বিশ্বের আবহাওয়া বেসামাল হয়ে পড়ছে ‘যিশুপুত্র’ এল নিনোর প্রভাবে। যিশু ছিলেন শান্তি ও মানবতার মূর্ত প্রতীক। তার পুত্রের বেসামাল আচরণ জগদ্বাসীর কাম্য হতে পারে না। আসলে মহাপুরুষ হিসেবে অভিহিত করা হয় যে যিশুকে তার কোনো সন্তান ছিল না। উত্তর আমেরিকায় বড়দিনের প্রাক্কালে উষ্ণ সামুদ্রিক জলস্রোতে যে পরিবর্তন ঘটে তাকে বলে এল নিনো। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ বালক। বড়দিনের প্রাক্কালে যেহেতু এল নিনোর উদ্ভব, সেহেতু এটিকে যিশুর পুত্র অভিধা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, বিশ্ব এখন উষ্ণ সময় পার করছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ৬৬ শতাংশ। মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন হচ্ছে এবং চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের যে সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা তা থেকেই এ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। যদি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে তবে তা হবে উদ্বেগের। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল দেশগুলো। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বে তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যাবে। প্রতি বছর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে গেলে এবং এক বা দুই দশক ধরে চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকা, মারাত্মক ঝড় ও তীব্র দাবানল দেখা যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্বন নির্গমন ব্যাপকভাবে কমিয়ে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি সীমিত রাখার সময় এখনো আছে। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। এ ব্যাপারে দুনিয়াবাসীকে এক হতে হবে।