শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনী বাজেট

বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার মেগা বাজেট ঘোষণা করেছেন। দেশের প্রথম বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকার। জুনের প্রথম দিনে জাতীয় সংসদে পেশকৃত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫১ বছর আগে ঘোষিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ১ হাজার গুণ বড়। দেশের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় বাজেট। একই সঙ্গে এটি সবচেয়ে বড় ঘাটতি বাজেটও। ২০০৬-০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সর্বশেষ বাজেটের আয়তন ছিল ৭৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা। ১৭ বছরের ব্যবধানে বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। বৈশ্বিক মন্দা পৃথিবীর প্রায় সব দেশকে গভীর সংকটে ফেলেছে। বাংলাদেশকেও পোহাতে হচ্ছে মন্দার ধকল। তারপরও জাতীয় নির্বাচনের ছয় মাস আগে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ওপর যাতে করের বোঝা না চাপে সেদিকে যথাসম্ভব নজর দেওয়া হয়েছে। নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সামাজিক নিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। চালু করা হয়েছে নতুন ধরনের পেনশন স্কিম। এতে ১০ বছর চাঁদা জমা দিলে আজীবন পেনশন পাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যা প্রশংসার দাবিদার। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের জন্য ৭ কোটি ৬১ লাখ ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট নিঃসন্দেহে বড় কিছু নয়। তবে বাজেটে ট্যাক্স ও ভ্যাটের মাধ্যমে আয়ের পরিমাণ ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা হওয়ায় বাদবাকি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি ঘাটতি থাকবে এবং এ অর্থ ব্যাংক ঋণ ও বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পূরণ করা হবে। ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেটে জনপ্রশাসন নামের শ্বেতহস্তীর পেছনে ব্যয় হবে ২২ শতাংশ অর্থ। সাধারণ মানুষের আয় না বাড়লেও সরকারি কর্মচারীদের আয় বৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। বাজেটে সাধারণ মানুষের কল্যাণের খাত এডিপিতে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। দেশবাসী চায় এ অর্থের শতভাগ সঠিকভাবে ব্যয় হোক। এডিপি বাস্তবায়নে ব্যর্থদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। বাজেটে করযোগ্য আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব বাস্তবসম্মত। নির্বাচনী বাজেট বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর