বাংলাদেশের সংগীতের সোনালি যুগের উজ্জ্বল তারকা শুভ্রদেব। বর্তমানে তিনি আমেরিকায় আছেন। সেখান থেকে তিনি গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। কথাগুলো তুলে ধরেছেন - আলী আফতাব
আমেরিকায় কেন গেছেন?
আমেরিকায় আমার পরিবারের বড় একটি অংশ থাকে। এখানে আমার তিন বোনের সংসার। আরেক বোন কানাডায়। এবার আমার পরিবার নিয়ে এসেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে এ মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশে আসব। তবে শুনেছি বাংলাদেশেও করোনার অবস্থা ভালো নয়। এই করোনা আমাদের অনেক পিছিয়ে দিচ্ছে।
ওখানে করোনার কী অবস্থা?
করোনার অবস্থা এখানেও ভালো না। তাই এবার আর তেমন ঘুরতে বের হইনি। এ ছাড়া যাঁরা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, তাঁরা জানেন আমার কিছু আয়েশি বিষয় আছে। আমেরিকায় আটলান্টিক মহাসাগরের পাশে একটি রিসোর্টে আমি প্রায়ই সময় কাটাতে যাই। ওই নৈসর্গিক পরিবেশে জীবনের সব ক্লান্তিকে আমি ছুটি দিতে পারি। আমার মধ্যে যে শৈল্পিক সত্তা আছে তা জেগে ওঠে। সেখানে বসে গানের কম্পোজিশন করি। একটা কথা আছে না, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আমার হয়েছে তাই। যেখানেই যাই, মোটামুটি গান আমার সঙ্গেই থাকে।
গান নিয়ে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?
প্রতিদিন নতুন নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আমি একটু আলাদাভাবে ভেবেছি। আমার দেশের গানকে আন্তর্জাতিক মানের করা যায় কীভাবে সেই চেষ্টা করেছি। এ জন্যই তো এত বড় বড় শিল্পীর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তবে সব পরিকল্পনা কিন্তু সমাজ বাস্তবতায় করা হয়ে ওঠে না। তবে কিছু কাজ তার মধ্যে এগিয়ে রাখছি। এই যেমন কিছু গানের কম্পোজিশন করেছি। সামনেই সেগুলো এক এক করে প্রকাশ করব।
নতুন কোনো প্লেব্যাক করছেন কি?
বছরখানেক আগে ‘সুরঞ্জনা’ শিরোনামের একটি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছিলাম। অনেক দিন পর সুন্দর একটি গান করলাম। অসাধারণ কথা ও সুরের এমন গান এখন হয় না বললেই চলে। এ গানের মাধ্যমে শ্রোতারা আবার সোনালি দিনের শ্রুতিমধুর গানের জগতে ফিরে যাবেন।
আমরা জানি শাকিলা জাফরের গাওয়া ‘ভুলিতে পারি না তারে, ভোলা যায় না’ গানটির সুরকার আপনি। পরে নতুন আর কোনো সুর করা গান কি আসছে?
‘ভুলিতে পারি না’র মতো আরেকটি গান বেঁধেছি। এ প্রজন্মের জনপ্রিয় একজন নারী শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি বলে নামটি এখনই প্রকাশ করছি না। তবে আমি আশা করছি এই গানটিও দর্শকের মনে থেকে যাবে।
করোনাকালীন আপনার উপলব্ধি?
‘উপলব্ধির চেয়ে আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে দেশের জন্য কিছু করা যায় কি না। আমি বায়োক্যামেস্ট্রিতে পড়েছি। শুধু সে জন্য নয়, নানাভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মেডিকেল সেক্টরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি তাঁদের মাধ্যমে আমাদের দেশে যদি অতিরিক্ত আরও কিছু করোনা ভ্যাকসিন আনা যায়।