শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

লোডশেডিং

দূর হোক এ অপ্রত্যাশিত অবস্থা

দাবদাহে পুড়ছে দেশের মানুষ। গ্রাম শহর সর্বত্রই মানুষের হাহাকার আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই। দাবদাহে দেশজুড়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা সার্বিক চাহিদার চেয়ে অনেক অনেক বেশি হলেও জ্বালানি সংকটে সে সুবিধা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ডলার সংকটে জ্বালানি তেল, এলএনজি ও কয়লা আমদানি কমায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের পার্থক্য তৈরি হওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে। দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৪৭ শতাংশ গ্যাসভিত্তিক। গ্যাসসংকটে গ্যাসভিত্তিক সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না। এ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়াট। বুধবার দিনের বেলায় উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট। ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৭ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। বুধবার দিনের বেলায় উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ২১৫ মেগাওয়াট। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩ হাজার ৪৪০ মেগাওয়াট। গতকাল দিনের বেলায় উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ১৫৭ মেগাওয়াট। কয়লাসংকটে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার মুখে। কেন্দ্রের দুই ইউনিটের একটি এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। মজুদ কয়লা দিয়ে দ্বিতীয় ইউনিট চলতে পারে আগামী ৩ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, অস্বস্তিকর গরম আরও কয়েক দিন অনুভূত হবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে অস্বস্তিকর অবস্থা। দাবদাহে জনজীবনের কষ্ট বাড়িয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। রাজধানীতেই প্রতিদিন কয়েকবার বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যাচ্ছে। আর গ্রামে তো কথাই নেই। যেখানে বিদ্যুৎ কখন যায় সেটি কোনো আলোচ্য বিষয় নয়। বিদ্যুৎ কখন আসে সেটিই সবার কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকের যুগে বিদ্যুৎ হলো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। সেহেতু উৎপাদন ব্যবস্থা এবং জনজীবনের স্বস্তি বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দিকে নজর দিতে হবে। এ জন্য অন্য খাতে খরচ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর