বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি

এগিয়ে নিতে হবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো চাপে তাকে টলানো যাবে না। ওপরে আল্লাহ ও জনগণকে তিনি তাঁর শক্তি বলে ভাবেন। তাঁর মাথার ওপর রয়েছে জাতির পিতার আশীর্বাদের হাত। নির্বাচন সামনে রেখে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চললেও তাঁর বিশ্বাস কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু সমস্যা তৈরি হবে। তবে সেটা দেশের জনগণই মোকাবিলা করবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাতার সফর সম্পর্কে সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তারা ৩০০ আসনে ৭০০ নমিনেশন দিয়ে টাকা খেয়ে নিজেরাই নিজেদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমার মা-বাবার খুনিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি শুধু দেশের কথা চিন্তা করে। নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি কোনো চাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ রকম বহু চাপ ছিল, পদ্মা সেতুর আগে কম চাপ দেওয়া হয়নি। একটি দেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যদের দিয়ে টেলিফোনের পর টেলিফোন করা হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে ব্যাংকের এমডি পদে রাখতে হবে এই ছিল তাদের দাবি। কারণ এমডি পদে থাকলে মানি লন্ডারিং করা যায়। সেই চাপ তিনি সহ্য করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করছে। তাদের গঠনতন্ত্রে সাজাপ্রাপ্ত আসামি নেতা হতে পারে না। অথচ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে তারা নিজেদের নেতা বানিয়ে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণ যেন স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সে প্রস্তুতি রয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনেও যে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে তা তাঁরা প্রমাণ করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন-গুলোই এর প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর কাতার সফর সফল বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে এটি তাঁদেরই স্লোগান। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাঁর সরকারের যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আমাদের বিশ্বাস, গণতান্ত্রিক শাসন পদ্ধতি এগিয়ে নিতে এ প্রতিশ্রুতিতে সরকার অটল থাকবে।

সর্বশেষ খবর