গত শতকের নব্বই সালে, সেনাশাসক এরশাদ সরকার পতনের আন্দোলনে দৃশ্যত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা প্রথম রাজনৈতিক মঞ্চে ওঠেন। জ্যেষ্ঠ আমলাদের কেউ কেউ জনতার মঞ্চে উঠে আন্দোলনে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সরকারি চাকরিবিধির প্রকট লঙ্ঘন তখন থেকেই। তাঁরা পরে পুরস্কৃতও হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্ষমতাসীনদের লেজুড়বৃত্তি প্রশাসনে নিয়মিত চর্চায় পরিণত হয়। আমলাতন্ত্রে দলীয় বিভাজন স্পষ্ট হয়। পছন্দের পদায়ন, পদোন্নতি ইত্যাদি সুবিধা আদায়ে তৎপর হন সরকারি কর্মচারীরা। স্বভাবতই সরকারও তাঁদের দিয়ে দলীয় স্বার্থ হাসিলে যা প্রয়োজন, তা করিয়ে নেয় যথেচ্ছভাবে। এমনকি সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে ন্যায়-অন্যায় সবটাই করতে হয় প্রশাসনকে। দেড় দশকের স্বৈরশাসনে এটা চরম পর্যায়ে পৌঁছে। রাতের ভোট, ডামি ভোট- সবই বাস্তবায়ন করতে হয়েছে প্রশাসনকে। দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের সীমা ছাড়িয়ে গেলে অবধারিত পতন থাকে নিয়তির অমোঘ লিখন। সেটাই জুটেছে স্বৈরাচার ও তার দোসরদের ভাগ্যে। এখন পর্যায়ক্রমে ফলভোগ করছেন প্রজাতন্ত্রের সেসব কর্মকর্তা, যাঁরা তাঁদের কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। অথবা অতি উৎসাহী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীর মতো ভূমিকা পালন করেছেন। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য পুরস্কার বা তিরস্কার তাঁরা পাবেন। তাই বলে অন্যরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সমস্যা হচ্ছে, প্রশাসনে এখনো হযবরল অবস্থাই চলছে। স্বস্তিতে নেই কর্মকর্তারা। মাঠপর্যায়ে নানামুখী চাপ-তদবিরে তাঁরা অতিষ্ঠ। কারণ সমাজে একটা সুবিধাভোগী শ্রেণি গড়ে উঠেছে, যারা অবস্থা বুঝে রং ও খোলস পাল্টে সুবিধাভোগের মঞ্চে আবির্ভূত হয়। এদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করাই প্রশাসনের কর্তব্য। অন্যায় আবদার, চাপ, তদবির প্রশাসনিক ও নৈতিক দৃঢ়তা দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। সেটাই তাদের কর্তব্য। সততা, নিষ্ঠা থেকে বিচ্যুৎ হয়ে কোনো কাজ করলে তার ফল সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদেরই ভোগ করতে হবে। জুলাই গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে, জনপ্রশাসনে সুশাসন প্রত্যাশিত। জনগণের সেবা ও স্বার্থরক্ষা তাদের পেশাগত বাধ্যতা। দল বা ব্যক্তির খপ্পরে না পড়ে, ন্যায়নীতির পথে হেঁটে, সঠিক দায়িত্বটি পালনের কোনো বিকল্প নেই।
শিরোনাম
- পুঁজিবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে
- গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ২৯
- দেশের রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার
- মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
- ছাত্রলীগের নির্যাতনের সহযোগী শিক্ষক-কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
- প্রিপেইড গ্যাস মিটার নিয়ে প্রতারণা এড়াতে তিতাসের সতর্কবার্তা
- শিল্পীদের মেধাসম্পদ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার : শিল্প উপদেষ্টা
- সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
- রাজধানীর উত্তরায় ঢাবির বাসে হামলা, গ্রেফতার ৫
- প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
- এক ঠিকানায় মিলবে সব ‘নাগরিক সেবা’
- এনসিপি কোনো নির্বাচনি জোটে যাবে না : নাহিদ
- দেশে শ্রমিক সমাজ সবচেয়ে অবহেলিত : রিজভী
- কালকিনিতে হাতকড়াসহ পালানো আসামি গ্রেপ্তার
- চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ‘ইয়্যামেজিং’
- ১৪ পুলিশ সুপারকে বদলি
- শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন তিন চিকিৎসক
- ‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
চাপের মুখে প্রশাসন
নৈতিক দৃঢ়তায় প্রতিহত করুন
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর