বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়ছে রপ্তানি আয়

মন্দার বছরের শুরুতে সুসংবাদ

অর্থনৈতিক মন্দার বছর আসছে এমন বিসংবাদ মেনে নিয়েই বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষ পা দিয়েছে ২০২৩ সালে। আইএমএফ বলছে, এ বছর বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দায় পড়বে। ২০২২ সালের চেয়েও কঠিন বছর বলে বিবেচিত হবে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের অর্থনীতিও শ্লথ হবে। ২০২২ সালে যেখানে বিশ্বের জিডিপি প্রবৃদ্ধি তাদের হিসাবে ৩.২ শতাংশ হওয়ার কথা সেখানে ২০২৩ সালে তা ২.৭ শতাংশে নেমে যাবে। মন্দার বছরে পা দিতে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ প্রস্তুতি শুরু করেছিল আগেভাগে। কীভাবে বিপদ মোকাবিলা করবে সে প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। বাংলাদেশও রয়েছে এই দলে। তবে আশার কথা নতুন অর্থবছরের শুরুতেই এসেছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সুসংবাদ। গত নভেম্বরের পর সদ্যসমাপ্ত ডিসেম্বরেও রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশে। স্বাধীনতার পর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পরপর দুই মাসে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। গত নভেম্বরে পণ্য খাতে নিট রপ্তানির আয় ৫ দশমিক ০৯ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়। আর ডিসেম্বরে তা অতিক্রম করে ৫ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের নতুন রেকর্ড হয়েছে। পরপর দুই মাসে রেকর্ড রপ্তানি আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরুর দিকে কিছুটা খারাপ করলেও গত দুই মাসে রপ্তানি আয়ে রেকর্ড ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। তারা উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহী হবেন। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়সীমায় ২৭ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। এটি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি। বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ হলো, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটি প্রধান খাত জনশক্তি রপ্তানিও বাড়ছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হয়েছে সর্বাত্মক চেষ্টা। হুন্ডি বন্ধ করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে; যা সফল হলে মন্দার বদলে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেবে ২০২৩ সাল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর