আফ্রিকার বৃহৎ রাষ্ট্র ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সুদানের সমাজ ও রাজনীতি এখন পুড়ছে একটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের আগুনে। দেশটির পথেঘাটে নিহত মানুষের লাশের সারি তাবৎ দুনিয়ার জনগোষ্ঠীকে হতবিহ্বল করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গৃহযুদ্ধের এই তীব্রতা বৃদ্ধি ও এর ফলে আগ্রাসি বাহিনীর নির্বিচার রক্তপিপাসা বিবেকবান মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে তুলেছে। সুদানের সমাজব্যবস্থায় সহনশীলতা ও সমঝোতার অভাব দীর্ঘদিনের। দেশটি এর আগে বড় বড় দুটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিল। ১৯৫২ থেকে ১৯৭২ সাল, ১৯৮৩ থেকে ২০০৫ সাল এবং ২০২৩ সাল থেকে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের জাতিগত, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মতপার্থক্যের কারণে চলা গৃহযুদ্ধ দেশটির সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে অস্থির করে রেখেছে। প্রথম গৃহযুদ্ধটি সংঘটিত হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে। দ্বিতীয়টি দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার লড়াই হিসেবে শুরু হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভ করেছিল। আর বর্তমান গৃহযুদ্ধটি চলছে দেশের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যকার বিরোধের জের ধরে। এসব রক্তক্ষয়ী সংঘাতের ফলে সুদান পৃথিবীর মানচিত্রে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং গৃহযুদ্ধের বলি হয়েছে দেশের সাধারণ ও নিরীহ মানুষ। অতীতের দুটি গৃহযুদ্ধে প্রায় ২৫ লাখের মতো মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক। বাস্তুচ্যুত হয় কোটি কোটি হতভাগা জনগোষ্ঠী।
২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া বর্তমান গৃহযুদ্ধের ফলে এ পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। খাদ্যাভাব, দুর্ভিক্ষ ও সহিংসতার কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ মুহূর্তে সুদানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট চলছে। দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। উল্লেখ্য সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহর মিলিশিয়া বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) অনেক দিন অবরোধ করে রেখেছিল। সপ্তাহখানেক আগে তারা আল-ফাশের শহরে ঢুকে পড়ে এবং এরপর আরএসএফ যে গণহত্যা চালায় তা ছিল রীতিমতো ভয়ানক এবং বর্বরতার ইতিহাসে নিষ্ঠুরতম। একটি হাসপাতালে আক্রমণ করে এসব মিলিশিয়া এক দিনে সেখানকার রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনসহ ৫০০ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে। আল-ফাশের গণহত্যার চিত্র দেখে দুনিয়ার মানুষ হতবাক ও স্তব্ধ। রক্তপিপাসু আরএসএফ বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ এখনো চলছে।
সুদানে গৃহযুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দেশটিতে প্রধান গৃহযুদ্ধটি শুরু হয় ১৯৫৫ সালে। দীর্ঘদিন ধরে সুদানে উত্তর ও দক্ষিণের জনগণের মধ্যে জাতিগত ও ধর্মীয় বিভেদের কারণে বিভক্তির মধ্যে ছিল। উত্তর অংশ মূলত আরব ও মুসলিম, অন্যদিকে দক্ষিণের মানুষ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এবং ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসরণ করে। এই বিভেদ বহু বছরের সংঘাতের জন্ম দেয় এবং ১৯৫৫ সালের গৃহযুদ্ধের সূচনা করে, যার পরিসমাপ্তি ঘটে ১৯৭২ সালে। তখন দেশের সামরিক শাসক এক চুক্তিতে উপনীত হলে গৃহযুদ্ধের অবসান হয়। এই যুদ্ধে ১০ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়। গৃহযুদ্ধের অবসান হলেও দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এদিকে ১৯৮৩ সালে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার দাবিতে আবারও গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে কর্নেল উমর
আল-বশির একদল সামরিক কর্মকর্তার সমর্থন নিয়ে এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সুদানের শাসনক্ষমতা দখল করেন। আল-বশির রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেস পার্টির হয়ে অত্যন্ত শক্ত হাতে দেশ শাসনকার্য পরিচালনা করেন। কিন্তু তিনি দক্ষিণ সুদানের সঙ্গে যুদ্ধের কোনো কূলকিনারা করতে পারেননি। ফলে ২০০৫ সালে ওই অঞ্চলটির স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটে। এই ভয়ানক গৃহযুদ্ধে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়। এসব সংঘাত ও যুদ্ধের পরও সুদান স্থিতিশীল দেশ হিসেবে মাথা সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি।
উমর আল-বশির ১৯৯৬ সালে নিজেকে সুদানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি দেশে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। তখন থেকে আন্তর্জাতিক মহল সুদানকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। ফলে সুদান সরকার প্রায় একঘরে হয়ে পড়ে এবং বশির সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকলে তিনি ২০১০ ও ২০১৫ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করেন। তবে দুটি নির্বাচনে তিনিই জয়ী হয়ে ক্ষমতার শীর্ষ পদ ধরে রাখেন। এদিকে ২০১৫ সালে বিরোধীরা নির্বাচন বর্জন করলে গভীর অচলাবস্থার সৃষ্টি হয় এবং নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে ক্ষোভ ও বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। এদিকে দেশটিতে রুটির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০১৯ সালে উমর আল-বশির ক্ষমতাচ্যুত হন। ফলে তাঁর দীর্ঘ ৩০ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন যৌথভাবে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুবহান ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো। তখন তাঁরা দুজনই পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। এ সময় বেসামরিক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিলিত হয়ে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় একটি জোট সরকার গঠন করে। তারপর থেকে দেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যসংকটের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে সামরিক বাহিনী ও বেসরকারি নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফলে ২০২১ সালে দেশটিতে আবার সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুবহান সুদানের ক্ষমতা দখল করেন। এরপর থেকে সেনাপ্রধান ও ডি ফ্যাক্টো প্রেসিডেন্ট আল-বুরহান এবং আরএসএফ প্রধান হামদান দাগালোর মধ্যে শুরু হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং তা ধীরে ধীরে চরম আকার ধারণ করে।
সরকারের অংশ দুই জেনারেলের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্বের বিষয় ছিল আধাসামরিক বাহিনীর আরএসএফের শক্তিশালী এক লাখ সদস্যকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা এবং এটি করা হলে তাদের নেতৃত্ব কে দেবে সে বিষয়ে সুরাহা করা। এই দ্বন্দ্বে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না হলে, টানা কয়েক দিনের উত্তেজনার পর ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
পরিশেষে এ লড়াই গৃহযুদ্ধের মোড় নেয় এবং তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এই গৃহযুদ্ধই এখন তীব্র আকার ধারণ করেছে। আধাসামরিক আরএসএফ মিলিশিয়া বাহিনী দেশে চরম অরাজকতা ও হত্যাযজ্ঞের পথ বেছে নিয়েছে, যা অবসানের উপায় ও সময় কারও জানা নেই। বিশ্ব সম্প্রদায়ও এ ব্যাপারে আশ্চর্যজনক নীরবতা পালন করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এদিকে সুদানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েও চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। আরএসএফের তাণ্ডবে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার যখন দিনদিন কোণঠাসা হচ্ছে, তখন আরএসএফ দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আর সুদানের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এলাকাগুলোতেই আরএসএফ তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বর্তমানে বিরোধে লিপ্ত দুই জেনারেল উমর আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যুতির পর একসঙ্গে ক্ষমতার পাশে থাকলেও তারা কেনো আজ ভয়ানক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। আর কারাই বা সরকারবিরোধী জেনারেল হামদান দাগালেকে সাহায্য ও সমর্থন দিয়ে আসছে। বন্ধু দুই জেনারেলের বিরোধ শুরু হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে বেসামরিক সরকার গঠন প্রশ্নে মতানৈক্য এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। আরএসএফপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোকে বরাবরই সমর্থন জুগিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। দারফুর ও আল-ফাশের অঞ্চলে যে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চলছে তার পেছনে ইউএই বড় ভূমিকা পালন করছে বলে প্রামাণিক তথ্য রয়েছে। এর বড় কারণ হলো আরএসএফকে প্রচুর অর্থ ও অস্ত্রের জোগান দিয়ে ইউএই সুদানের আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব। এসব এলাকার খনি থেকে তোলা সোনার বেশির ভাগ অংশও ইউএই নিয়ে যাচ্ছে। ইউএই বহু দিন থেকেই আরএসএফের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইউএইর সহযোগিতা পেয়েই আরএসএফ সুদানের গৃহযুদ্ধকে আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘস্থায়ী করার শক্তি পাচ্ছে। এ ছাড়া পশ্চিম লিবিয়ার শক্তিশালী জেনারেল খলিফা হাফতারও আরএসএফকে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সুদান উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ যার রাজধানী খার্তুম। আফ্রিকার বৃহত্তম দেশ সুদানের আয়তন ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮ বর্গকিলোমিটার। কৃষি, তেল, খনিজ বিশেষ করে স্বর্ণে প্রাচুর্যে একটি দেশ সুদান। এটি আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম প্রধান স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ। অথচ দেশটি দশকের পর দশক ধরে ক্ষমতার হাতবদল, অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থান ও গৃহযুদ্ধে আজ বিপন্ন। সহিংসতা, দাঙ্গা, খুন, সংঘাতে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ-মহামারিতে ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে দেশটির ৩০ লাখের বেশি মানুষের। সুদানের বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। আরএসএফের ভয়ানক হামলায় প্রতিদিন প্রাণ যাচ্ছে শত শত মানুষের। ফলে মানুষের জীবননাশের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের দুঃখ ও দুর্দশার। আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সুদান মিশনের প্রধান ড্যানিয়েল ও’মালি বলেছেন, ‘এই সংঘাতে চরম মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।’ জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চরম নিষ্ক্রিয়তার কারণে সুদানে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে, তা আরও অচিরেই বৃহৎ আকার ধারণ করবে।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, এই অঞ্চলের বেসামরিক মানুষের জীবন নিয়ে ঝুঁকি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সূত্রের মতে, গৃহযুদ্ধের ফলে আল-ফাশার বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। তা ছাড়া সুদানের ৫ কোটি মানুষের প্রায় অর্ধেক ২ কোটি ৪৬ লাখ মানুষ চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে। সাম্প্রতিককালে সুদানের প্রচণ্ড হত্যাযজ্ঞের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও আরব লিগ এই সংঘাত বন্ধের জন্য উভয় পক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী দ্বন্দ্বের অবসানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে মিসর ও দক্ষিণ সুদান। জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস সুদানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন, বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোর ওপর নির্বিচারে আক্রমণ, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রত্যেক পক্ষকে শান্তি স্থাপনের জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। সুদানের এই ভয়াবহ মানবিক সংকটের সময় প্রয়োজন মুসলিম বিশ্বের অভিভাবক রাষ্ট্র সৌদি আরব, তুরস্ক ও কাতারের মতো রাষ্ট্রনায়কদের সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসার, যেন ভয়ানক গণহত্যার কবল থেকে সুদানের অসহায় মানুষকে বাঁচানো যায়। একই সঙ্গে সেখানকার ক্ষুধাপীড়িত ও আহত মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য তাদের ভূমিকাও পালন করা দরকার। জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও দেশগুলোকে শুধু বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সুদানের সংকট নিরসনে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।
লেখক : সাবেক ব্যাংকার