শিরোনাম
শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিয়ন্ত্রণহীন বাজার

ভোক্তাদের রক্ষার উদ্যোগ নিন

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এ হেন মানুষও তার মর্যাদা হারায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কশাঘাতে। বাজারে গেলে নিজেকে বিপন্ন মনে করে সে। দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে স্পুটনিক গতিতে। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে হেরে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। ধনীক শ্রেণি, উচ্চ-মধ্যবিত্ত, উৎকোচভোগী সরকারি কর্মচারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক টাউট ছাড়া অন্য সবাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা। বর্তমান সরকারের শাসনামলে গত ১৪ বছরে আর্থ-সামাজিক অবস্থার নজরকাড়া উন্নতি হয়েছে। হতদরিদ্রদের সংখ্যা কমেছে বিপুলভাবে। ১৪ বছরের উন্নয়ন আগের হাজার বছরের উন্নয়নকে হার মানিয়েছে। এটি এক মহাসত্যি। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা তৃতীয় মেয়াদের শেষ ভাগে সরকারের অস্তিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে। জীবন-যাপনের খরচ মেটাতে কোনো হিসাবই যেন মেলাতে পারছে না সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে না পারায় মূল্যস্ফীতির চাপ চলে গেছে ১২ বছরের সর্বোচ্চ স্তরে। মে-২০২৩ শেষে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। রোজার ঈদের পর থেকে কোনো কারণ ছাড়াই চিনির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। পিঁয়াজের কেজি তো আচমকা ১০০ টাকায় উঠেছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারগুলোতে কিছুটা কমলেও খুচরা বাজারে এখনো প্রভাব পড়েনি সেভাবে। চাল, আটা, চিনি, তেল, মাছ-মাংস-সবজি নাগালের ভিতরে নেই কোনোটাই। নিত্যপণ্যের বাজারে দিন দিন অস্থিরতা বাড়ছেই। ডিমের ডজন আবারও ১৫০ টাকা। বাজারে নেই কোনো মনিটরিংও। মানুষ চরম এক অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এ কথা ঠিক, সারা বিশ্বই এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তবে বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থায় কোনো মনিটরিং না থাকায় অসৎ ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করার সাহস দেখাচ্ছেন। মজুদদারদের অপতৎপরতাও সংকট বাড়াচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পেছনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অযোগ্যতা জড়িত। এমন অভিযোগ বোদ্ধাজনদের। নিজেদের স্বার্থেই সরকার এ ব্যাপারে কড়া হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর