রবিবার, ১৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

রমজানের বাজার

নিত্যপণ্যের দাম কমানোর ব্যবস্থা নিন

দ্রব্যমূল্যের মূল্যবৃদ্ধি যে কোনো দেশের গরিব মানুষের জন্য এক বাড়তি বিড়ম্বনা। বাংলাদেশের মানুষের জন্যও তা মহাসত্যি। বিশেষ করে রোজার মাসে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যখন সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকবেন তখন নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রোজাদারদের মানসিক শান্তির বিঘ্ন হলে, তা জন-অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না। দেশের বিগত ১৩টি রমজানের নিরিখে এ কথায় আস্থা রাখা গেলে সবাই খুশি হতেন। কিন্তু বাস্তবে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে গত কয়েক মাস ধরে। রমজান না আসতেই দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা সাধারণের। সব মিলিয়ে রোজা সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখাই সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঠ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা প্রশাসকদের দিয়েছেন বিশেষ নির্দেশনা। সে অনুযায়ী জেলা ও উপজেলায় বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করছে জেলা প্রশাসন। মাংসের দাম নতুন করে না বাড়লেও মাছের বাজারে রমজানের প্রভাব পড়েছে সপ্তাহখানেক আগে থেকে। সবজির দামও চড়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মূল্য বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে রমজানকেন্দ্রিক পণ্যের দামও। ছোলা, বেসন ও খেসারির ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আর ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দাম কেজিতে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা বেড়েছে। গত এক বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৯০ শতাংশ। চাল, ডাল, তেল, চিনি, প্রতিটি পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। রোজা সামনে রেখে গত এক মাসে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে ব্যবসায়ীদের মুনাফার পাহাড় স্ফীত করতে রোজায় নতুন করে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর দরকার নেই। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে হলে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ শুধু নয় বরং তা সহনশীল মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।  কারণ মাছ, মাংস, সবজিসহ সব খাদ্যপণ্যের দাম ইতোমধ্যে এতটাই বেড়েছে যে, তা কিনে খাওয়ার সাধ্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নেই। ফলে রোজায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধ নয়, সহনশীল মাত্রায় আনা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ। এখানে আত্মপ্রসাদের সুযোগ নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর