শাকিব খানকে নিষিদ্ধ-বয়কট করা নিয়ে চলচ্চিত্র পাড়া সরগরম। তবে চলচ্চিত্র শিল্প সমিতি সভাপতি মিশা সওদাগর দাবি করেছেন, কাউকে বয়কট করা হয়নি।
প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাকের স্মরণসভায় তার ছেলে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ বলেন, তার সম্মানে আজকে থেকে আমরা এই নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ খেলাটা বন্ধ করে দিই। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের বুকে নেওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলি।
তার জবাবে মিশা বলেছেন, আমরা কাউকে বয়কট করিনি। শুধু স্থায়ীভাবে আমরা একজনের সদস্যপদ স্থগিত করেছি। যেটা মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে সেটা ভুল।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাপ্পারাজ বলেছিলেন, আজকে সুচন্দা আন্টি (নায়িকা সুচন্দা) যদি শাকিবকে ফোন করে বলে, তুমি এফডিসিতে পরিচালক সমিতিতে আসো, আমি তোমার সঙ্গে কথা বলব। ফারুক সাহেব, আলমগীর সাহেব যদি অফিসে বসে বলে, শাকিব আসো, তোমার সঙ্গে কথা বলব। শাকিব অবশ্যই আসবে। এটার জন্য নোটিশ করার দরকার হয় না। পুলিশ পাঠানোর দরকার হয় না।
এর জবাবে খলভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, সিনিয়ররা শাকিবকে কেন ফোন করবেন? সে ফোন করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বড়রা কেন ছোটদের কাছে ছোট হবে? ছোটরাই বরং বড়দের কাছে যাক নিজেদের ঝামেলা নিয়ে। শাকিব কী কখনো এই দ্বন্দ্বের অবসান চেয়েছে? সে কী কোনো চেষ্টা করেছে নিজের ভুল শুধরে নিয়ে সবার সঙ্গে এক হতে? তবে কেন কেউ কেউ তার হয়ে কথা বলছেন, তার কাছে পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে যেতে বলছেন সেটা আমি বুঝি না। বলা হচ্ছে সুচন্দা আন্টি বা অন্য কোনো সিনিয়র শাকিবকে ডেকে এনে সব মিটমাট করে দিক। সবাই কি ভুলে গেছেন এর আগেও একবার আলমগীর সাহেব শাকিবকে নিয়ে এসেছিলো ক্ষমা চাওয়াতে। সেদিন একটা গোঁজামিল দিয়ে আপোষের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু লাভ কিছু হয়েছে? আলমগীর সাহেবের সম্মান কী রেখেছে শাকিব? তবে কেন অন্য সিনিয়ররা আবার তাকে মিনতি করবে যে এসো বসি। তার উচিত ঝামেলা মিটিয়ে নেয়া। এখানে কেউ কারো চিরশত্রু নয়। কিন্তু হয়তো সেটাই সে ভেবেছে চলচ্চিত্র পরিবারকে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা