শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩

মওলানা ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় নির্বাচন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
মওলানা ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় নির্বাচন

দেখতে দেখতে এতদিন হয়ে গেল ভাবতেও পারিনি। মনে হয় এই তো সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে সীমান্তে সীমান্তে ঝাড়ে-জঙ্গলে, বনে-বাদাড়ে উল্কার মতো ছুটে বেড়াচ্ছি। প্রথম অবস্থায় তেমন সাড়া পাইনি। সীমান্ত এলাকার উপজাতিরা প্রথম থেকেই আমাদের পাশে আসতে শুরু করে। তাদের জিজ্ঞেস করলে, তোমরা কেন এসেছ? তাদের সোজাসাপটা উত্তর, ‘ওরা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, আমরা তার বদলা নেব।’ তাদের কথায় কোনো কুটিলতা ছিল না, কোনো খাদ ছিল না। সত্যিই তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় মুক্তিবাহিনী গড়ে তুলেছিল। ৬-৭ মাস যেতে যেতেই আমাদের সমর্থক হিন্দু-মুসলমান দলে দলে অংশগ্রহণ করতে শুরু করে। সেখানে অনেক রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র, যুবকর্মী ছিল। একটা সময় সশস্ত্র বাহিনীর অনেক লোক যোগাযোগ করে এবং কেউ কেউ অংশগ্রহণ করে। রক্ষীবাহিনীর অধিকাংশ সদস্যকে সেনা ও অন্যান্য বাহিনীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিলে তারাও তাদের বাহিনী থেকে, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। ’৭৫-এর ২১ আগস্ট ঢাকা ছেড়েছিলাম। সে সময় একটা ছোট্ট প্রচারপত্র বিলি করেছিলাম, ‘খুনিরা বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্র কামাল-জামাল-রাসেলকে হত্যা করতে পারলেও আমি বঙ্গপিতার চতুর্থ পুত্র কাদের সিদ্দিকী পিতৃহত্যা বিনা প্রতিবাদে যেতে দেব না। যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ পিতৃহত্যার বদলা আমরা নেবই নেব।’ অনেক কষ্টে প্রায় ৪০ ঘণ্টা না খেয়ে সীমান্তে পৌঁছেছিলাম। তার পরের ইতিহাস অনেক লম্বা। সে নিয়ে অন্য কোনো দিন অন্য কোনোখানে লিখব। এক বছর পার হয়ে গিয়েছিল। আমরা তখন বেশ শক্ত সামর্থ্য। সহকর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৮-১০ হাজার। নানা জায়গায় সুশৃঙ্খল ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড় সব কিছুতেই কষ্ট ছিল। কিন্তু একেবারে আগের মতো নয়। একবেলা না খাওয়া একবেলা খাওয়া সে রকম নয়। নিয়মিতই খাওয়া-দাওয়া, কাপড়-চোপড়ের ব্যবস্থা ছিল। তবে একটা কথা বলে যাই, বয়স হয়েছে কখন না কখন চলে যাব, পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও স্বেচ্ছাশ্রমে কোনো জনযুদ্ধ গড়ে ওঠেনি। কমবেশি সবাই একটা সম্মানী পেয়েছেন। সেটা ভিয়েতনাম, লাউস, কম্বোডিয়া, কিউবা কিংবা চীন। কোথাও যোদ্ধারা নিয়মিত সামান্য সম্মানী পাননি এমন একটা ঘটনাও নেই। এমনকি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধেও যারা নিয়মিত বাহিনীর ছিলেন তারাও তাদের বেতন পেয়েছেন। সেটা সামরিক-বেসামরিক সবাই। যারা বা যাদের সামরিক-বেসামরিক চাকরি ছিল না তারাও যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন ৫০ থেকে ১০০ টাকা মাসিক ভাতা পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে প্রবেশের পথে তাদের হাত খরচ, খাওয়া-দাওয়ার একটা সর্বনিম্ন অর্থ দিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনী এবং ’৭৫-এর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদী যোদ্ধাদের এক পয়সাও সম্মানী বা ভাতা দেওয়া হয়নি। এ এক বিশ্বের বিস্ময়! সীমান্তে প্রায় ৪০০ মাইলজুড়ে ডাউকি থেকে রৌমারী-রাজীবপুর-চিলমারী পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সেখানে অনেক জায়গায় থানা, অনেক বিডিআর ক্যাম্প আমাদের মুক্ত এলাকার মধ্যে পড়েছিল, যা জাতীয় মুক্তিবাহিনী দখল করে নিয়েছিল।

এরকম অবস্থায় ’৭৬-এর ১৭ নভেম্বর আমি তখন মেঘালয়ের রংরায়। হঠাৎই বিবিসির সাড়ে ৭টার খবরে শুনলাম মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আর নেই। খবরটি শুনে কতটা দিশাহারা হয়েছিলাম ঠিক বলে বোঝাতে পারব না। মৃত্যু সংবাদ জীবনে অনেক পেয়েছি, অনেক মৃত্যু চোখের সামনে দেখেছি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছিলাম ১৫ আগস্ট ’৭৫-এ পিতার মৃত্যুতে। বুক ফেটে গিয়েছিল, দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম। সমস্ত চিন্তা-চৈতন্য কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল কোনো বোধশক্তি ছিল না। ঠিক তেমনি আঘাত পেয়েছিলাম হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যু সংবাদে। হুজুরকে ’৬০-’৬২ সাল থেকে চিনতাম জানতাম, ২-৪ বার কাছাকাছি চলাফেরাও করেছি। কিন্তু তারও আগে ’৫৭-এর কাগমারী মহাসম্মেলনে হুজুরকে প্রথম দেখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুকেও সেখানে পেয়েছিলাম বা দেখেছিলাম। তখনকার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী আতোয়ার রহমান খান আরও কত নেতা, গায়ক, শিল্পীর মহামিলন ঘটেছিল সেখানে। সম্মেলন শেষে কাগমারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের সামনে এক জনসভা হয়েছিল। অসম্ভব লোকসমাগম হয়েছিল সেখানে। মাইকের গমগম আওয়াজ হৃদয়মূলে নাচন তুলেছিল। আমার এখনো চোখের সামনে সিনেমার পর্দায় ভেসে ওঠার মতো হুজুর মওলানা ভাসানীর দাড়ির নাচন দেখি। আমার মনে হয় আমি আগে হুজুরকে চিনেছি, না হুজুরের দাড়ি চিনেছি। স্বাধীনতার পর তো আমাকে ছাড়া তার চলতই না। যে কোনো ব্যাপারে তার ছিল কাদরীকে প্রয়োজন। কোনো বড় মাহফিল হবে চাল-ডাল-তেল-নুন-মরিচ-পিঁয়াজ-লাউ-কুমড়া-চিনি যা কিছু দরকার ডাকো কাদরীকে। ৫-৭ হাজার টাকার বাজারের তালিকা দিয়ে লুঙ্গির কোঁচা থেকে হয়তো ১২৫-১৩০ টাকা বের করে দিতেন। এটা ছিল তার সারা জীবনের অভ্যাস। তিনি প্রতি বছর খাজা বাবার ওরস করতেন, মুরিদদের নিয়ে জলসা করতেন। খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব পড়ত আমার ওপর। লোকজনও এ ব্যাপারে প্রচুর সাহায্য করত। যখন যার কাছে যা চেয়েছি বল্লা-রামপুর-টাঙ্গাইল-কালিহাতী-হামিদপুর-গোপালপুর-ঘাটাইল-নাগরপুর-মির্জাপুরের অনেক বিত্তশালী উৎসাহ করে সাহায্য করেছেন। একবার ৫ মণ কাঁচামরিচ, ১০ মণ পিঁয়াজ, ২ মণ রসুন, ১০ মণ আলু, ২-৩ মণ মাছের জন্য হুজুর আমাকে দিয়েছিলেন ১১০ টাকা। এখন সেসব কথা মনে হলে কেমন যেন এক মধুময় আবেশে হারিয়ে যাই। সর্বশেষ ৮ মার্চ ১৯৭৫ কাগমারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ সরকারি করতে বঙ্গবন্ধু টাঙ্গাইল গিয়েছিলেন। রাজধানীর বাইরে সেই তার শেষ সফর। টাঙ্গাইলের প্রান্তসীমা গোড়াই থেকে আমি, বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী এবং জননেতা আবদুল মান্নান ভাই বঙ্গবন্ধুর গাড়িতে ছিলাম। কাগমারী সন্তোষে যাওয়ার পথে জাহাঙ্গীর স্মৃতি সেবাশ্রম পরিদর্শন করেছিলেন। মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ মাঠে এক বিশাল জনসভা হয়েছিল। আমাদের নেতা শামসুর রহমান খান শাজাহান ভাই সভা পরিচালনা করছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে বলেছিলেন, ‘শাজাহান, তুমি বসে কাদেরকে দাও।’ আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ ঘটনা কাগমারী মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ জাতীয়করণের জনসভা পরিচালনা। সেবারও সন্তোষের দরবার হলে খাবার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল আমার ওপর। আরিচার রুই, বাহাদুরাবাদ ঘাটের চিতল, আরও কোথাকার কোথাকার গরু, খাসি সে এক এলাহি কারবার। সেবার তালিকা দিয়ে কোঁচা থেকে বের করে দিয়েছিলেন ১৩৭ টাকা। বাজার খরচ হয়েছিল ১৭-১৮ হাজার। সে এক চমৎকার ব্যাপার। বড় ভালোবাসতেন হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দরিদ্রের বন্ধু, সাধারণ মানুষের আশ্রয় অমন হৃদয়বান মানুষ খুব একটা পাওয়া যায় না। সেই মানুষটি ’৭৬-এর ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে মারা যান। তার জন্য তখন কিছুই করার ছিল না আমার।

আমার জীবনে খুব একটা অতৃপ্তি নেই। যা চেয়েছি প্রায় সব কিছুই পেয়েছি। টাকা, গাড়ি-ঘোড়া, বিষয়-সম্পত্তির জন্য কখনো লালায়িত ছিলাম না। এখনো নই। গাড়ি আছে, বাড়ি আছে। বাড়ি না হয় একটু পুরনো, গাড়ি না হয় আরও বেশি জেরবেরে। কিন্তু চলার মতো সবই আছে। বাড়িতে অফুরন্ত শান্তি আছে। জীবনে যা সব থেকে বেশি প্রয়োজন সে স্বস্তির কোনো অভাব নেই। কিন্তু সারা জীবন একটা সুপ্ত বাসনা ছিল আল্লাহ যদি জাতির পিতার কফিনে কাঁধ লাগাতে দেন, তাঁর দেহ কবরে নামানোর সৌভাগ্য অর্জন করতে পারি সেটা হবে আমার জন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ আশীর্বাদ। কামনা ও বাসনা ছিল মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর দেহ কবরে নামানোর। এ দুটির কোনো সাধই পূরণ হয়নি। এই অপূর্ণতা নিয়েই আমাকে এ দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে।

হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যু দিনে শুক্রবার সকালে তার মাজারে গিয়ে মনটা বেশ ভারী হয়ে গিয়েছিল। সন্তোষে এখন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। সে এক যারপরনাই অরাজক অবস্থা। প্রথম প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমার সরল-সহজ ভালো মানুষই মনে হয়েছিল। এর আগে একজন ছিলেন যার আবার আমার দাদুর নামে নাম দুর্নীতির খনি। মানুষ এত দুর্নীতি করতে পারে তাও আবার একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভদ্রলোক টাঙ্গাইল না এলে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর না হলে বোঝা যেত না। ভদ্রলোকের দক্ষতা যোগ্যতাও ছিল না। এখন যিনি ভিসি হয়েছেন তিনি আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল বা টাঙ্গাইল থেকে যখন ঢাকায় ফিরি মূল রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভবত ৪টি গেট, ৪টাই খোলা দেখি। কিন্তু সন্তোষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি গেট বন্ধ। হুজুর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী একজন ওলি-এ-কামেল। তার ভক্ত মুরিদ বেশুমার। তারপরও গেট বন্ধ। ১৭ নভেম্বর হুজুরের মৃত্যু দিনেও অনেককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেদিনও গেট বন্ধ। কখনো খোলা কখনো আবার বন্ধ। মাজার জিয়ারত শেষে বেরিয়ে আসার পথে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে পুলিশ বাধা দেয়। আমি গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সেই সাব-ইন্সপেক্টরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি যুৎসই উত্তর দিতে পারেননি। একসময় বলেন, ওপর থেকে বলা হয়েছে। হুজুরের মৃত্যু দিনেও যদি এরকম কপাট বন্ধ থাকে তাহলে তো বিশ্ববিদ্যালয়টা হুজুরের স্মৃতি বিজড়িত তার পদধূলি মাখা আঙিনায় না হওয়াই ভালো ছিল। অন্য কোথাও হলেই হতো। এলাকায় একটা মারাত্মক উত্তেজনা চলছে। আমি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর একজন ভক্ত বলে অনেক মানুষ আসে অনেক অভিযোগ করেন। যেমন আওয়ামী লীগের লোকেরা আসে, আওয়ামী লীগ নিয়ে অনেক কথা বলে। এই গত পরশু তৃণমূল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তৈমূর আলম খন্দকারের ‘স্বাধীনতা তোমাকে খুঁজছি’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করতে প্রেস ক্লাবে গিয়েছিলাম। এক বক্তা বললেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না, আলোচনা করতে পারেন না। আপনি আপনার বোনের সঙ্গে যখন খুশি তখন যোগাযোগ করতে পারেন, কথা বলতে পারেন। আপনি তাঁকে দেশের সার্বিক অবস্থা সঠিকভাবে জানান। বক্তাকে বলেছি, তার কথা একেবারে অসত্য নয়, কিন্তু সম্পূর্ণ ঠিকও নয়। বঙ্গবন্ধুর জমানায় হলে রাত ১টার সময় তাঁর কাছে যেতে পেরেছি, কথা বলতে পেরেছি। এখনো নেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারি, দেখা করতে পারি। কিন্তু অতটা না। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ভাবনাচিন্তা সেটা তো আমি বদলে ফেলতে পারব না। সত্যিই সন্তোষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একক ক্যাম্পাস নয়। সেখানে অনেক স্কুল-কলেজ-দাতব্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে, মাজার রয়েছে। প্রবেশের এতটা কড়াকড়িতে প্রচন্ড উত্তেজনা চলছে। হুজুরের পরিবার-পরিজনকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয় না। এ নিয়েও নানা কথা আছে। একটা মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে কখনো দালালের অভাব হয়নি। সেই সুলতানি আমল থেকে মুঘল আমল তারপর ইংরেজ এই বাংলায় যেমন বীরের অভাব হয়নি, তেমনি মীরজাফরের অভাব হয়নি। ভালোমন্দ মিলেই এই বাংলা। তাই জিনিসগুলো গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার। দু-একটা পত্রিকায় দেখলাম বিপুল লোকসমাগম হয়েছে। না, কথাটা সত্য নয়। টাঙ্গাইল শহরে তো বোঝাই যায়নি যে সেদিন ভাসানী হুজুরের মৃত্যুর দিন। এত বড় একজন মানুষ তার মাজারে গিয়েও বোঝা যায়নি, যা কাপড়-চোপড় বা অন্য জিনিসপত্র বিক্রেতাদের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন হাজারের বেশি লোক ছিল না। সেখানে আমাদেরই ৪-৫’শ ছিল। জাতীয় পার্টিকে দেখলাম, ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ বলে ৭০-৮০ জনকে নিয়ে একটা দলকে মাজারে যেতে দেখেছি, একেবারে বেরিয়ে আসার পথে শতাধিক লোকের একটি মিছিল যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসকে দেখলাম। এরপর মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট থেকে টাঙ্গাইল শহর পর্যন্ত ১০ জনেরও একটা মিছিল দেখিনি। তাই আবেগ বিবেক অনুভূতি সব বন্ধ হয়ে গেছে। এসব ব্যাপারে আমি খুবই চিন্তিত। আমরা যদি অতীতকে ভুলে যাই, অতীতের ত্যাগী নেতাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও ভূমিকার মূল্যায়ন করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে অন্ধকার বিদূরিত করে আলোর পথের খোঁজ পাব কী করে?

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চরমভাবে শঙ্কা। আমরা মনেপ্রাণে চাই একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। নির্বাচন কমিশনের সেখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করা উচিত। কিন্তু দেখছি অনেক ক্ষেত্রে তারা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দলের জোটবদ্ধ হওয়ার জন্য সময় গত পরশু পার হয়ে গেছে অথচ মার্কা বরাদ্দের আগ পর্যন্ত জোটবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকার কথা। সব সময় দেখেছি মনোনয়নপত্র দাখিলের ৬-৭ দিন পর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার, পরদিন মার্কা প্রদান এবং সভা-সমাবেশ শুরু। এবার ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়তে গিয়ে নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় দিয়েছে ১৩-১৪ দিন, যাচাই-বাছাই ১৭-১৮ দিন, তারপর প্রতীক বরাদ্দ। এসব মোটেই যুক্তিসংগত নয়। তফসিল এবং নির্বাচন অন্তত আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া অতি সহজেই সম্ভব ছিল। কেউ কারও মতামত নেয় না, কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করে না। সবই কেমন যেন নিজে নিজেই মাদবর। আবার বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা নিরপেক্ষ ভোট চায়, যথার্থ ভোট চায়, তারা কোনো দলের পক্ষ নন, তারা দেশ এবং জনগণের পক্ষে। অথচ মাদবর সাহেবরা এমন দৌড়ঝাঁপ করছেন এ যেন তাদের নির্বাচন। এখনকার আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের ছোটাছুটি ছটফটানিতে মনে হয় তিনি যেন বিএনপি নেতা তারেক রহমানের কোনো ছোটখাটো কর্মী। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আলোচনায় বসে সবকিছু ঠিকঠাক করতে। বিশ্ব মোড়ল আমেরিকাই তো বাংলাদেশে ভেদনীতি শুরু করেছে। ওই তিন দলই তো বাংলাদেশ না, আরও অনেক দল আছে। ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। তাই তাদের সাবধান হওয়া উচিত। তা তারা হয়নি। আমরা আশা করি, এরকম কাজ আমেরিকা কেন, অন্য কোনো দেশেরই করা উচিত না।

মুসলমানের ঘরে জন্মালেই সে মুসলমান হয় না। মুসলমান হতে কোরআন হাদিস আল্লাহ রসুলে বিশ্বাস রাখতে হয়। ইসলামের যে সমস্ত বিধিবিধান অনুশাসন তা মেনে চলতে হয়। ইসরায়েল ফিলিস্তিনির ওপর, গাজার ওপর যে হত্যালীলা চালিয়েছে, চালাচ্ছে তাতে একজন মুসলমানেরও আমেরিকার সঙ্গে থাকার কথা না। সারা দুনিয়া ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর। ব্রিটেনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে সর্ববৃহৎ প্রতিবাদ হয়েছে। খোদ আমেরিকাতেও জো বাইডেনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ উঠেছে। সেখানে হাজার হাজার ইহুদি অংশ নিয়েছে, তারা ধ্বংস নয় শান্তি চায়। অথচ আমাদের দেশে বিএনপি এবং বিএনপি সমর্থিত লোকজন একটা টুঁশব্দও করেনি। কিছুদিন আগে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথার পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমান বলেছেন, প্যালেস্টাইন আমাদের ইস্যু না, গাজায় হত্যার প্রতিবাদ আমাদের ইস্যু না, পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের সমর্থন করছে। তাদের সমর্থন পেতে হলে এসব ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে কোনো কথা বলা উচিত হবে না।’ হায়রে কপাল! এই হচ্ছে জিয়াউর রহমানের ছেলে। যে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের নির্দেশ অমান্য করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমি চিন্তামুক্ত হতে পারছি না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আগামী দিনগুলো যাতে নির্বিঘ্ন হয়। প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের যে আকাশচুম্বী দাম মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে। কত বড় বড় উন্নয়নের কথা বাজারে গিয়ে কেউ মনে রাখতে পারছে না। আলু-পিঁয়াজ-মরিচ-তেল-আদা-রসুন, চা-চিনি, মাছ-মাংস কোনো কিছুই ছোঁয়া যায় না। সর্বোপরি ওষুধ নিয়ে ভেজাল এবং কালোবাজারির যে দৌরাত্ম্য এবং সকাল বিকাল ওষুধের দাম বাড়তে বাড়তে আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। দুস্থ মানুষ প্রায় মরণাপন্ন। এসব থেকে পরিত্রাণের জন্যই দেশের মালিকানা দেশের মানুষের ফিরে পাওয়া উচিত। আর তা করতে স্বচ্ছ সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের বিকল্প নেই। মানুষ ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারলে এবং তাদের ভোট মর্যাদা পেলে সাধারণ মানুষ মনে করবে দেশ পরিচালনায় তাদের ভূমিকা আছে। সংবিধানের নির্দেশমতো দেশের মালিক জনগণ। এ ভাবনা জনগণের মধ্যে একবার জাগ্রত হলে অর্ধেক সমস্যা আপনা-আপনি কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। বাকি অর্ধেক দূর করার জন্য আমাদের সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা
ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আজও কঠোর নিরাপত্তা

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

৯ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন
আশুলিয়ায় কাঁচামাল বোঝাই পিকআপে আগুন

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর
সিংড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সাহিত্য আসর

৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস

১৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ
সিলেটে ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ

১৪ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি
গেল ১০ মাসে রাজধানীতে ১৯৮ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে : ডিএমপি

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ
সুদানে গণহত্যা ও সহিংসতা অব্যাহত, জাতিসংঘের উদ্বেগ

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২৬ মিনিট আগে | অর্থনীতি

লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি
লি‌বিয়া থে‌কে দে‌শে ফি‌রলেন ১৭০ বাংলা‌দে‌শি

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

৩৭ মিনিট আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত
টঙ্গীতে ৬ গুদাম ভস্মীভূত

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

৫২ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো
ট্রাম্পের সঙ্গে ‌‘মুখোমুখি’ আলোচনায় প্রস্তুত ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার
বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে ইসির সংলাপ বুধবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়
ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর উপায়

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'
'রাশিয়ার ড্রোন হামলা মোকাবিলায় সক্ষম নয় ইউরোপ'

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রমশ কমবে
দেশের তাপমাত্রা আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রমশ কমবে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ
রাশিয়ার ড্রোন হামলা ঠেকানোর মতো সক্ষমতা ইউরোপের নেই : ইইউ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস
যেসব উপকার পেতে খাবেন আনারস

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ভাই গ্রেফতার
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিমের ভাই গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস
সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যেভাবে সামাজিক বাধা ভাঙছে ইরানের মেয়েরা
যেভাবে সামাজিক বাধা ভাঙছে ইরানের মেয়েরা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী
আমি আসলে খুব কষ্ট পাচ্ছি : শেখ হাসিনার আইনজীবী

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে সেজদায় লুটিয়ে পড়লেন ছাত্র-জনতা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর জনতার উল্লাস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার রায়ের খবর

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের অপরাধ প্রমাণিত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি
২৮ নেতাকে দলে ফেরাল বিএনপি

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা
পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিবকে গুলি করে হত্যা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
চুক্তি অনুসারে হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়া ভারতের দায়িত্ব : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা
বিবাহবার্ষিকীর দিনই মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেলেন শেখ হাসিনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা
সালমান-তামান্নার নাচকে ‘অস্বস্তিকর’ বলছেন নেটিজেনরা

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
যুবদল নেতাকে ‌‘১০ সেকেন্ডে হত্যা’ করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যা জানালো জামায়াত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
স্ত্রী-মেয়েসহ সাবেক মন্ত্রী নানকের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে থেকে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে ছাত্রনেতারা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত
গাজায় গণবিয়ে আয়োজন করছে আরব আমিরাত

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ
রাজসাক্ষী মামুনের ৫ বছরের সাজায় শহীদ পরিবারের অসন্তোষ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করল যারা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কবে আসছে এফ-৪৭?
কবে আসছে এফ-৪৭?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে টিএসসিতে মিষ্টি বিতরণ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!
সৌদিতে দুর্ঘটনায় ভারতের এক পরিবারেরই মারা গেছেন ১৮ জন!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে
তুলকালাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে

প্রথম পৃষ্ঠা

পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক
পথ দেখালেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড
নিজের গড়া ট্রাইব্যুনালেই হলো মৃত্যুদণ্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে

সম্পাদকীয়

আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক
আগুনসন্ত্রাসে ভাড়াটে লোক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক
ভয় নিয়েই আলু চাষে কৃষক

নগর জীবন

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই
আবেগ উত্তেজনা মর্যাদার লড়াই

মাঠে ময়দানে

সুলভ আবাসিক বড় কুবো
সুলভ আবাসিক বড় কুবো

পেছনের পৃষ্ঠা

পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
পল্লবীতে দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে সংশয় দলগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ
প্লাস্টিক বর্জ্যে ৫৭ খালের সর্বনাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে প্রাণহানি ১৮

পূর্ব-পশ্চিম

হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার
হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

আরেকটি বিজয়ের দিন
আরেকটি বিজয়ের দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি
ড্যানিশ কোম্পানির সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম
রাস্তা থেকে নিঃশেষ জ্বলন্ত সিগারেট তুলে নিয়ে সুখটান দিলাম

শোবিজ

প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প
প্লাস্টিক শিল্প : উদ্ভাবন ও নেতৃত্বের গল্প

শিল্প বাণিজ্য

৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি
৬৫ বছরের নায়কের সঙ্গে হর্ষালি

শোবিজ

হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান
হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

সহিংসতা হলেও বাড়বে না
সহিংসতা হলেও বাড়বে না

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি
মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার ফাঁসি

প্রথম পৃষ্ঠা

দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি
দ্রুত কার্যকর করতে হবে রায় : এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার
এবারের নির্বাচন দেশরক্ষার

প্রথম পৃষ্ঠা

শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ
শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে রাশিয়ান নৌবাহিনীর জাহাজ

নগর জীবন

হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান
হাসিনার রায়ের দিনে শেয়ারবাজারে উত্থান

নগর জীবন

৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়
৪০ বছর পরও যে হার কাঁদায়

মাঠে ময়দানে

উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা
উগান্ডাকে হারিয়ে বাংলাদেশের শুভসূচনা

মাঠে ময়দানে

টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প
টিভি নাটক হারাচ্ছে পারিবারিক গল্প

শোবিজ