শুক্রবার, ১৭ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাঁচ সিটি নির্বাচন

ইসির সক্ষমতা প্রমাণ হোক

জাতীয় নির্বাচনের পৌনে এক বছর আগে গতকাল শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ এবং বেশ কয়েকটি পৌরসভা ও উপজেলায় সাধারণ এবং উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকারকে বলা হয় নাগরিকের নিজস্ব সরকার। এলাকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সংযোগ থাকায় জাতীয় নির্বাচনের চেয়েও স্থানীয় নির্বাচনে বাড়তি আবেগ সৃষ্টি হয়। দেশের মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে নির্বাচন কমিশন চায় জাতীয় নির্বাচনের আগে সব স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপকসংখ্যক ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হোক। জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হবে দেশের পাঁচ মহানগরীর নির্বাচন। ইতোমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মে থেকে জুনের মধ্যে তিন ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনের ভোট শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন-ইসি। এপ্রিলের মাঝামাঝি তফসিল ঘোষণা করে প্রথম ধাপে ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে তফসিল দিয়ে দ্বিতীয় ধাপে ১০ জুন দুই সিটিতে এবং মের শুরুতে তফসিল দিয়ে তৃতীয় ধাপে ২২ জুন অন্য দুই সিটিতে ভোটের সম্ভাব্য তারিখ রাখা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, বরিশাল অথবা খুলনা, রাজশাহী; তৃতীয় ধাপে রাজশাহী, সিলেট অথবা বরিশাল, সিলেট সিটিতে ভোট হতে পারে। তবে তফসিলের আগে সিদ্ধান্ত হবে কোন ধাপে কোন সিটিতে ভোট হবে। মে থেকে জুনের মধ্যে গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গত বুধবারের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এমন তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইসি সচিব। আমরা আশা করব, পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের সক্ষমতার প্রমাণ রাখবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের যে আকাশছোঁয়া মর্যাদা তা সুরক্ষায় ভোটসংক্রান্ত যে কোনো অনিয়মের বিষয়ে অবলম্বন করা হবে জিরো টলারেন্স। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এ সক্ষমতার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর