বৃহস্পতিবার, ২০ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

ফরমায়েশি নাটক নিয়ে হতাশ

ফরমায়েশি নাটক নিয়ে হতাশ

থিয়েটার, টিভি নাটক আর চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় নাম শহীদুজ্জামান সেলিম। টিভি মিডিয়ায় আশির দশক থেকে বর্তমানের সেতুবন্ধনে যার রয়েছে অসামান্য ভূমিকা। এখনো একচেটিয়া অভিনয় করে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র ও ছোট পর্দায়। এই ব্যস্ত অভিনেতার সঙ্গে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? আজ শুটিং রয়েছে কি?

জি ভালো আছি। আজ শুটিং করছি না। ‘আদম’ নামে একটি চলচ্চিত্র করার কথা ছিল। গত দুই দিন ডেটও নিয়ে রেখেছিল, কিন্তু পারমিশন জটিলতায় শুটিং পিছিয়ে গেছে। 

 

আরেকটি ছবিতেও তো কাজ করছেন...

হ্যাঁ করছি। নাম ‘আনন্দ অশ্রু’। এটিতে খলচরিত্রে অভিনয় করেছি। নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক; সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুদীপ্ত সাঈদ খান। নায়ক-নায়িকা হিসেবে রয়েছে সাইমন ও মাহী।

 

অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কি?

শিল্পীরা যেন সবাই ভোট দিতে আসেন। যেন যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বতঃস্ফূর্ত হয়। অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। তবে যারা ভোটার হয়েছেন তারা যেন তাদের ভোটটি যোগ্য প্রার্থীকে দেন।

 

আপনার নির্বাচনী ইশতেহার কি?

উল্লেখ করে বলতে গেলে, আমাদের শিল্পীদের পেশার মর্যাদাকে সমুন্নত রাখা; তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানকে  জোরদার করা। শিল্পীরা যে পেশাজীবী, তা রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করা ও অসুস্থ শিল্পীদের চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা। অভিনয়শিল্পীদের কাজের সুষম বণ্টন ও তাদের সঠিক পারিশ্রমিক নিশ্চিত ও কাজের সময় নির্দিষ্ট করা। চ্যানেল-প্রযোজকদের সঙ্গে বসে শিল্পীদের কাজের সমবণ্টন ও বিভিন্ন টেলিভিশন ও  প্রেস মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসে নাটকের মানোন্নয়নে জনমত তৈরিতে আলোচনা করতে হবে। এছাড়াও অভিনয় মান্নোয়নে শিল্পীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করা ও আন্তঃসাংগঠনিক সম্পর্ক উন্নয়নকে জোরদার করা। 

 

সাংবাদিক-শিল্পীর কেমন সম্পর্ক থাকা দরকার?

শিল্পী তৈরির পেছনে সাংবাদিকদের পৃষ্ঠপোষকতা বা সাপোর্ট খুবই দরকার। যা আগেও দরকার ছিল, এখনো। আগে শিল্পীর সঙ্গে সাংবাদিকের এমন সম্পর্ক ছিল যে, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বাড়ি চিনতেন, নিমন্ত্রণ করতেন, একসঙ্গে আড্ডা দিতেন, বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করতেন। আধুনিকতার রহস্যময় মোড়কে এখন শিল্পী ও সাংবাদিকরা যেন মুখ লুকিয়ে আছি। এখন শিল্পীর সঙ্গে সাংবাদিকদের যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে পড়েছে ফোন ও সামাজিক মাধ্যম। এসবের কারণেই দুই জগতের মানুষের সঙ্গে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পী-সাংবাদিক হতে হবে একে অন্যের পরিপূরক। আর সম্পর্ক হতে হবে অম্ল-মধুর। শুধু গুণকির্তন করলেই হবে না, খারাপ কিছু করলে তা সেভাবেই লিখতে হবে। দুজনের মধ্যে সম্পর্কটা হবে খুবই আন্তরিক।

 

শিল্পী বলতে আপনি কি বোঝেন?

যে শিল্পীকে আমার মা চিনবে, সে আমার কাছেও শিল্পী।

 

ঈদে তো প্রায় চারশর মতো নাটক নির্মিত হয়েছে। কয়টি নাটক দেখেছেন? আর বর্তমানে দেশের নাটকের অবস্থা কেমন বলে মনে হয়?

দুই-একটি নাটক দেখেছি। তেমন করে বলার মতো কিছু নেই; প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সিনেমার মতো ইদানীং নাটকও হয়ে যাচ্ছে নায়ক-নায়িকা, লুতুপুতু প্রেম আর গালিগালাজনির্ভর। রীতিমতো বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে।

 

হুমায়ুন ফরীদির শূন্যতাকে অনুভব করেন কী?

তাকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তাকে চূড়ান্তভাবে মিস করি। হি ইজ মাই সেকেন্ড গড। বিশ্বাস করবেন না, তার মোবাইল নাম্বারটি ফোন থেকে এখনো ডিলিট করতে পারিনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর