রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

অব্যবহৃত বিমানবন্দর

চালুর সম্ভাবনা যাচাই করুন

ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনে এগিয়ে যেতে হলে উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার বিকল্প নেই। পাঁচ দশক আগে স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ। আজ দুই শতাধিক দেশের মধ্যে ৪১তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থাগুলোর অভিমত, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত বেগে। সময়ের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিমান যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রকারান্তরে দেশ পিছিয়ে পড়ছে। গত পঞ্চাশ দশকে বিমানে চলাচল করার সক্ষমতা বেড়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চললেও দেশের ছয়টি বিমানবন্দর ফেলে রাখা হয়েছে অব্যবহৃতভাবে। কোনোটিতে ৫০ বছর ধরে কোনো বিমান ওড়ে না। সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে কোনোটির উন্নয়ন কার্যক্রম। খানজাহান আলী বিমানবন্দরে নেই রানওয়ে, টার্মিনাল। নির্মাণাধীন এ বিমানবন্দরের ৭০০ একর জমিতে ধান চাষ, মাছের খামার ও গরু চরে। কুমিল্লা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ঘাস গজিয়েছে। গরু চরে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরে। অব্যবহৃত থেকে কয়েকটি বিমানবন্দরের নেভিগেশন সরঞ্জাম অকেজো হয়ে গেছে। বোদ্ধাজনদের মতে, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব বিমানবন্দর আবার পরিচালনা করা গেলে পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ত। দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ১৫টি বিমানবন্দরের মধ্যে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওঠানামা করে এমন বিমানবন্দর আটটি। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক, পাঁচটি অভ্যন্তরীণ। বাকি ছয়টি বিমানবন্দরই পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত। শুধু তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরটি সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার হয়। সেটির কোনো বাণিজ্যিক ব্যবহার নেই।  অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে বাগেরহাট ও কুমিল্লা বিমানবন্দর সবচেয়ে সম্ভাবনাময়।  মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং সুন্দরবনের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে বাগেরহাট বিমানবন্দর খুবই সম্ভাবনাময়। বিদেশে কুমিল্লা প্রবাসীর সংখ্যা ১৫ লাখ হওয়ায় কুমিল্লা বিমানবন্দর চালু হলে প্রবাসীদের যাতায়াতে স্বস্তি আসবে। অব্যবহৃত বিমানবন্দরগুলো চালু করার কথা ভাবতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর