ইতোমধ্যে প্রায় ৩ ডজন ছবির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছেন পরীমণি। তার ছবি মুক্তি পেয়েছে ২টি, মুক্তির প্রহর গুনছে আরও ৫-৬ টি ছবি, এছাড়া শুটিং চলছে বেশ কয়েকটির। বাপ্পী, সাইমন, আরজু, জেফ, শাহরিয়াজ, জায়েদ খান থেকে শুরু করে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে সমান তালে কাজ করে চলেছেন হালের আলোচিত এই অভিনেত্রী। কেউ কেউ তাকে আখ্যা দিচ্ছেন ফিল্মপাড়ার ‘নিউক্লিয়াস’ হিসেবে। অর্থাত্ একটি কোষের সমস্ত জৈবিক কার্যক্রম ঘিরে থাকে নিউক্লিয়াসকে ঘিরে। ঠিক তেমনি পরীমণিকে ঘিরে ফিল্মপাড়ার অধিকাংশ কলাকূশলী এখন ব্যস্ত রয়েছেন। তার পেছনে লগ্নি করছেন কোটি কোটি টাকা। কিন্তু হালের রটে যাওয়া একটি খবরকে ঘিরে ফের আলোচনায় এসেছেন পরীমণি।
সম্প্রতি বিভিন্ন পোর্টাল ও সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় ডিএ তায়েবের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। ‘সোনাবন্ধু’ নামে একটি ছবিতে দেখা যাবে তাদেরকে। এমনকি ঘটা করে এ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। কিন্তু ডিএ তায়েবের সঙ্গে জুটি হিসেবে পরীমণিকে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। মহরতের আগেই নানারকম নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যাচ্ছে ফিল্মপাড়ায়। তাদের মতে, ডিএ তায়েবের অভিনয় জগত একটি নির্দিষ্ট ঘরানায়। আর পরীমণি ভিন্ন একটি ঘরানার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিচালক বলেন, ক্যারিয়ারের এই সময়ে তায়েবের সঙ্গে পরীমণির অভিনয় ঠিক হবে না। তার মানে এই নয় যে, তায়েবকে ছোট করা হচ্ছে। তিনি অবশ্যই একজন শক্তিমান অভিনেতা। তায়েবের অভিনয় দক্ষতাও যথেষ্ঠ রয়েছে তার। কিন্তু বড় পর্দায় রসায়নটাই আসল। কোন অবস্থাতেই দর্শকরা এ জুটিকে মেনে নেবে না। এতে করে তায়েব নয় হোচট খাবেন পরীমণি। এ ধরনের অনেক মন্তব্য শোনা গেছে ফিল্মপাড়ার প্রখ্যাত বোদ্ধাদের কাছ থেকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে পরীমণি বলেন, আসলে পুরো খবরটি না জেনে অনেকে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য ছুড়ছেন। তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, ছবিতে অভিনয়ের চূড়ান্ত কথাবার্তা বা চুক্তিপত্র এখনও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। চুক্তির প্রাথমিক ধাপটি শুধুমাত্র পেরিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই ‘সোনাবন্ধু’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে যাচ্ছি। কিন্তু তাদেরকে বলেছি স্ক্রিপ্ট ও চরিত্রের ভূমিকা হাতে পাওয়ার পর অভিনয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব। আগে স্ক্রিপ্ট পরে ডিএ তায়েব প্রসঙ্গ।
পরীমণি আরও বলেন, আগামী ৬ মে তারা আমাকে স্ক্রিপ্টটি দিবে বলে জানিয়েছে। সুতরাং স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর জানানো হবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
এদিকে ডিএ তায়েব বলেন, প্রাথমিক কথাবার্তা অর্থাৎ টোকেন মানিও দেওয়া হয়ে গেছে। আগামীকাল সোমবার স্ক্রিপ্ট পাঠানো হবে। এছাড়া চলতি মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত পরীমণি সিডিউল দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে সিডিউল সম্পর্কে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, আমি তো আগেই বলেছি স্ক্রিপ্ট যদি পছন্দ হয় ২০ তারিখ কেন এর আগেই শুটিং শুরু করা যাবে। প্রাথমিক কথাবার্তা মানেই তো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। আর টোকেন মানি ? বলতে পারেন অনেকটা জোর করেই দিয়ে গেছেন তারা। যাই হোক আগে স্ক্রিপ্টটা হাতে পাই।