'ছুঁয়ে দিলে মন' দিয়ে আবারও দর্শক মন ছুঁতে যাচ্ছেন নিশ্চয়ই?
অফকোর্স, মেদহীন ঝরঝরে গল্পের ছবি এটি। শুধু এ ছবির সদস্য নন, দর্শকদের জন্যও এটি স্পেশাল আর রেকর্ড গড়ার মতো ছবি 'ছুঁয়ে দিলে মন'। এ ছবির গল্প যখন শুনেছি তখন মনে হয়নি এটি জীবনের সেরা ছবি হবে। মনে হয়েছে এ কাজটা করা দরকার, না হলে পরে আফসোস করতে হবে। শুধু আমি নই, দর্শকও যেন এমন একটি গল্পের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করছিলেন। ছবির গল্প, গান, লোকেশন মন ছুঁয়ে যাবে। নিঃসন্দেহে মনের মাঝে ঝড় তুলবে।
গল্পে শুভর উপস্থিতির কথাই শোনা যাক-
আবির হয়ে গল্পে শুভর উপস্থিতি। এতদিন শুভ ছিল অ্যাকশন হিরো। আর এবার আবির হবে পিওর রোমান্টিক বয়। আবির একটি প্রেমের গল্প নিয়ে হাঁটে, ডুবে, ভাসে এবং অন্যরকম অন্তে উপনীত হয়। আমি আর শুভ নেই। ম্যানলি ভাবটা পুরোমাত্রায় বজায় রেখে আবিরের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। শিহাব শাহীনের রোমান্টিক গল্পের কাজ সম্পর্কে দর্শকের পরিচ্ছন্ন ধারণা আছে। এটি শিহাবের প্রথম ছবি নির্মাণ। তাই এতে নিজের মনন, মেধা আর দক্ষতাকে শিহাব একশতে একশ ভাগই কাজে লাগিয়েছে। ইতিমধ্যে নেটে অভাবিত দর্শক সাড়ায় সেই প্রমাণ মিলেছে। ইউটিউবে গানগুলো আগেই অজস্রবার ক্লিক হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রেলারও সেই ধারা ধরে রেখেছে। শিহাব আমাকে অনন্য এক আবির রূপে গড়ে তুলেছে। আমার এ নবসৃষ্টির জন্য তাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।
অন্য ১০টা রোমান্টিক ছবির পাশে দাঁড়ালে 'ছুঁয়ে দিলে মন'কে আলাদা করে চেনা যাবে?
এ নিয়ে নিজের ঢোল নিজে পেটাতে চাই না। শুধু এইটুকু বলব, সব মিলিয়ে একটি ভেরিমাস কম্বো মুভি দেখতে পাবেন দর্শক। মানে এতে প্রেম, ঘৃণা, পরিবার, আপনজন সবই খুঁজে পাওয়া যাবে। নিঃসন্দেহে পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করার মতো পরিচ্ছন্ন একটি ছবি 'ছুঁয়ে দিলে মন'। আসলে কী জানেন, ম্যাঙ্মিাম সময়ে আমাদের ছবিগুলোকে নির্দিষ্ট একটি ফরমেটে বন্দী হয়ে থাকতে দেখছি সবাই। পাঁচটি গান, চারটি ফাইট, কিছুক্ষণ কৌতুক আর কাতুকুতু। এসব থেকে গল্পকে বের করে এনেছেন শিহাব। অন্য এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়েছেন একে। মানে 'আলাদা কিছু হয়েছে' এ কথা জোর দিয়ে বলার মতো গিফট নিয়ে হাজির হচ্ছেন দর্শকদের সামনে।
সম্প্রতি সিনিয়র অভিনেত্রী ও নির্মাতা কবরীর একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন, এর অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্যরকম?
অবশ্যই, মনে হচ্ছে আমার সাফল্যের মুকুটে আরেকটি বড় পালক যোগ হলো। কবরীর মতো কিংবদন্তিতুল্য একজন চলচ্চিত্রকার আমাকে তার ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে পছন্দ করেছেন মানে আমি হয়তো অভিনয়ের 'অ'টা অনেকটা রপ্ত করে ফেলেছি। আত্দবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে গেল। এখন আমি বহুগুণ বেশি উৎসাহের বেলুনে চড়ে সুখের আকাশে উড়ছি। হা... হা... হা।
আলাউদ্দীন মাজিদ