দেড় দশকের মধ্যে অর্থাৎ ২০৩৭ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২০তম অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের ৩৪তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থান। ১৫ বছরের মধ্যে সামনে থাকা আরও ১৪টি দেশকে অতিক্রম করার সাফল্য দেখিয়ে ২০তম স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে এমন আভাস দিয়েছে ব্রিটিশ অর্থনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিবর)। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনের ১৪তম সংস্করণে ২০৩৭ সালে বিশ্বের ১৯১টি দেশের কী অবস্থান থাকবে তা নিয়ে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়, ২০৩৭ সালে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হবে ভারত। বাংলাদেশ নিয়ে সিবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশটির পিপিপি হিসেবে ২০২২ সালে মাথাপিছু জিডিপি ৭ হাজার ৯৮৫ ডলার, যা দেশটিকে নিম্নমধ্য আয়ের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে। করোনা মহামারির ব্যাপক ক্ষতি সত্ত্বেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৩.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও ডিজিটালাইজেশনের ফলে করোনার ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এসেছে ৬.৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে আশা করা হচ্ছে ৭.২ শতাংশ। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য নিম্নমুখী ঝুঁকি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ৫১ বছর আগে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ধ্বংসলীলার সম্মুখীন হয়। ১ কোটি অর্থাৎ প্রতি সাতজনের একজন দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়। দেশেও উদ্বাস্তু হয় ১ কোটি মানুষ। ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় হানাদার পাকিস্তানিদের হাতে। লাখ লাখ বাড়িঘর লুটপাট অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে ব্যাঙ্গ করা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া বিশ্বের জন্য বিস্ময়। আত্মপ্রসাদে না ভুগে এগিয়ে যাওয়ার এ ধারা বজায় রাখতে হবে।