শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ আপডেট:

সাদা মানুষের কালো ধান্দা!

আবদুল মান্নান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
সাদা মানুষের কালো ধান্দা!

পশ্চিমের (ইউরোপ) সাদা মানুষের এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার শোষণ শাসনের ইতিহাস কম করে হলেও তিন শত বছর পুরনো। শুরুটা হয়েছিল অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের সময়। শিল্প বিপ্লব বিশ্বের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছিল। এই বিপ্লবের আগে বিশ্বে দুটি অর্থনৈতিক পরাশক্তি ছিল-ভারত (বাংলা-আসাম-বিহার-ওড়িশা) ও চীন। বলা হয় সেই সময় বিশ্বের গড় দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২৩ ভাগ উৎপাদন হতো ভারতে। প্রায় দুই শত বছর ব্রিটেন ভারতে শোষণ ও শাসন শেষে যখন ১৯৪৭ সালে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য হয় তখন জিডিপিতে ভারতের অবদান চার শতাংশে নেমে আসে। ব্রিটেন বা ইংল্যান্ডের পথ ধরে ইউরোপের অন্যান্য দেশ বিশ্বকে পরবর্তী তিন শত বছর শোষণ শাসন করেছে। বলা হয়, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ (এরা ইউরোপের) বাকি দুই-তৃতীয়াংশকে শোষণ শাসন করে ইউরোপে শহর নগর বন্দর গড়েছে। সপ্তদশ শতকে প্রথম সাদা চামড়ার ইংরেজ ও ফরাসিরা উত্তর আমেরিকায় বাণিজ্যের খোঁজে যাওয়া শুরু করে। উত্তর আমেরিকায়ও এই সাদা চামড়ার মানুষ এক শত বছর শোষণ শাসন করেছে। তাদের কাঁচামাল দিয়ে ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লবের যাত্রা শুরু হয়েছিল যা ভারত বা বাংলার সম্পদ লুণ্ঠনের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করে। ইউরোপের এই দেশগুলো আমাদের প্রজন্মকে শিখিয়েছে ‘আফ্রিকা একটি অন্ধকার মহাদেশ’, যদিও এই মহাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ। মরক্কো বা ইথোপিয়া বিশ্ব সভ্যতায় শিক্ষাসহ সভ্যতার যেসব উপকরণ জোগান দিয়েছে তা পশ্চিমা দুনিয়া এখনো কল্পনা করতে পারে না। বিশ্ব সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মিসরের কাছে ঋণ শোধ হওয়ার নয়।

এই সাদা চামড়ার ইউরোপীয়রাই তো বিশ্বকে উপহার দিয়েছে মানব পাচার, মাদকের ব্যবসা আর কৃতদাস প্রথা। শিখিয়েছে ফেরেববাজি আর চাতুর্যের মাধ্যমে অন্য দেশ দখলের কায়দা-কানুন। পরপর দুটি যুদ্ধ লাগিয়ে তারা বিশ্বে হাজার লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, নগর জনপদ ধ্বংস করেছে। কোনো কালো বা বাদামি মানুষের দেশ তো এসব করেনি। সাদা আর কালোর মধ্যে বৈষম্য এই সাদা মানুষের একটি অনন্য অবদান। যুক্তরাষ্ট্রে শিকারের জন্য যখন বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয় তাতে যে সব বস্তু শিকার করা যাবে সেই তালিকার শীর্ষে থাকত পালিয়ে যাওয়া কৃষ্ণাঙ্গ কৃতদাস যাদের ইউরোপের সাদা বা শ্বেতাঙ্গ দাস ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জ্ঞাতিভাইদের কাছে বিক্রি করতেন। এশিয়া আফ্রিকার সম্পদ লুণ্ঠন করে তা সহজে নিজ দেশে পাচার করার জন্য বাদামি ও কৃষ্ণাঙ্গদের দেশ দখল করে শ্বেতাঙ্গদের শোষণ আর লুণ্ঠনের তিন শত বছরের ইতিহাস এখন এক মহাকাব্য। লুটপাট করা সম্পদ নিজ দেশে সহজে পাচার করার জন্য ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি ফরাসিরা বানিয়েছিল সুয়েজ খাল আর বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে পানামা খাল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে প্রত্যাশিতভাবেই শুরু হয় ইউরোপীয় উপনিবেশগুলোর স্বাধীনতা লাভ। আফ্রিকাতে তা শুরু হতে একটু বেশি সময় লাগে। এক বেলজিয়ামই আফ্রিকার যত সম্পদ লুট করেছে আর মানুষ হত্যা করেছে সম্ভবত সব ইউরোপীয় দেশ মিলে তা করেনি। গত শতকের পঞ্চাশ দশকের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে অস্ত্র আর কুটচালের মাধ্যমে শুরু হয় নয়া ঔপনিবেশবাদ। সহজ পথে অন্যের সম্পদ লুট করে কীভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়া যায় তা যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইউরোপীয় ভায়রা ভাইদের দেখে আফসোস করেছে কেন তারা এই সহজ পথে ধনসম্পদের মালিক হতে পারেনি। যুদ্ধ শেষে তাদের সেই সুযোগ এসে গেল তবে তা অস্ত্রের মাধ্যমে তেমন একটা নয়। শোষণের জন্য তারা নতুন অস্ত্র হিসেবে বেছে নেয় ষড়যন্ত্র আর দেশে দেশে গণতন্ত্রের নামে তাঁবেদার সৃষ্টি করে। এই কাজে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। এ কাজকে আরও নিবিড়ভাবে দেখভাল করার জন্য পরে সৃষ্টি করা হয় আরও বিশেষ কিছু সংস্থা যাদের অন্যতম ‘এনইডি’। এদের লেবাসে লেখা থাকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও তাকে শক্তিশালী করার জন্য অকাতরে সহায়তা করাই তাদের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষ তাদের আসল মতলব কখনো বুঝতে পারে না। এসব তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমেই নানা সময়ে বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশে এই রকম বিদেশি সংস্থার অর্থায়নে চলে কম করে হলেও অর্ধডজন প্রতিষ্ঠান, আছে আরও সুশীল নামের কয়েক ডজন ব্যক্তি। আছে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আর ইউটিউবার। তারা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত গণতন্ত্র, মানবাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আর দুর্নীতি নিয়ে দেশের জনগণকে সবক দিয়ে থাকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নয়া ঔপনিবেশবাদ শুরু হয়েছিল ১৯৫৩ সালে ইরানের নির্বাচিত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ড. মোসাদ্দেককে উৎখাতের মধ্য দিয়ে। তার ‘অপরাধ’ যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের তেল কোম্পানিগুলোর ইরানের প্রাকৃতিক সম্পদ লাগামহীন লুটপাট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তিনি সব তেল আর গ্যাস ক্ষেত্র জাতীয়করণ করেছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু একই কাজ করেছিলেন তবে তাঁকে তাঁর নিজের জীবন দিয়ে এর মূল্য দিতে হয়েছিল। অবশ্য সেখানে অন্য কারণও ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের এই নয়া ঔপনিবেশবাদের শিকার হয়ে কত নগর বন্দর দেশ যে ধ্বংস হয়েছে, কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে তার সঠিক হিসাব বের করা দুরূহ। ধ্বংস হয়েছে ভিয়েতনাম, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, লেবাননের মতো সমৃদ্ধশালী দেশ ও জনপদ। বিরামহীনভাবে লুট হয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ইরান, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ। এই নয়া ঔপনিবেশিক শক্তির কথা মতো না চলার কারণে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এক ডজনেরও বেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান। নিহত হয়েছেন প্রায় সমান সংখ্যক রাষ্ট্রীয় নেতা। তাদের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তাদেরই তাঁবেদার কোনো সেনাশাসক বা একনায়ক। ইন্দোনেশিয়া, চিলি, নিকারাগুয়া, হাইতি, মিসর, বাংলাদেশ, সাইপ্রাস, পূর্ব তিমুর, পাকিস্তান, পানামা, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, লেবানন, ইরানসহ আরও অনেক দেশ এই তালিকাভুক্ত।

বাংলাদেশ কখনো এই নয়া ঔপনিবেশিক শক্তির দৃষ্টির বাইরে যায়নি যার অন্যতম কারণ তার ভৌগোলিক অবস্থান। এ অবস্থানগত কারণে শত শত বছর ধরে এই অঞ্চল আরব ও পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পূর্ব ভারতে তাদের প্রবেশ এই অঞ্চল দিয়ে। বাংলাদেশের সঙ্গে যখন আন্তর্জাতিক আদালতে ভারত আর মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা বিষয়টি সুরাহা হয়ে গেল তখন বাংলাদেশের প্রতি বিভিন্ন পরাশক্তি ও ভারতের আকর্ষণ আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। একেকটি পরাশক্তির একেক উদ্দেশ্য। ভারতের জন্য তাদের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর নিরাপত্তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ সব সময় তাদের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য নিরাপদ অস্ত্র চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যা এখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত। সব পরাশক্তি চায় দেশ-মহাদেশ ছাড়াও বিশ্বের সমুদ্র-মহাসমুদ্রে তাদের আধিপত্য বজায় থাকুক। তা করতে হলে প্রয়োজন এসব জলরাশির সীমানা ঘেঁষে যেসব দেশের অবস্থান তাদের ওপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা। বাংলাদেশের ঈর্ষণীয় ভৌগোলিক অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই সব পরাশক্তির কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র পুরো ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশেই তাদের সেনা ও নৌঘাঁটি নির্মাণ করেছে। বর্তমানে এমন ঘাঁটির সংখ্যা প্রায় ৮০টি যেখানে প্রায় চার লাখ মার্কিন সেনা সদস্য মোতায়েন আছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তাদের সব চেয়ে বড় প্রতিরক্ষা স্থাপনা জাপানে। সেই দেশে ওকিনাওয়া দ্বীপটি বস্তুত পক্ষে মার্কিনিদের দখলে।

এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিরঙ্কুশ করার জন্য ২০০৭ সালে তাদের উদ্যোগে গঠিত হয় চারদেশীয় নিরাপত্তা জোট ‘কোয়ড’। এতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আছে জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের অবস্থানগত কারণে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় প্রত্যাশা করেছে এই দেশ এই জোটে যোগ দিক। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বাংলাদেশের ওপর এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয় যা বাংলাদেশ এতদিন পর্যন্ত অত্যন্ত সফলভাবে প্রতিহত করতে পেরেছে। ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এ পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের আস্থা। এমন একটি জোটে যোগ দেওয়ার অর্থই হচ্ছে চীন বা রাশিয়ার মতো পরাশক্তির রোষানলে পড়া। অন্যদিকে কখনো যদি যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিয়ে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে তখন তো এই জোটের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকতে হবে যার অর্থ চীনের প্রতিপক্ষ হয়ে যাওয়া। চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ কেন এই ঝুঁকি নেবে? ২০২৩ সালে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের পরম মিত্র দেশ জাপান সফরে যাওয়ার আগে এই অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থানের রূপরেখা ঘোষণা করে বলেন, এটি হবে সবার জন্য উন্মুক্ত অঞ্চল, কারও একক আধিপত্য থাকা উচিত নয়। বলা বাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এই অবস্থানে খুব বেশি খুশি নয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র কখনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক বা থাকুক চায়নি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় না ফেরার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ গ্যাস রপ্তানি করতে চায়নি বলে শেখ হাসিনা শুরু থেকে বলে আসছেন যা আজ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র তেমন জোরালোভাবে প্রতিবাদ করেনি। শেখ হাসিনাকে বশে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে যেমনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর শাসনকালে। তাঁর সময় ছিল হেনরি কিসিঞ্জার আর এখন এই দায়িত্ব নিয়েছেন ডোনাল্ড লু, যার সরকার উৎখাতের দক্ষতার একটি খ্যাতি আছে বলে জানা যায়। গত বছর দুয়েকের তার কর্মকাণ্ডে মনে হয়েছে এমন একটি মিশন নিয়ে তিনি ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করছেন। ওপরে ওপরে সব ঠিক হয়ে গেছে দেখালেও যুক্তরাষ্ট্রের এসব কর্মকর্তাকে বিশ্বাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। গত ২৩ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪-দলীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেন, ‘একজন সাদা সাহেব বঙ্গোপসাগরে একটি বিমান ঘাঁটি করার সুযোগ দিতে অনুরোধ করেছিলেন এবং বলেছিলেন তারা আমার ক্ষমতায় থাকাকে মসৃণ করে দেবেন।’ শেখ হাসিনা স্পষ্ট ভাষায় না বললেও বুঝতে অসুবিধা নেই এই বিমান ঘাঁটির সম্ভাব্য স্থান সেন্টমার্টিন দ্বীপ যার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি স্বাধীনতার পর থেকে। সাদা মানুষটি কে তা প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার না করলেও তিনি কে তা বুঝতে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। এত সব চাপের মুখেও শেখ হাসিনা মাথা নত করেননি। তারপর শুরু হলো সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে নতুন খেলা।

২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে ২৪ জুন ২০২১ পর্যন্ত জেনারেল আজিজ সেনাপ্রধান ছিলেন। অনেকের প্রশ্ন তাকে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি কোনো বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল? তাকে দুর্বল করতেই কি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ শাখা এনইডির অর্থায়নে স্বেচ্ছানির্বাসিত তাসলিম খালিল ও ডেভিড বার্গমনের নির্মিত এক ঘণ্টার কল্পকাহিনি ‘অল দ্য প্রাইমমিনিস্টার্স ম্যান’ যা কাতার ভিত্তিক ‘আলজাজিরা’ টিভিতে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রদর্শিত হয়েছিল?

নির্মিত কল্পকাহিনির মূল বিষয় ছিল জেনারেল আজিজের ক্ষমতার ‘অপব্যবহার ও দুর্নীতি’। আলজাজিরা এই কল্পকাহিনির প্রচারিত হওয়ার কিছু আগে ২৯ জানুয়ারি ১৫ দিনের সফরে জেনারেল আজিজ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আমন্ত্রণে সে দেশ সফর করেন। এই সময় জেনারেল আজিজ জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সদস্যদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। জেনারেল আজিজ যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে কি তিনি সেই দেশের কোনো প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে ১ তারিখ আলজাজিরা সেই কল্পকাহিনি প্রচার করে তাকে দুর্বল করতে চেয়েছিল? কোনো কিছুই খাটো করে দেখা উচিত নয়। এই যুক্তরাষ্ট্রের হাতেই তো ইন্দোনেশিয়ার জেনারেল সুহার্তো, চিলির জেনারেল পিনোসে, পাকিস্তানের জেনারেল আইউব খান, মিসরের জেনারেল সিসি আর বাংলাদেশের জেনারেল জিয়া তৈরি হয়েছিল। এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন একমাত্র জেনারেল আজিজ। জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের ওপর গত ২০ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আলজাজিরা টিভিতে জেনারেল আজিজের যে সব ‘অপরাধ’ বর্ণনা করা হয়েছিল ঠিক একই ‘অপরাধে’ জেনারেল আজিজ ও তার পরিবারের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা।

সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলবে। শেখ হাসিনাকে চাপ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চীন ও রাশিয়া থেকে দূরে রাখতে চায়। বর্তমানে বেশ কিছু বাণিজ্য স্বার্থ এর সঙ্গে জড়িত হয়েছে তার একটি যুক্তরাষ্ট্র হতে বিমান বাংলাদেশের জন্য বোয়িং ক্রয়। বাংলাদেশ ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস ক্রয়ের আগ্রহ দেখিয়েছে তবে তা চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন ও ভারতের বেশ কিছু তেল উত্তোলনকারী কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তেমন সুখকর নয়। এরই মধ্যে যে সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ‘এনইডি’র মতো প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে চলে তারা পরিষ্কার করে ঘোষণা করেছেন, ‘আরও আজিজ আসছে’। তাদের অবিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তবে দেশের মানুষ এখনো শেখ হাসিনার সাহস ও দৃঢ়তার ওপর আস্থা রাখে। তবে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ তার নিজস্ব স্বার্থে তা তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে তারও শাস্তি হওয়া উচিত। কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে থাকা উচিত নয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের মানুষ তার বাস্তবায়ন দেখতে চায়। প্রধানমন্ত্রীর ‘সাদা’ মানুষটি নিয়ে দেশের মানুষের কৌতূহল আছে। সত্য প্রকাশিত হোক।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

এই বিভাগের আরও খবর
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
ভাঁড়ারে টান, সঞ্চয়ে হাত
উত্তাল রাজনীতি
উত্তাল রাজনীতি
খেলনাও শিক্ষক
খেলনাও শিক্ষক
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
উম্মতে মোহাম্মদীর চারিত্রিক মাধুর্য
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
বর্জ্য থেকেই শক্তি ও সম্পদ
সর্বশেষ খবর
আল-নাসরকে দারুণ জয় এনে দিলেন রোনালদো
আল-নাসরকে দারুণ জয় এনে দিলেন রোনালদো

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

জাপানে ভালুকের আক্রমণ ঠেকাতে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী
জাপানে ভালুকের আক্রমণ ঠেকাতে মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

২৩ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!
চীনের চমক, মানুষের সঙ্গে মহাকাশে চার ইঁদুর!

১ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৬ষ্ঠ দিনের শুনানি চলছে

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

টানা বৃষ্টির সতর্কবার্তা, নভেম্বরে এই বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা ক্ষতির?
টানা বৃষ্টির সতর্কবার্তা, নভেম্বরে এই বৃষ্টি ফসলের জন্য কতটা ক্ষতির?

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

নিলামে উঠছে সবচেয়ে দামি টয়লেট ‘আমেরিকা’
নিলামে উঠছে সবচেয়ে দামি টয়লেট ‘আমেরিকা’

২০ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
নাইজেরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি
মেসির গোলের পরও জিততে পারল না মায়ামি

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মদিনা সনদের পূর্ণ বিবরণ
মদিনা সনদের পূর্ণ বিবরণ

৩৬ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

এমবাপের জোড়া গোলে রিয়ালের বড় জয়
এমবাপের জোড়া গোলে রিয়ালের বড় জয়

৪১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি

৪৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

ইরানে সশস্ত্র হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত
ইরানে সশস্ত্র হামলা, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনার চতুর্থ দফা আয়োজনে প্রস্তুত তুরস্ক’
‘ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনার চতুর্থ দফা আয়োজনে প্রস্তুত তুরস্ক’

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এনবিআর
কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এনবিআর

৫২ মিনিট আগে | অর্থনীতি

তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ লাখ শরণার্থী
তুরস্ক থেকে সিরিয়ায় ফিরেছেন সাড়ে পাঁচ লাখ শরণার্থী

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত দুজন
মোহাম্মদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আহত দুজন

৫৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা
কর ফাঁকিতেও চ্যাম্পিয়ন সেই ডাক্তাররা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও’র বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের জালিয়াতির অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ৯
যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা
শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দুর্নীতি রুখতে সংস্কার হচ্ছে জমির লিজ প্রথা
দুর্নীতি রুখতে সংস্কার হচ্ছে জমির লিজ প্রথা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্রিসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
গ্রিসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাপানের দৃষ্টিনন্দন টোকিও কামি মসজিদ
জাপানের দৃষ্টিনন্দন টোকিও কামি মসজিদ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত সাহাবি
বিনা হিসাবে জান্নাতের প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত সাহাবি

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কোরআনের দৃষ্টিতে চার শ্রেণির সফল মানুষ
কোরআনের দৃষ্টিতে চার শ্রেণির সফল মানুষ

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?
দুপুরে খাওয়ার পরপর চা পান কতটা ক্ষতিকর?

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মেঘনায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ল লঞ্চ
মেঘনায় ২০০ যাত্রী নিয়ে ডুবোচরে আটকা পড়ল লঞ্চ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল
কেন বাংলাদেশ-নেপাল- শ্রীলঙ্কায় সরকার পতন, যা বললেন অজিত দোভাল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অর্ধকোটি মোবাইল সিম

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি
ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো
মার্কিন আগ্রাসন ঠেকাতে রাশিয়া–চীন–ইরানের দ্বারে মাদুরো

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা
সুদানে তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হত্যা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ
পুতিন আনলেন নতুন পারমাণবিক টর্পেডো ‘পসাইডন’, আতঙ্কে ইউরোপ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ
ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, শীর্ষ ইসরায়েলি জেনারেলের পদত্যাগ

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল
দক্ষ কর্মীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে পর্তুগাল

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’
‘জামায়াতকে বাদ দিয়ে হলেও সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে যাবে’

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন
নির্বাচনের আগে ইসলামকে রাজনৈতিক ফায়দা লাভে ব্যবহারের চেষ্টা : সালাহউদ্দিন

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান
৯৮ শতাংশ ভোটে তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির
গণভোট ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হবে অর্থহীন: জামায়াত আমির

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া
ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ নিয়ে যা বলল চীন-রাশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা
দ্বার খুললেও সেন্টমার্টিন যায়নি পর্যটকবাহী জাহাজ, হতাশ পর্যটকরা

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ আগামীকাল
প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ আগামীকাল

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল
বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে দেশ : আলাল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক
সিলেটে বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মী আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি
ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন
মিডিয়া ও তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে বিএনপির ৭ টিম গঠন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার
মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য ভিডিও প্রচার

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স
পদ্মাপাড়ে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেল বাপেক্স

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক
৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে : মামুনুল হক

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলার পাশে রাশিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!
২০০৭ সালের পর জন্ম নিলে সারাজীবন ধূমপান নিষেধ!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্বর্ণের দাম বেড়েছে
স্বর্ণের দাম বেড়েছে

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!
পকেটমার-চুরির অভ্যাস কোনভাবেই ছাড়তে পারলেন না এই অভিনেত্রী!

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর
কোহলির রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে বাবর

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ারের তৃতীয় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
কুয়ালালামপুরের টুইন টাওয়ারের তৃতীয় ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী
আগে নির্বাচন চায় দেশবাসী

প্রথম পৃষ্ঠা

ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির
ড. আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন
এবার সংস্কার বাস্তবায়নে কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব
নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ক্রিকেটবিশ্ব

মাঠে ময়দানে

শোবিজ কাঁপানো প্রেম
শোবিজ কাঁপানো প্রেম

শোবিজ

বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক
বিপজ্জনক বগুড়ার মহাসড়ক

নগর জীবন

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা
আসছেন জাকির নায়েক, ভারতের সতর্কবার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ
আড়াই শ বছরের কাঠগোলাপ গাছ

পেছনের পৃষ্ঠা

পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস
পাহাড়ি মেলায় মানুষের উচ্ছ্বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই
গণভোট ছাড়া নির্বাচনের দুই পয়সার মূল্য নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে সরব বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের
৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংকের

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!
চট্টগ্রামে সাজ্জাদ হত্যার নেপথ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ!

নগর জীবন

নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা
নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ
আলালের বক্তব্য জামায়াতের প্রতিবাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি
মওদুদী নয়, মদিনার ইসলাম চর্চা করি

প্রথম পৃষ্ঠা

গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর
গাছের ওপর ১২ ফুট লম্বা অজগর

খবর

দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে
দুই দলের বোঝাপড়ার কথা শোনা যাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের
দলের কাছে নতি স্বীকার উপদেষ্টাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়
এ বয়সে চাকরি পামু কোথায়

পেছনের পৃষ্ঠা

বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম
বই পড়ায় ১০২ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৯৭তম

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়
ব্যয় বেড়েছে ব্যবসায়

পেছনের পৃষ্ঠা

দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে
দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা নরসিংদীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!
দ্বার খুললেও জাহাজ নেই!

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে
নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে ভাগাভাগি করে

পেছনের পৃষ্ঠা

বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর
বৃষ্টিতে ভোগান্তি নগরবাসীর

পেছনের পৃষ্ঠা

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৭০ হাজার ছাড়াল

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান
নির্বাচনই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাধান

পেছনের পৃষ্ঠা

চা বাগানে গলা কাটা তরুণী উদ্ধার
চা বাগানে গলা কাটা তরুণী উদ্ধার

পেছনের পৃষ্ঠা