প্রবাসী শ্রমিকরা জাতীয় অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ বেগবানকারী জনশক্তি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা শ্রেণি-পেশার কাজে শ্রম দিয়ে তারা দেশে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। যাকে গালভরা নামে রেমিট্যান্স বলা হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ এই রেমিট্যান্স। বাংলাদেশে বিশাল টেক্সটাইল শিল্পের পরে এটা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক আয়ের উৎস। বিশ্বব্যাংকের মতে, অভিবাসন ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে। প্রবাসীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে, শ্রমে-ঘামে অর্জিত অর্থে দেশে তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরছে। পরিবার-পরিজনদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছে। আর এই অর্থপ্রবাহ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে পুষ্টি জোগাচ্ছে। অথচ রেমিট্যান্সযোদ্ধারা কোথাও ভালো নেই। ওয়ার্ক পারমিট চুক্তিতে দ্বীপরাষ্ট্র ফিজির একটি সুপার শপে কাজ দেওয়ার আশ্বাসে ২৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের সঙ্গে নিয়োগকারী কোম্পানি প্রতারণা করেছে। কাজ না দিয়ে উল্টো এসব শ্রমিককে একটা ঘরে বদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আবাসন, অর্থ ও খাবারের সংকটে তারা মহাদুর্বিষহ সময় পার করছেন। এদের যারা প্রতারণা করল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে তা জাতির জানা উচিত। এদিকে গ্রিসে অবস্থানরত প্রায় ১৫ হাজার অবৈধ প্রবাসীর মধ্যে ১০ হাজার বাংলাদেশি সম্প্রতি বৈধতা লাভ করলেও তাদের ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। বৈধতার মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়ায় এদের অনেকেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। ২০২২-এ দুদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির সুবাদে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি অস্থায়ীভাবে থাকা, কাজ করা এবং টাকা পাঠানোর বৈধতা পেয়েছেন। তবে এই বৈধতা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য হওয়ায় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকে শঙ্কিত। কারণ দীর্ঘদিন তারা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে অনেক কায়ক্লেশে, লুকিয়ে বা কখনো পুলিশি হয়রানির ও নানা বঞ্চনার শিকার হয়ে অদক্ষ শ্রমিক থেকে কোনো না কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন। এখন পাঁচ বছর পরই যদি দেশে ফিরে যেতে হয়- তাদের আর্থিক বিনিয়োগ, অমানবিক অনিশ্চিত জীবনযাপনের গ্লানি অনেকটাই অর্থহীন হয়ে যাবে। প্রায় খালি হাতেই ফিরতে হবে। এখানে যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন, দেশে হয়তো সে কাজের ক্ষেত্রই নেই। আবার যেখান থেকে তারা ফিরে যাবেন, সেখানেও শূন্যতা সৃষ্টি হবে। যা রাতারাতি পূরণ হওয়ার নয়। সেখানেও একটা হঠাৎ শূন্যতার ধাক্কা লাগাও স্বাভাবিক। এমন একটা প্রেক্ষাপটে, গ্রিসের উচিত বিষয়টি নিয়ে আরও সহৃদয় বিবেচনা। আর বিষয়টির যৌক্তিক মানবিক সুরাহা করার জন্য সে দেশে বাংলাদেশ মিশনে নিয়োজিত কর্তাদের অবিলম্বে জোরদার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব।
শিরোনাম
- ব্লকেড সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান নাহিদের
- শ্রীবরদীতে বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ
- ইরান আরও কঠোর জবাব দিতে প্রস্তুত, আয়াতুল্লাহ খামেনির হুঁশিয়ারি
- বগুড়ায় কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ
- চীনের সমর্থনের প্রশংসা করল ইরান
- তিস্তায় ১২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে : পরিবেশ উপদেষ্টা
- ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার সেনা সদর দফতরে বিস্ফোরণ
- পলাতক ৮ আসামিকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
- দুঃখ লাগে, মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা লক্ষ্যণীয় : হাফিজ উদ্দিন
- সীমান্ত হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে বিচার চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ‘পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখে নতুন বাংলাদেশে রাজনীতি করা উচিত’
- সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা
- আওয়ামী দোসররা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : ফখরুল
- বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
- বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান
- সারা দেশে বিশেষ অভিযানে আরও ১৬৬৫ জন গ্রেফতার
- সিংড়ায় খাঁচাবন্দি ৮ টিয়া উদ্ধার করে অবমুক্ত
- নির্বাচন পিছিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র চলছে : ফারুক
- ওয়েবসাইটে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক যোগ করলো ইসি
- পঞ্চগড়ে ‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সংকটে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা
জোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর