নির্বাচন নিয়ে শেষ পর্যন্ত অলিখিত জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছেছে সব দল। একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এমন দাবিই জানাচ্ছিল। অন্যদিকে জামায়াত ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদের আইনি বৈধতা দাবি করছিল। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কার্যত সব পক্ষের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে নিবন্ধিত কোনো দলের আপত্তি ছিল না, ভিন্নমত ছিল দুটি একসঙ্গে না আলাদাভাবে হবে, তা নিয়ে। জুলাই সনদ গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ায় তা ইতোমধ্যে আইনি বৈধতা পেয়েছে। গণভোটে অনুমোদন হলে তা সংবিধানের অংশ হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু জুলাই সনদের সিংহভাগ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে সেহেতু নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধেরও সমাপ্তি ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সরাসরি ভোটে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে এখন জনগণের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতি নির্বাচনি ট্রেনে উঠে গেছে। ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে আর কোনো সংশয় নেই। ইতোমধ্যে ঘোষিত বিএনপির ২৩৭ জন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনি মাঠে নেমে গেছেন। তাঁরা এখন স্ব-স্ব নির্বাচনি এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের অনিষ্পন্ন আসনগুলোর জটিলতা নিরসনসহ জোটের শরিক ও সমমনাদের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রক্রিয়াও শেষের পথে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও মাঠে আছে আগে থেকেই। নানা ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের চেষ্টা করলেও তারা নির্বাচনি প্রস্তুতির কাজ আগে থেকেই শুরু করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টিও বিভিন্ন এলাকায় তাদের মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে। আগামী নির্বাচন দেশে গণতান্ত্রিক শাসন পুনঃপ্রবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দেশের অর্থনীতিকে খাদের কিনার থেকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও গণতান্ত্রিক শাসন অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।