সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পরিবেশ দূষণে ইটভাটা

আফতাব চৌধুরী

‘ইটের পরে ইট, তার মাঝে আছে মানব কীট’ কবির এই ছোট্ট পঙ্ক্তিটিতে ইটের অশুভ প্রভাবের পরিচয় পাওয়া যায়। পৃথিবীতে প্রথম কোথায়, কখন এবং কে এই ইট তৈরি করেছেন, আজও তার সঠিক তথ্য আবিষ্কৃত হয়নি। তবে অনেকটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, পৃৃথিবী সভ্যতার গোড়াপত্তন থেকে ইটের উৎপত্তি। মাটির হাঁড়ি-পাতিল পোড়ানোর ধারণা থেকেই ইট, নয়তো ইট পোড়ানোর ধারণা থেকেই এই মৃৎশিল্পের সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হয়। তখনকার সে ইট টালি ইট নামে পরিচিত ছিল। কালের বিবর্তনে আজকের স্বাভাবিক ইটের পাশাপাশি আধুনিক ব্যয়বহুল সিরামিক ইটও তৈরি হচ্ছে। নিয়ম-নীতিমালাহীনভাবেই প্রতি বছর স্থাপিত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা। সরকারি বিধিনিষেধকে অমান্য করে ইচ্ছামাফিক আচরণের কারণে ইটভাটাগুলো একদিকে পরিবেশ দূষণের কারখানায় পরিণত হয়েছে অন্যদিকে শস্য উৎপাদনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। জনবহুল এলাকা এবং কৃষিজমির ওপর ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে সরকারি কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। ১৯৯২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সরকারি-বেসরকারি নতুন ইটখোলা অবশ্যই অনুর্বর, অকৃষি জমিতে তৈরির জন্য নির্দেশ রয়েছে। যত্রতত্র ইটখোলা তৈরি না করে নদীর তীরে, চরে বা কোনো বিশেষ নির্জন এলাকার ইটভাটা নির্মাণের জন্য প্রজ্ঞাপনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।               

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর