ঢাকায় এসে কেমন লাগছে?
এক কথায় অসাধারণ। এখানকার প্রকৃতি ও মানুষ খুবই আন্তরিক। এত দিন ফেসবুকে বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে ও বিদেশে যেখানেই গেছি বাংলাদেশিদের কথাবার্তায় আন্তরিকতার পরিচয় পেয়েছি। আর এখন বাংলাদেশে এসে এই আন্তরিকতা আর আতিথেয়তায় সিক্ত হচ্ছি। মনে হচ্ছে আমি এই দেশেরই সন্তান। আসলে দুই বাংলার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বাঙালির মন সত্যিই খুব উদার।
ঢাকার ছবিতে অভিনয় করবেন, অনূভূতি কেমন?
এই ভালো লাগাটা সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কলকাতার অনেক বড় মাপের শিল্পীরা এখানকার ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং এদেশের চলচ্চিত্রের প্রশংসা করেছেন। তাই আমারও খুব ইচ্ছা ছিল এখানে কাজ করার। অনন্য মামুন দাদা আমাকে এই সুযোগ করে দেওয়ায় সত্যিই আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তার মতো দক্ষ নির্মাতার এখন বড়ই অভাব।
ছবির গল্প এবং চরিত্র কতটা মন কেড়েছে?
অনন্য মামুন দাদা সত্যিই একজন ব্রিলিয়েন্ট নির্মাতা ও গল্পকার। তার নির্মাণ এবং গল্প নিয়ে মন্তব্য করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। সম্প্রতি তার 'আমি শুধু চেয়েছি তোমায়' ছবিটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। এবার দাদার আরেকটি মনোমুঙ্কর গল্পে আমি কাজ করতে যাচ্ছি। এর চেয়ে বেশি ভালো লাগা আর কী হতে পারে।
এখানে নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছা আছে?
অবশ্যই, একবার নয়, শতবার। ভালো নির্মাতা আর গল্পের ডাক পেলেই বারে বারে ছুটে আসব। এপার বাংলা তো আমার নিজেরই ঘর, বাড়ি।
বাংলাদেশের কোন জিনিসটি বেশি ভালো লাগার মতো?
অবশ্যই এখানকার ইলিশ মাছ। যার কোনো তুলনা নেই। কলকাতা এবং ইটালিতেও আমি বাংলাদেশের ইলিশ খেয়েছি। কিন্তু বাংলাদেশে বসে বাংলাদেশের ইলিশ খাওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ এখানকার রান্নার স্বাদ কখনো ভোলার নয়। আসলে বাংলাদেশের সব কিছুতে কেমন একটা মায়া আছে। যে মায়াটা সারাক্ষণ মনের মাঝে বেজেই চলে। তাই এদেশে আসতে পেরে আমি ধন্য। বারে বারে এখানে আসতে চাই আমি।
এখানকার কোন বিষয়টি অস্বস্তিতে ভোগায়?
না, এখানকার সব কিছুতেই প্রাণের ছোঁয়া আছে, হৃদয়ে ভালোবাসার কাঁপন ধরায়। তবে একটা বিষয় আমাকে খুব যন্ত্রণা দেয়। তা হলো- দুই বাংলায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আর ভিসা লাগে কেন। দুই বাংলা তো একই প্রাণে বাঁধা, একই গানে একসূত্রে গাঁথা। দুই বাংলার মেলবন্ধন চিরন্তন। আমরা কেন মিলে মিশে এক হয়ে যেতে পারি না। দুই বাংলার মানুষ একই ভাষাভাষি এবং প্রায় অভিন্ন সংস্কৃতিতে গাঁথা থাকা সত্ত্বেও কাঁটাতার তাদের পথে বাধা হয়ে থাকবে কেন?
আলাউদ্দীন মাজিদ