নায়ক অনেক আছে। কিন্তু নায়করাজ একজনই। তাই তার অসুস্থতা মানে ভক্তদের মনেও স্বজনের বেদনা। নায়করাজ অসুস্থতা নিয়ে হাতপাতালের শয্যায় শুয়ে আছেন। এ নিয়ে ভক্তদের মনেও বেদনা অনেক। রয়েছে প্রার্থনাও। দেশব্যাপী নায়করাজের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা চলছে।
ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি নায়করাজ রাজ্জাক। সেখানে অনেক ভক্তের ভিড়। তারা সেখানে পৌঁছেছেন নায়করাজের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে। অন্যদিকে শোবিজ পাড়ায়ও চলছে নায়করাজের জন্য শুভকামনা। সবাই তীব্রভাবে প্রত্যাশা করছেন, 'নায়করাজ আবার ফিরে আসছেন সুস্থ হয়ে। শিল্পীদের অভিভাবক হয়েই থাকবেন তিনি।'
প্রার্থনার ফলও আসতে শুরু করেছে। নায়করাজ বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। তিনি আবার সুস্থ হয়ে উঠছেন।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নায়করাজ রাজ্জাকের শঙ্কামুক্তের বিষয়টি জানিয়েছেন ইউনাইটেড হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. আদনান ইউসুফ চৌধুরী। তিনি দ্রুত নায়করাজের সুস্থতার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।
২৬ জুন দুপুরের পর হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্জাক। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন সন্ধ্যায় তাকে স্থানান্তর করা হয় হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে [আইসিইউ]। এক পর্যায়ে সেখানে তাকে কৃত্রিম শ্বাস দিয়ে রাখা হয়।
রাজ্জাকের ছোট ছেলে সম্রাট খবরটি নিশ্চিত করেন। তিনি সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন রাজ্জাক। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিন বছর আগে তাকে আজীবন সম্মাননাও দেয় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া এই মাধ্যমে প্রায় সব পুরস্কারই তার ঝুলিতে রয়েছে।
রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। স্কুলে মঞ্চনাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু।
১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে পাড়ি জমানোর পর নানা প্রতিকূলতার মধ্যে টেলিভিশনে অভিনয় শুরু করেন তিনি।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- জীবন থেকে নেয়া, এতটুকু আশা, ময়নামতি, মনের মতো বউ, নীল আকাশের নিচে, স্বরলিপি, নাচের পুতুল, আলোর মিছিল, ওরা ১১ জন, জিঞ্জির, লাইলী মজনু, অশিক্ষিত, শ্রীকান্তসহ অসংখ্য ছবি।