শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেড়েছে পোশাক রপ্তানি

দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর

বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম প্রধান বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪২ শতাংশ। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বিশ্বের প্রায় সব দেশের মতো বাংলাদেশ যখন বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ধরে রাখা নিয়ে সংশয়ে ভুগছে তখন এ তথ্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে গত বছর জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৪০ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। ওই সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ১০ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সারা বিশ্ব থেকে ৮৬ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে। ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ২৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানিতে চীনের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। চীন ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ রপ্তানি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সবচেয়ে বড় পোশাক সরবরাহকারীর অবস্থান ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের প্রধান পণ্য তৈরি পোশাকের রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও সন্তোষজনক হারে বেড়েছে। মন্দা মোকাবিলায় যা সাহস জোগাবে বাংলাদেশকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেকটি প্রধান খাত রেমিট্যান্স আয়েও ইতোমধ্যে সুবাতাস অনুভূত হচ্ছে। গত এক বছরে রেকর্ড পরিমাণ কর্মজীবী বিদেশে গেছেন। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে বিলাস পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কার্যক্রম। চলতি বছর বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা ও খাদ্যাভাব দেখা দেবে বলে যে আশঙ্কা রয়েছে তাতে বাংলাদেশ জয়ী হবে এমনটিই আশা করা হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর