মিডিয়া জগতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজের খরা চলছে। এর ওপর আবার করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনের কবলে পড়ে গত মার্চ থেকেই অচল হয়ে আছে মিডিয়াপাড়া। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই ব্যাপার। তবে কাজ না থাকলেও নানা অকাজে বারবার শিরোনাম হচ্ছেন মিডিয়ার মানুষরা। এতে করে মিডিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের বিরূপ ধারণা বেড়েই চলছে। এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন-- আলাউদ্দীন মাজিদ ও আলী আফতাব
পরীর বিয়ে ভাঙার গুঞ্জন
উচ্ছ্বসিত হয়ে নিজেই নিজের বিয়ের ঘোষণা দেওয়ার প্রায় ৬ মাসের মধ্যে পরীমণির সেই বিয়ে ভাঙার খবর এখন মিডিয়াপাড়ায় চাউর হয়েছে। পরী গত মার্চ মাসে বলেছিলেন, ‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি। কিউট না? আমাদের বিয়ের দেনমোহর তিন টাকা’। নির্মাতা কামরুজ্জামান রনির সঙ্গে বিয়ের পর পাঁচ মাস কেটে গেলেও পরীমণির স্বামী বা সংসারের কোনো খবর নেই। স্বামী ও সংসার নিয়ে কিছু জানতে চাইলেও এড়িয়ে যান পরী। তবে কি তিন টাকা দেনমোহরের সেই বিয়ে ভেঙেই গেল? পরীমণি বা দাম্পত্যজীবন নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি কামরুজ্জামান রনিও। বিয়ে ভেঙে গেছে কি না, জানতে চাইলেও তারা মুখ খোলেননি। পরীমণির কিছু ঘনিষ্ঠজনের কথায় ‘পরী আসলে হুজুগে বিয়েটা করেছেন। বিয়ের পর কয়েক দিন তাকে স্বামীর সঙ্গে দেখা গেছে। তারপর আর কোনো খবর নেই। এতে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে সবার মধ্যে। চলচ্চিত্রের লোকজন বলছেন, তিন টাকার বিয়েও কি তবে টিকল না।’ গত ৯ মার্চ দিবাগত রাতে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজী ডেকে বিয়ে করেন পরীমণি ও পরিচালক কামরুজ্জামান রনি। সবাই বলছেন, এখন দেখার বিষয় পরী-রনির বিয়ে ভাঙনের খবর কি শুধুই গুজব, নাকি সত্যি। কারণ অতীতে এক সাংবাদিকের সঙ্গে পরীর বাগদান হলেও অল্প সময়ে তা ভেঙে যায়। সবার প্রশ্ন এবারও কি তাই হলো, কারণ নাকি ‘যা কিছু রটে তার কিছু বটে।’
শাকিব-সেলিম দ্বন্দ্ব
দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন অভিনেতা শাকিব খান ও চলচ্চিত্র প্রযোজক সেলিম খান। গত ১ আগস্ট একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়া এক প্রতিবেদনে শাকিবকে নিয়ে ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য তুলে ধরা হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদলিপিও দিয়েছেন শাকিব খান তার ভেরিফাইড পেজে। টিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনেমাসংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর শাপলা মিডিয়ার মালিক সেলিম খানের সহযোগিতায় শাকিব সিনেমায় ফিরে আসেন। কিন্তু এক পর্যায়ে সেলিম খানের সিনেমার শিডিউল ফাঁসিয়ে দেন শাকিব। এ ছাড়া সিনেমার কাজে খামখেয়ালি করে আর্থিক ক্ষতিও করেছেন বলে অভিযোগ করেন সেলিম খান। তবে এসব তথ্য ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শাকিব খান। শাকিব বলেছেন, সেলিম খান আমার কয়েকজন কাছের মানুষের মাধ্যমে আমার কাছে এসেছেন এবং সিনেমা করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছেন। আর সেজন্যই তার সিনেমায় কাজ করেছি। আমি শিডিউল ফাঁসাইনি। বরং তিনিই আমার থেকে নেওয়া শিডিউলে কাজ সম্পন্ন করেননি। যার কারণে আমি অন্য সিনেমার কাজে ব্যস্ত হয়েছি। তাছাড়া চ্যানেলটির ওই প্রতিবেদনে শাকিব খানের মোবাইল নম্বর প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েও শাকিব চিঠি দেন টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে।
মিশা-জায়েদ বয়কট
সংগঠনের নিয়ম অমান্য এবং চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীদের উসকানি দেওয়াসহ নানা অভিযোগে গত মাসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে চলচ্চিত্রের ১৭ সংগঠন। ১৭ সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে মিশা-জায়েদকে ‘বয়কট’ ঘোষণা করে। জায়েদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘জায়েদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। আমরা যাচাই-বাছাই করেছি। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের মিটিংয়ে আসেননি। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির নীতিমালার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলচ্চিত্রের মানুষদের হয়রানি, শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, চলচ্চিত্র উৎসবের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৭ সংগঠন। এমনকি প্রযোজক সমিতির সদস্য হয়েও সংগঠনের ‘স্বার্থবিরোধী’ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারণে জায়েদ খানকে দুবার কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেই চিঠির কোনো উত্তর দেননি। তাই সবাই মিলে তাকে অবাঞ্ছিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো’। এর পরই শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার ও বয়কটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানো হয়। শিল্পী সমিতির সংবাদ সম্মেলনের দিন আবার সমিতির সদস্যপদ হারানো কিছু শিল্পী মিশা-জায়েদের পদত্যাগ চেয়ে এফডিসির সামনে মানববন্ধন করে। তবে চলচ্চিত্রকারদের কথায় এই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ মানুষই ছিল বহিরাগত। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, সদস্যপদ হারানো পাটোয়ারী নামের এক শিল্পী জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে জায়েদ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। অন্যদিকে মিশা সওদাগর বিষয়টির সুন্দর সমাধানের জন্য প্রযোজক সমিতির কাছে অনুরোধ জানান।
শখের গোপন বিয়ে
গোপনে বিয়ে করেছেন আনিকা কবির শখ- এমন খবর অনেক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। তবে ঘটনার সত্যতা মিলেছে এবার। শখের স্বামী রহমান জনের বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার বলিয়াদি গ্রামে। এক সময় টুকটাক মডেলিং করেছেন, এখন তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। চলতি বছর ১২ মে ঘরোয়াভাবে শখ ও জনের বিয়ে হয়। দুজনই সংসার পেতেছেন উত্তরার একটি বাসায়। এবার কোরবানি ঈদে স্বামী জনের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন শখ। এখনো বলিয়াদিতেই আছেন শখ-জন। জনের ভাগ্নে আরাফ রহমান বলেন, ‘পারিবারিকভাবে আমাদের কোনো কিছু জানানো নিষেধ, তবে মামি অনেক ভালো মানুষ। বড় মাপের মডেল-অভিনেত্রী, অথচ কোনো অহংকার নেই। গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। সবার ভালো-মন্দের খোঁজখবর নিয়েছেন। মামিকে পেয়ে আমাদের পরিবারের সবাই খুশি।’ অনেক দিন ধরেই মডেলিং-অভিনয়ে অনিয়মিত শখ। গেল দুই ঈদের খুব কম নাটকেই তাকে পাওয়া গেছে। এমনকি পুরনো ফোন নম্বরও ব্যবহার করছেন না। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া গেল শখ-জন দুজনকেই। সেখানে নাম বদলে শখ এখন আনিকা রহমান। রিলেশনশিপ স্টেটাসে লেখা, ‘ম্যারিড টু জন রহমান।’ আছে বিয়ের তারিখও-১২ মে ২০২০। আরাফ জানান, করোনার প্রকোপ কমলে ঢাকায় ঘটা করে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজনের ইচ্ছা তার মামা জনের।
ফারিয়ার আংটি বদল
সম্প্রতি নিজের আংটি বদলের খবর দিলেন উপস্থাপিকা ও বড় পর্দার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। এক বছর ধরেই বিনোদনপাড়ায় নুসরাত ফারিয়ার বিয়ের খবর ভাসছিল। প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও এতদিন বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি। রনি রিয়াদ রশিদ নামে একজনের সঙ্গে আংটি বদলের খবর দিলেন এই অভিনেত্রী। ফারিয়া তার ফেসবুক পেজে তিনি খবরটি নিজেই প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধুদের ও পরিবারের সমর্থন এবং আশীর্বাদ নিয়ে সাত বছরের সম্পর্কের পূর্ণতা পেয়েছে গত মার্চ মাসে। এখন আমরা এনগেজড। আমার হবু বরের নাম রনি রিয়াদ রশিদ। একটি টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন। আমরা দুই পরিবারের মতামতে গত মার্চ মাসে আংটি বদল করেছি। বিয়ের অনুষ্ঠান এখনো ঠিক হয়নি। পরে জানাব।’
অপু-পরীর গাড়ি সমাচার
বাংলা চলচ্চিত্রের দুই প্রজন্মের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস ও পরীমণি সম্প্রতি দুটি দামি গাড়ি কিনেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়। অপু কিনেছেন অডি থ্রি সেলুন, পরীমণি রয়েল ব্লুু রঙের মাসেরাতি। পরীর গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য সাড়ে তিন কোটি টাকা আর অপু বিশ্বাসের কেনা গাড়ির বাংলাদেশে বাজারমূল্য ৪৫ লাখ টাকা। অন্য বেশ কিছু খরচ মিলিয়ে অপু বিশ্বাস গাড়িটি কিনেছেন ৪৫ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। গাড়ির ব্যাপারে বরাবরই শৌখিন এ নায়িকা। সর্বশেষ ব্যবহার করেন প্রায় কোটি টাকা দামের হ্যারিয়ার। সাদা রঙের সেই গাড়ি গত ২৪ জুন দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবরটি মিডিয়ায় প্রকাশের পর আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়। কেউ বলছেন করোনাকালে যখন অনেকে কাজ ও অর্থের অভাবে অসহায় জীবন যাপন করছেন তখন এই দুই নায়িকার এমন শৌখিনতা বেমানান। আবার কেউবা বলছেন তারা দেশের জনপ্রিয় নায়িকা তাই সামাজিক মর্যাদা বজায় রাখতে তাদের দামি গাড়ি বা বাড়ি কেনা বিস্ময়ের কোনো ব্যাপার নয়। এদিকে অপু বলছেন, তার আগের গাড়ি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি বিক্রি করে আর কিছু অর্থ তার সঙ্গে যোগ করে নতুন গাড়িটি কিনেছেন তিনি। অন্যদিকে পরীর গাড়ি কেনার ব্যাপারে জানা গেছে তার আগের গাড়িটি দুর্ঘটনায় ক্ষতির মুখে পড়ায় তিনি মাসেরাতি গাড়িটি কিনতে চেয়েছিলেন। পরে সেই চিন্তা বাদ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটি মেরামত করিয়ে নিয়েছেন তিনি।
অনন্ত জলিল-হিরো আলম বিতর্ক
বেশ ঘটা করেই হিরো আলমকে নিজের ছবিতে নিয়েছিলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্রকার অনন্ত জলিল। ৫০ হাজার টাকা সাইনিং মানি দিয়ে তাকে চুক্তিবদ্ধ এবং ফটোশুটও করান। কিন্তু মাসখানেকের মাথায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনন্ত জানালেন, তার মর্যাদা না বোঝাসহ আরও কয়েকটি কারণে ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন হিরো আলমকে। তাকে দেওয়া সাইনিং মানিও ফেরত নেবেন না। অনন্তর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলম জানালেন, চলচ্চিত্রের ১৮ সংগঠনের সভায় জায়েদ খানকে নিয়ে কথা বলার কারণেই তাকে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, হিরো আলমের সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে হিরো আলম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টিরই মধ্যস্থতা করে দেন অনন্ত। অন্যদিকে ফেসবুকে অনন্ত জলিল লিখেছেন, ‘আমি হিরো আলমকে নিয়ে কোনো সিনেমা বানাব না এবং ৫০ হাজার টাকা সাইনিং মানি ফেরত নেব না। সিংহভাগ বিনোদন সাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র পরিবারের সব গুণীজন হিরো আলমকে নিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য আপত্তি জানাচ্ছেন। সম্প্রতি হিরো আলমের কিছু অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সবাই আবারও আমাকে নিষেধ করছেন তাকে নিয়ে সিনেমা না বানানোর জন্য। সব সময় আমি বিব্রত হচ্ছি, হিরো আলমের এসব বিতর্কিত বিষয়গুলোর জন্য।’
অপুকে নোটিস
অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসকে তার দেওয়া চেক বাউন্স হওয়ায় উকিল নোটিস পাঠান এক ব্যবসায়ী। পাঁচ লাখ টাকার ওই ডিসঅনার চেকের জন্য ব্যবসায়ী বাদশাহ বুলবুল এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, তাদের মধ্যে যখন সুসম্পর্ক ছিল তখন গাড়ি-বাড়ি কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন তিনি। গত ৭ জুলাই অভিনেত্রীর চেক মারফত ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেই চেক বাউন্স হয়। এরপর নানাভাবে অপু কথা ঘোরাতে থাকে। অবশেষে ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে বুলবুল তাকে আইনি নোটিস পাঠান। অন্যদিকে অপু বলেন, ‘আমাকে অপমান ও হেয় করতেই এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। আইনি নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে বাদশাহ বুলবুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘অনেক আগেই তো আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত বছর এই চেক নিয়ে থানায় জিডিও করেছি। এই চেক নিয়ে কীভাবে আইনি নোটিস পাঠায়? বোঝাই যাচ্ছে যে আমার সম্মান হানির জন্য এমনটা করা হয়েছে। আমি চুপ করে থাকব না। বাদশাহ বুলবুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’