শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে এনআইডি

সুফল পেতে নজরদারি থাকতে হবে

বাংলাদেশ রেলওয়ে স্বাধীনতার পর থেকে দুর্নীতি ও যথেচ্ছতার যে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে তাতে কিছুটা হলেও বাদ সাধার চেষ্টা চলছে। ১ মার্চ থেকে সারা দেশের আন্তনগর ট্রেনের টিকিটে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। একই সঙ্গে রেলওয়ের টিকিটিং ও টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় সারা দেশে প্রাথমিকভাবে ১০০টি পস মেশিন চালু করা হয়েছে। কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে এনআইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে যাত্রীদের। অনলাইনে টিকিট কিনতে এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পাসপোর্ট অথবা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমেও টিকিট পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে রেলওয়ে ধারাবাহিকভাবে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ লোকসানের কারণ সীমাহীন দুর্নীতি। সারা দুনিয়ায় রেলপথে ভ্রমণকে সবচেয়ে আনন্দদায়ক ভ্রমণ হিসেবে ভাবা হয়। বাংলাদেশ এদিক থেকে ব্যতিক্রম। আমাদের দেশে রেলপথে যত যাত্রী চলাচল করেন তার একাংশ বিনা টিকিটের যাত্রী। যাদের অনেকেই রেলওয়ের কর্মচারীদের উৎকোচ দিয়ে ভ্রমণ করেন। ফলে প্রথম শ্রেণির বগিতেও টিকিটহীন যাত্রীদের ভিড়ে নিরাপদে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়ে। রেলমন্ত্রী কমলাপুর রেলস্টেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে রেলওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থা চালু ও টিকিট চেকিং ব্যবস্থায় পস মেশিন হস্তান্তর উপলক্ষে বলেছেন, এতদিন টিকিটপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে অভিযোগ ছিল তা থেকে বের হওয়ার জন্য টিকিট যার ভ্রমণ তার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এনআইডি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকিট কিনতে পারবেন না। যাত্রীরা যাতে কোনো প্রকার কালোবাজারি ছাড়াই নিজের টিকিট নিজে কাটতে পারেন সেটি নিশ্চিত করার জন্য এনআইডি কার্ড সংযোজন করা হয়েছে। আমরা রেল মন্ত্রণালয়ের নতুন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে চাই। তবে একই সঙ্গে আশা করব এসব পদক্ষেপ যাতে শেষ পর্যন্ত প্রহসনে পরিণত না হয়, সে জন্য কঠোর নজরদারি বজায় থাকবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হলে রেলওয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

সর্বশেষ খবর