাতির জন্য এটি সরকারের উপহার। প্রায় ২ হাজার ২১ কিলোমিটারের জাতীয় আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে আশা করা যায়। ১০০ মহাসড়কের মধ্যে ৯৯টি সরকারি তহবিল থেকে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি একটি ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা মহাসড়ক পর্যন্ত চার লেনের কাজ ৬ হাজার ১৬৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে এডিবি, ওপেক ও আবুধাবি তহবিলের আওতায়। প্রধানমন্ত্রী এর আগে ৭ নভেম্বর সারা দেশের ২৫ জেলায় ১০০ সেতুর উদ্বোধন করেন। বুধবার উদ্বোধনকৃত রাস্তাগুলোর মধ্যে শুধু ৭০ কিলোমিটার বিদেশি ঋণে কাজ হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে সার্ভিস লেন দিয়ে সড়কটি চার লেন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১০০ সড়ক ও মহাসড়কের মধ্যে আগে যেগুলো করা হয়েছিল সেগুলো উন্নতমানের করা হলো। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নিরাপদে সড়ক যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হলো। শুধু সড়ক যোগাযোগ নয়, রেলপথ, নদীপথ এবং বিমান প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। জাতীয় সড়ক-মহাসড়কের বাইরেও উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে পায়ে চলার পথগুলোও উন্নত করা হচ্ছে। গ্রাম পর্যায়েও যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির পাশাপাশি চলাচলের সুযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সর্বোচ্চ ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ রাজধানীতে আসতে পারছে। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নের চাবিকাঠি। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। সারা দেশকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা হয়েছে। শত মহাসড়ক উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। আশা করা যায় ১০০ মহাসড়ক দেশের সব অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজতর করবে।